দর্শকদের মাতিয়ে শেষ হলো সাইমুমের কালচারাল ফেস্ট

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর চারদিনের কালচারাল ফেস্ট ‘জুলাই জাগরণ’ শেষ হয়েছে। সোমবার সমাপনী দিনের বর্ণাঢ্য আয়োজনের নানা আকর্ষণীয় পর্বে দর্শকদের মাতিয়ে শেষ হয়েছে এ কালচারাল ফেস্ট।

এর আগে গত শুক্রবার ফেস্টের উদ্বোধনের পর থেকেই প্রতিদিন তিন পর্বে বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে নানা পরিবেশনা। উৎসব ঘিরে জুলাই বিপ্লবের নানা স্মৃতিময় তথ্য ও চিত্রসংবলিত স্টল, শিশুদের বিনোদন, ফ্যাসিবাদী সরকারের জুলম-নির্যাতনের প্রতীকী ‘আয়নাঘর’ ইত্যাদির আয়োজন ছিল। উৎসব ঘিরে প্রতিদিন নানা শ্রেণি-পেশার দর্শকের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর উদ্বোধনের পর প্রতিদিন ফেস্টে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্টজনেরা অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন।

ফেস্টের সমাপনী দিনে গতকাল বিকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাইমুমের চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম। অন্য অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, কারা নির্যাতিত জামায়াতের নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, সাইমুমের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাদ্দাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা সাইমুমের এ মনোমুগ্ধকর আয়োজনকে সাধুবাদ এবং এ ধরনের আয়োজন দেশের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

বক্তারা বলেন, জুলাই বিপ্লব আমাদের আকাঙ্ক্ষার বিপ্লব। হাজারো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা একটি নতুন স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমরা আমাদের এ স্বাধীনতা কখনোই ভূলুণ্ঠিত হতে দিতে পারি না। মানুষের মধ্যে সুস্থ সংস্কৃতির এ আলো ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই আমরা একটি সুন্দর শান্তির দেশ পাব, যেখানে খুন-গুম-হামলার শিকার হতে হবে না কাউকে। জুলাই স্পিরিটকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে দিতে সাইমুমকে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে।

সমাপনী দিনের পরিবেশনায় সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর পাশাপাশি ছিল কলরব ও জাগরণ শিল্পীগোষ্ঠী। সেই সঙ্গে ছিল শহীদ ও জুলাই আহতদের নিয়ে একক পরিবেশনা। পাশাপাশি ‘জুলাই আন্দোলনে সাংস্কৃতিক কর্মীদের অবদান’ এবং ‘পেশাজীবী মানুষের অবদান’ শীর্ষক দুটি প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয়।