২০২৩ সালের প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে গত ৩১ অক্টোবর তৃতীয় ধাপে চূড়ান্ত ৬ হাজার ৫৩১ জনকে চাকরিতে যোগদানের দাবিতে এবার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে সুপারিশপ্রাপ্তরা। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
এ সময় শিক্ষকদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ, লাঠিপেটা, জলকামান, সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহারে শতাধিক সুপারিশপ্রাপ্তের গুরুতর আহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানান তারা।

অবস্থান কর্মসূচিতে নোয়াখালী থেকে আসা শিক্ষক জান্নাতুন নাইম সুইটি বলেন, এ সরকারের আমলে আমাদের সুপারিশ দিয়ে আবার বাতিল করে আমাদের সঙ্গে বৈষম্য করা হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের সুপারিশপ্রাপ্তরা বর্তমানে চাকরি করছে। কিন্তু আমাদের সঙ্গে এমন বৈষম্যমূলক আচরণ কেন করা হবে? বর্তমানে আমরা নানাভাবে হেনস্তা ও সামাজিক কটূক্তির শিকার হচ্ছি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন, আপনি নারীদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন। তবে বর্তমানে ৪ হাজারেও বেশি নারী রাস্তায় কেন?
সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের এই আন্দোলনে কোনো কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নাই। পরিস্থিতি অনুযায়ী আন্দোলনকে সামনে নেওয়া হয় বলে জানান চট্টগ্রাম থেকে আসা মো. মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, আমরা এখানে দুই বিভাগের ২১টি জেলার সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষেকরা যৌক্তিক দাবির জন্য রাজপথে নেমেছি। অনেকে এই চাকরি পাওয়ার জন্য তাদের পূর্বের সরকারি ও অন্য চাকরি ছেড়েছেন। এ সংখ্যাটা চার শতাধিক। আমরা চাই দ্রুততম আমাদের পুনর্বহাল করা হোক।
তিনি আরও বলেন, আমরা গত ছয়দিন যাবৎ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে আন্দোলন করছি। আমাদের দাবি মেনে নিলেই আমরা রাজপথ ছেড়ে চলে যাব।
এ সময় কুমিল্লা জেলা থেকে আসা গোলাম মোস্তফা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, আইন মন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মতামতের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গত ৩১ অক্টোবর চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। এ ফলাফলে ৬ হাজার ৫৩১ জন চূড়ান্ত সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। নিয়োগপত্র পাওয়ার পরও কর্মস্থলে যোগদান করতে না পেরে আজ রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হচ্ছে। আমরা চাই সরকার দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করুক।

