বিএনপির উদ্দেশে ফরহাদ মজহার
স্টাফ রিপোর্টার
বাহাত্তরের সংবিধান যারা লিখে দিয়েছে, তারা পাকিস্তানি ছিল মন্তব্য করে কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার বলেছেন, পাকিস্তানের সংবিধান লিখার জন্য ১৯৭০ সালে তাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি। তাহলে আমাকে বলেন, বিএনপিকে জিজ্ঞাসা করছি, এই যে ৭২ সালের সংবিধান আপনারা ধরে রাখতে চান। আপনারা কি পাকিস্তানের দালাল? আপনারা কেন এই সংবিধান ধরে রাখতে চাইছেন। জিয়াউর রহমান তো এই সংবিধান ধরে রাখতে চান নাই। এমনকি বেগম খালেদা জিয়াও এই সংবিধান ধরে রাখতে চান না, বরং তিনি বলেছেন এই সংবিধান ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। তাহলে আপনারা কেন গণঅভ্যুত্থানের পর চাপ দিয়ে এই সংবিধান রেখেছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণশক্তি কর্তৃক জুলাই ঘোষণাপত্রে বঞ্চনা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ফরহাদ মজহার বলেন, আপনারা শুধু নির্বাচন নির্বাচন করেন। আমরাও নির্বাচন চাই অবশ্যই। কিন্তু গণতন্ত্র মানে তো শুধু নির্বাচন না। গণসার্বভৌমত্ব মানে নির্বাচন নয়। গণসার্বভৌমত্ব মানে হলো জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। আর এই ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে আপনাদের এতো আপত্তি কেন?
তিনি আরো বলেন, আমরা গণপরিষদ নির্বাচন চাই। গণপরিষদে বসে বাংলাদেশের জন্য কি ধরনের গঠনতন্ত্র, কি ধরনের রাষ্ট্র আমাদের সকলের জন্য দরকার ওটাই আমরা তৈরি করব। আমরা প্রতিনিধি নির্বাচিত করে পাঠাই, যেন আমরা নতুন গঠনতন্ত্র পেতে পারি কিন্তু আপনারা সেটা না করে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন বানালেন। এই সংস্কার কমিশন গঠন করে আপনারা আমাদের ধোঁকা দেয়া শুরু করলেন যে, এই কমিশনের মাধ্যমে অনেক সংস্কার করবেন। জনগণ রক্ত দিয়ে, শহীদ হয়ে এবং পঙ্গু হয়ে যেই রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিল আপনারা সেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলেন।
নতুন বাংলাদেশ গঠনে তিনি তিনটি মৌলিক প্রস্তাব দিয়ে বলেন, রাষ্ট্র এমন কোন আইন করতে পারবে না যাতে আইন ব্যক্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করে। প্রাণ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নষ্ট বা ধ্বংস হয় এমন কোনো আইন করতে পারবে না। এবং জীবন এবং জীবিকার ধ্বংস হয় এমন কোন নীতি বা আইন রাষ্ট্র করতে পারবে না।
সভাপতির বক্তব্যে বীর প্রতীক কর্নেল (বরখাস্ত ) হাসিনুর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আপনি জুলাই ঘোষণাপত্র দিয়েছেন কিন্তু ওখানে শুধু রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিল অথচ তারা এই গণঅভ্যুত্থানে ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে ছিল না। যারা এই আন্দোলনে ছিল সেই কৃষক, শ্রমিক ছাত্রদের সাথে বসার সময় আপনি পান না।
আপনাকে কে নিষেধ করেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে? এমন কোন ব্যবস্থা এখনও করেন নাই যে, সুরক্ষা, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারের কোন পরিবর্তন করতে পারেন নাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এটিএম জিয়াউল হাসান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আপনি কাদের দিয়ে এই ঘোষণাপত্র লিখিয়েছন? তারা তো এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নাই। তাহলে তাদের লেখা ঘোষণাপত্রে কিভাবে সবার কথা আশা করেন?
কর্নেল (অব) ফেরদৌস আজিজ বলেন, হাসিনা ছাড়া আর কোন পরিবর্তন আসে নাই, এক বছর পরও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলারা রয়ে গেছে, এদের কোন পরিবর্তন করা হয় নাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরও আনসার বিদ্রোহ হয়, বিমান বিধ্বস্ত হয় মাইলস্টোনে অথচ আওয়ামীরা ঢুকে যায় সচিবালয়ে। হাসিনার পোষ্যপুত্রদের বসিয়ে রেখে আপনি কোনো পরিবর্তন করতে পারবেন না। র এর এজেন্টরা এখনও দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে বসে আছে অথচ এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আপনি ৫০০ সচিবদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেন না? জয়েন্ট সেক্রেটারিরা দেশ চালাবে। আওয়ামীদের দিয়ে তো আপনি সঠিকভাবে দেশ চালাতে পারবেন না।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব কাসেম মাসুদ, সাবেক সচিব ও কূটনৈতিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন, মেজর অব. রেজাউল হান্নানসহ আরও অনেকেই।
বাহাত্তরের সংবিধান যারা লিখে দিয়েছে, তারা পাকিস্তানি ছিল মন্তব্য করে কবি ও দার্শনিক ফরহাদ মজহার বলেছেন, পাকিস্তানের সংবিধান লিখার জন্য ১৯৭০ সালে তাদেরকে আমরা ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছি। তাহলে আমাকে বলেন, বিএনপিকে জিজ্ঞাসা করছি, এই যে ৭২ সালের সংবিধান আপনারা ধরে রাখতে চান। আপনারা কি পাকিস্তানের দালাল? আপনারা কেন এই সংবিধান ধরে রাখতে চাইছেন। জিয়াউর রহমান তো এই সংবিধান ধরে রাখতে চান নাই। এমনকি বেগম খালেদা জিয়াও এই সংবিধান ধরে রাখতে চান না, বরং তিনি বলেছেন এই সংবিধান ছুড়ে ফেলে দিতে হবে। তাহলে আপনারা কেন গণঅভ্যুত্থানের পর চাপ দিয়ে এই সংবিধান রেখেছেন।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে গণশক্তি কর্তৃক জুলাই ঘোষণাপত্রে বঞ্চনা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
ফরহাদ মজহার বলেন, আপনারা শুধু নির্বাচন নির্বাচন করেন। আমরাও নির্বাচন চাই অবশ্যই। কিন্তু গণতন্ত্র মানে তো শুধু নির্বাচন না। গণসার্বভৌমত্ব মানে নির্বাচন নয়। গণসার্বভৌমত্ব মানে হলো জনগণের ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া। আর এই ক্ষমতা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিতে আপনাদের এতো আপত্তি কেন?
