রাজধানীতে চতুর্মুখী আন্দোলন, নগরবাসীর ভোগান্তি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০: ৫৯
ভোগান্তি (ছবি সংগৃহীত)

একদিনেই রাজধানী ঢাকার অন্তত ছয় থেকে সাতটি স্থানে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে। এতে কোথাও যানচলাচল ব্যাহত হয়, কোথাও বন্ধ থাকে দীর্ঘ সময়। ফলে যানজটের নগরীতে পরিণত হয়। সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববারের এমন পরিস্থিতিতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন নগরবাসী। এ নিয়ে অনেককে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।

সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে কয়েকদিন ধরে চলা আন্দোলন এদিন সকালে সড়ক অবরোধে গড়িয়েছে। বেলা ১১টার দিকে হঠাৎ করেই কলেজটির সামনের সড়কে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এতে মহাখালী-গুলশান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনায় বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের ঘটনাও ঘটে।

বিজ্ঞাপন

পুনর্বাসন, ক্যাটাগরি পদ্ধতি বাতিলসহ দ্রুত উন্নত চিকিৎসার দাবিতে সকালে রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধ করেন জুলাই আন্দোলনে আহতদের একটি অংশ। পরে আগারগাঁওয়ের রাজস্ব ভবন, জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সামনের সড়কেও অবস্থান নেন তারা। দুপুরে মিরপুর-ধানমন্ডি সড়কের শিশুমেলার সামনে সড়ক অবরোধ করেন গণঅভ্যুত্থানে আহতরা। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে এসব সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েন রোগী ও তাদের স্বজনরাও।

চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে এদিন দুপুরের পর থেকে হাইকোর্ট মাজার চত্বরে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় চাকরি হারানো পুলিশ ও তাদের স্বজনরা। দুপুর ২টা থেকে রাজু ভাস্কর্য থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে ইনকিলাব মঞ্চ। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর মদদে নৃশংস জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সেইফ এক্সিট দেওয়ার প্রতিবাদ এবং ব্যর্থতার দায় নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

গত তিন দিনে রাজধানীতে অন্তত ২০টির মতো বিক্ষোভ, সমাবেশ, ঘেরাও, মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এ ছাড়া টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের কারণে এ তিন দিন সড়কে একদিকে যানবাহনের চাপ ছিল, অন্যদিকে যাত্রীদেরও ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

্এমএস

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত