আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

‘নিকডু’ আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত হবে, প্রত্যাশা চিকিৎসকদের

স্টাফ রিপোর্টার

‘নিকডু’ আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত হবে, প্রত্যাশা চিকিৎসকদের

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি (নিকডু)তে শিক্ষক সমিতির আয়োজনে একটি জার্নাল ও শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে। সেই সাথে সদ্য পাসকৃত (এফসিপিএস, এমএস ও এমডি) এবং সদ্য প্রমোশনপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সোমবার দুপুরে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে নিকডু অডিটোরিয়ামে এই অনুষ্ঠান হয়। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা মোহাম্মদ আলী।

বিজ্ঞাপন

এ সময় চিকিৎসকরা প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে ভবিষ্যতে নিকডু একটি আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত হবে। এ জন্য সবাইকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।

শুরুতেই মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর শহীদ, মহান স্বাধীনতার ঘোষক ও আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের জনক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এ ছাড়া শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় জুলাই আন্দোলনের সকল শহীদের প্রতি। পাশাপাশি সদ্য শাহাদাত বরণকৃত শহীদ ওসমান হাদিসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক ডা. মশিউর আরেফিন রুবেল। সঞ্চালনায় ছিলেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহরিয়ার মো. কবির হাসান (পল্লব)।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ আলফা সানী, শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহে নেওআজ দেওয়ান, ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো শওকত আলম, নেফ্রোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. আনম এহসানুল করিম, ট্রান্সপ্লান্ট ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. ফজল নাসের, শিশু ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফয়সাল ইসলাম, শিশু নেফ্রোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. কবির আলম, অ্যানেসথেসিয়া বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. তানভীর আলম, রেডিওলজি বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. তাহমিনা ইসলাম, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মোরশেদ আলম।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- হাসপাতালটির উপ-পরিচালক ডা. মো. হাসিবুর রহমান, সহকারি পরিচালক ডা. মাসুদ পারভেজ, আবাসিক সার্জন ডা. সানাউল্লাহ সানু, ডা. শেখ আমিরুল ইসলাম, আবাসিক চিকিৎসক ডা. সৈয়দ রানা কবির, ডা. রাশেদুল ইসলামসহ সর্বস্তরের চিকিৎসক, কর্মকর্তা নার্স ও কর্মচারীবৃন্দ।

স্বাগত বক্তব্যে চব্বিশের ৫ আগস্টের পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতি গঠনের প্রক্রিয়ার ওপর আলোকপাত করেন সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহ নেওয়াজ দেওয়ান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে তিনি বলেন, যার ইচ্ছাতেই নিকডু’র পথচলা শুরু হয়েছিল। এ সময় তিনি অসুস্থ বেগম জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানটিতে ২০২৫, জানুয়ারি ও জুলাই সেশনের দুইটি জার্নাল এবং শিক্ষক সমিতির গঠনতন্ত্রের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। শেষে ২০ জন সদ্য উচ্চতর ডিগ্রিপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের সংবর্ধনা এবং ৪২ জন চিকিৎসক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হওয়ায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জার্নাল প্রকাশের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বিগত এক বছরে নিকডু কতটুকু চিকিৎসা বান্ধব রয়েছে তা উল্লেখ করেন। বক্তারা বলেন, হাসপাতালটিতে এখন প্রতিনিয়ত ৬টি ওটিতে শৈল চিকিৎসা প্রদান হয়ে আসছে। ৪৪টি কিডনি প্রতিস্থাপন সাফল্যের সাথে সম্পন্ন হয়েছে। গত এক মাসে প্রায় পাঁচটি কিডনি প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। বহির্বিভাগে প্রতিনিয়ত প্রায় দেড় সহস্রাধিক রোগী নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছে।

হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আলফা সানি বলেন, সবাইকে নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে। হাসপাতালকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সকলের দায়িত্ব-কর্তব্য। আমরা সবাই মিলে হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা এগিয়ে নিয়ে যাবো। শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনাদের এই নতুন নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে শিক্ষক সমিতি তাদের কাজ আরও দৃঢ়তার সাথে পরিচালনা করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

সভাপতির বক্তব্যে সহযোগী অধ্যাপক ডা. মশিউর আরেফিন রুবেল প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বলেন, ভবিষ্যতে নিকডু একটি আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা কেন্দ্রে পরিণত হবে। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা থাকলে নিকডু অতি দ্রুত ‘সেন্টার অফ এক্সিলেন্সিতে’ পরিণত হবে।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর

খুঁজুন