তিনি আরো বলেন, আমরা গণপরিষদ নির্বাচন চাই। গণপরিষদে বসে বাংলাদেশের জন্য কি ধরনের গঠনতন্ত্র, কি ধরনের রাষ্ট্র আমাদের সকলের জন্য দরকার ওটাই আমরা তৈরি করব। আমরা প্রতিনিধি নির্বাচিত করে পাঠাই, যেন আমরা নতুন গঠনতন্ত্র পেতে পারি কিন্তু আপনারা সেটা না করে বিভিন্ন সংস্কার কমিশন বানালেন। এই সংস্কার কমিশন গঠন করে আপনারা আমাদের ধোঁকা দেয়া শুরু করলেন যে, এই কমিশনের মাধ্যমে অনেক সংস্কার করবেন। জনগণ রক্ত দিয়ে, শহীদ হয়ে এবং পঙ্গু হয়ে যেই রাষ্ট্র গঠন করতে চেয়েছিল আপনারা সেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে গেলেন।
নতুন বাংলাদেশ গঠনে তিনি তিনটি মৌলিক প্রস্তাব দিয়ে বলেন, রাষ্ট্র এমন কোন আইন করতে পারবে না যাতে আইন ব্যক্তির অধিকার ক্ষুণ্ন করে। প্রাণ প্রাকৃতিক পরিবেশ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য নষ্ট বা ধ্বংস হয় এমন কোনো আইন করতে পারবে না। এবং জীবন এবং জীবিকার ধ্বংস হয় এমন কোন নীতি বা আইন রাষ্ট্র করতে পারবে না।
সভাপতির বক্তব্যে বীর প্রতীক কর্নেল (বরখাস্ত ) হাসিনুর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আপনি জুলাই ঘোষণাপত্র দিয়েছেন কিন্তু ওখানে শুধু রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিল অথচ তারা এই গণঅভ্যুত্থানে ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে ছিল না। যারা এই আন্দোলনে ছিল সেই কৃষক, শ্রমিক ছাত্রদের সাথে বসার সময় আপনি পান না।
আপনাকে কে নিষেধ করেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে? এমন কোন ব্যবস্থা এখনও করেন নাই যে, সুরক্ষা, চিকিৎসা, শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারের কোন পরিবর্তন করতে পারেন নাই।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এটিএম জিয়াউল হাসান বলেন, প্রধান উপদেষ্টা আপনি কাদের দিয়ে এই ঘোষণাপত্র লিখিয়েছন? তারা তো এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে নাই। তাহলে তাদের লেখা ঘোষণাপত্রে কিভাবে সবার কথা আশা করেন?
কর্নেল (অব) ফেরদৌস আজিজ বলেন, হাসিনা ছাড়া আর কোন পরিবর্তন আসে নাই, এক বছর পরও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী আমলারা রয়ে গেছে, এদের কোন পরিবর্তন করা হয় নাই। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরও আনসার বিদ্রোহ হয়, বিমান বিধ্বস্ত হয় মাইলস্টোনে অথচ আওয়ামীরা ঢুকে যায় সচিবালয়ে। হাসিনার পোষ্যপুত্রদের বসিয়ে রেখে আপনি কোনো পরিবর্তন করতে পারবেন না। র এর এজেন্টরা এখনও দেশের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে বসে আছে অথচ এদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আপনি ৫০০ সচিবদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেন না? জয়েন্ট সেক্রেটারিরা দেশ চালাবে। আওয়ামীদের দিয়ে তো আপনি সঠিকভাবে দেশ চালাতে পারবেন না।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক সচিব কাসেম মাসুদ, সাবেক সচিব ও কূটনৈতিক আব্দুল্লাহ আল মামুন, আপিল বিভাগের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন, মেজর অব. রেজাউল হান্নানসহ আরও অনেকেই।
রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দুই ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী ঢামেক হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আহতরা হলেন, নরসিংদীর মাদবদী এলাকার ক্ষুদ্র কাপড় ব্যাবসায়ী মো: সজল (৩০), ও আলামিন(২৭)।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে অজ্ঞাতনামা পুরুষের বয়স আনুমানিক ৬০ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগেনাগরিকদের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে রাজধানীতে নতুন তিনটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেলের কোনো স্টেশনে গিয়ে কার্ড স্ক্যান করে ভেতরে ঢোকার পর যাত্রা না করে বেরিয়ে গেলে ১০০ টাকা ভাড়া কাটবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে কেউ কার্ড স্ক্যান করে স্টেশনের ভেতরে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে গেলে তাকে কোনো ভাড়া দিতে হতো না। নতুন নিয়মে সেই সুযোগ থাকছে না।
৮ ঘণ্টা আগে