জনস্বাস্থ্যের জহিরের বিরুদ্ধে ৩ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৯ মার্চ ২০২৫, ২০: ২৮

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পানি সম্পদ) জহির উদ্দিন দেওয়ানের বিরুদ্ধে জনস্বাস্থ্যের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ অ্যাডভান্স টেকনোলজিস, ওভারসিজ মার্কেটিং কর্পোরেশন প্রাইভেট লিমিটেড ও রোজমার্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল নামে তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

বিজ্ঞাপন

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অ্যাডভান্স টেকনোলজিস কর্ণধার মো. আব্দুস সালাম তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, গত বছরের নভেম্বরে ‘পানির গুণগত মান পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী করণ প্রকল্প’ এর দরপত্রটি দ্রুত সিদ্ধান্তের জন্য মাত্র ১৪ দিনের সংক্ষিপ্ত নোটিশে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু দীর্ঘ ৪ মাস অতিবাহিত হলেও এমনকি টেন্ডারটির মেয়াদ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং পার হলেও এখন পর্যন্ত আমরা কোনো সিদ্ধান্ত জানিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ১০১ এ বিধৃত আছে যে, ‘মূল্যায়ন প্রতিবেদন নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত করতে হবে যেন দরপত্র বৈধতার মেয়াদের মধ্যে চুক্তি সম্পাদন নোটিশ জারি করা যায় এবং ক্রয়কারিকে দরপত্রের বৈধতার মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অনুরোধ করতে না হয়’। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার ফলে বাংলাদেশ অ্যাডভান্স টেকনোলজিস বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। অভিযোগে তিনি আরো বলেন দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি মো. জহির উদ্দিন দেওয়ান, জনস্বাস্থ্যের অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পানি সম্পদ) এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে অফিসের বাহিরে দেখা করতে বলেন এবং দরপত্র মূল্যের ৬ শতাংশ টাকা অবৈধভাবে দাবি করেন। এই টাকা না দিলে দরপত্রটি বাতিল করার হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি তিনি পর্যালোচনা করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আবেদন জানিয়েছেন সেই সঙ্গে সুষ্ঠু তদন্ত ও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্যও অভিযোগ উল্লেখ করেছেন এই ঠিকাদার।

আরেক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওভারসিজ মার্কেটিং কর্পোরেশন প্রাইভেট লিমিটেডের কর্ণধার রিজওয়ান মান্নান তার অভিযোগের উল্লেখ করেছেন, দীর্ঘ তিন মাস অতিবাহিত হওয়ার পর ও দরপত্রের বৈধতার সময়কাল অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখনো পর্যন্ত দরপত্রের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে না পারায় পিপিআর ২০০৮ এর বিধি ১০১ স্পষ্ট লঙ্ঘিত হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোজমার্ক ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল কর্ণধার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৪ মাস পার হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত মূল্যায়ন কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পানি সম্পদ) মো. জহির উদ্দিন দেওয়ান কাগজপত্র যাচাই বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করেননি। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে তিনি একবার টাইম এক্সটেনশন করার আবেদন করেন প্রধান প্রকৌশলী বরাবর। প্রধান প্রকৌশলী সময় বাড়িয়ে দিলে তিনি তারপরও কালক্ষেপণ করছেন জহির উদ্দিন দেওয়ান । তার সঙ্গে একাধিক বার কথা হওয়ার পরও ছাড়ছি-ছাড়বো বলে দিনের পর দিন ঘুরাতে থাকেন। প্রকল্প পরিচালকও এ বিষয় কোনো কিছু জানাতে পারেননি। এমন অবহেলার কারণে ইতিমধ্যে আমার ব্যাংক ইন্টারেস্ট বাড়তি দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। পিপিআর বিধি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মূল্যায়ন কমিটি তাদের মূল্যায়ন জমা দিতে বলা হলেও দায়িত্ববান পদে থেকে এমন নিয়মবহির্ভূত কাজ কোনোভাবেই কাম্য নয়। দায়িত্বহীনতার কারণে জহির উদ্দিন দেওয়ান কে দ্রুত অপসারণের দাবি জানাচ্ছি ।

এই সব বিষয়ে জনস্বাস্থ্য অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন দেওয়ান বলেন,দরপত্রের মূল্যায়ন কমিটি দেরি করছেন সেটা আমার কিছু করার নেই। তিনি বলেন, এটা মূল্যায়নের কাজ চলছে। এ বিষয়ে একটা কমিটি আছে। সেই কমিটির সবাই মিলেই এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবেন। আমার একার এখানে কিছু করার নেই।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত