কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণায় এপিইউবির উদ্বেগ

ইউআইইউ‘র শিক্ষা কার্যক্রম চালু করতে শিক্ষার্থীদের আলটিমেটাম

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ২২: ২৯

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষা কার্যক্রম চালুসহ ১৩ দফা দাবি মানতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) স্মারকলিপি প্রদান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই আলটিমেটাম দেন তারা।

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্যক্রম বন্ধের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি (এপিইউবি) । মঙ্গলবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়। আর উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তথ্য অনুসন্ধানে একটি স্বাধীন কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ১৩ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রোববার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেন ইউআইইউ রেজিস্ট্রার।

এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা কিছু অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে, ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। এই সময়কালে সব একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থগিত থাকবে।

এর আগে শনিবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ইউআইইউর উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়াসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ডিন ও প্রশাসনিক পদের শিক্ষকরা পদত্যাগ করেন।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের ঘটনায় মঙ্গলবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ইউজিসিতে গিয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সালমান বারী রিজাল জানান, গত বছরের আগস্ট থেকে আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক সংস্কারে ১৩ দফা দাবি জানিয়ে আসছি। কর্তৃপক্ষ কিছু সহজ দাবি মানলেও পরে তা বাস্তবায়ন থেকে সরে আসে। গত ২৬ এপ্রিল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য ও সিএসই বিভাগের প্রধান নুরুল হুদা পদত্যাগ করেন। পরে আরো অনেক শিক্ষক পদত্যাগ করেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ওপর ভিত্তিহীন অভিযোগ করা হয়েছে।

শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন ১৩ দাবি মেনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অফিশিয়াল বিজ্ঞপ্তি না দিলে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম প্রত্যাখান এবং কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির উদ্বেগ: ইউআইইউ কর্তৃপক্ষ শিক্ষা কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান ও সেক্রেটারি জেনারেল ইশতিয়াক আবেদীন বলেন, এ ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। এর ফলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী, কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী সকলেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।

তারা বলেন, শিক্ষার্থীদের যে কোনো সমস্যা ও যৌক্তিক দাবি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আকারে উপস্থাপনের মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। কোনো কারণে যৌক্তিক সমাধান না হলে, অংশীজন প্রতিষ্ঠান এবং রেগুলেটরি কর্তৃপক্ষ—বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় —কে লিখিতভাবে অবহিত করার সুযোগ রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনায় শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ বিনষ্ট এবং শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হওয়া কখনোই কাম্য নয়।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত