স্বতন্ত্র কাউন্সিলের দাবি

ইউনানী-আয়ুর্বেদিক শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৭ জুলাই ২০২৫, ২১: ৫৭

স্বতন্ত্র ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক কাউন্সিল গঠনের দাবিতে রাজধানীর মহাখালীর স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছেন সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় অধিদপ্তরের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা একপর্যায়ে ভেতরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মহাখালীর স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিদপ্তরের মূল ফটকে সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা পদ্ধতির স্বীকৃত ছাত্র। আমাদের সনদ, ইন্টার্নশিপ, অ্যাকাডেমিক ট্রেইনিং এমবিবিএস সমমান ধরা হলেও এখনো পেশাগত সম্মান প্রতিষ্ঠা হয়নি। ফলে চাকরি থেকে উচ্চশিক্ষা—সব জায়গায় আমরা বঞ্চিত।

এ সময় জুবায়ের আহসান নামে এক শিক্ষার্থী বলেন,বাংলাদেশে শতাব্দী প্রাচীন ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ব্যবস্থা একদিকে যেমন লোকজ ও প্রাকৃতিক চিকিৎসার নির্ভরযোগ্য, নিরাপদ উৎস, অন্যদিকে তা দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি ঐতিহ্যবাহী অঙ্গ। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আজও এই চিকিৎসা পদ্ধতি বৈষম্য, অবহেলা ও নীতিগত অনিয়মের শিকার।

তিনি আরো বলেন, “স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বীকৃত এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে দেশের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। বিশেষত এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা-২০৩০ অর্জনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ও সহজলভ্য চিকিৎসা হিসেবে ইউনানী-আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা অপরিহার্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, দেশের প্রায় ২৮ শতাংশ মানুষ এবং গ্রামীণ অঞ্চলের ৮০ শতাংশ জনগণ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল।”

সাজ্জাদ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, গত ৩০ জুন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো একপক্ষীয় ও পেশাগত মর্যাদাবিরোধী চিঠি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় বিভ্রান্তি ও সংকট তৈরি করেছে। এটি একটি ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠীর নগ্ন চক্রান্তের বহিঃপ্রকাশ। বিগত সময়ে দালাল চক্রের প্রভাবে ভুয়া ডিগ্রিধারীদের পুনঃস্বীকৃতি দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছে, যা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে চরম ঝুঁকিতে ফেলেছে। এমনকি হামদর্দ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে নিয়মবহির্ভূতভাবে ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিএএমএস ও বিইউএমএস কোর্স পরিচালিত হয়েছে। এসব ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা ২০১২ সালের ‘গ্র্যাজুয়েট ইউনানী-আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল নীতিমালা’র সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত