এক ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধের পর যান চলাচল স্বাভাবিক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৩ জুন ২০২৫, ১৪: ৫০
ছবি: আমার দেশ

তিন দফা দাবিতে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা প্রায় এক ঘণ্টা শাহবাগ অবরোধ করে রাখে। সোমবার দুপুর সোয়া একটার দিকে তারা সড়ক অবরোধ করে। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিলেও বেলা দুপুর ২ টার কিছু পর জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নিয়েছেন শেখ হাসিনার শাসনামলে চাকরিচ্যুত, নানাভাবে হয়রানি ও ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যরা। ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, শাহবাগ মোড় বর্তমানে ক্লিয়ার রয়েছে।

আন্দোলনকারীদের অন্যতম মুখপত্র সৈয়দ তৌফিক সিফাত জানান, ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা কিংবা প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ চান। এটা দিয়া আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরে যাবেন না। আপাতত তারা শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

এর আগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল সহকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি হয়ে শাহবাগে মেয়ে এসে অবস্থান নেন। অবরোধের কারণে গুরুত্বপূর্ণ এই চৌরাস্তা দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রেখেছে।

অবরোধ করে তারা চৌরাস্তার মাঝখানে বসে পড়েন। সেখানে তারা নানা ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। সরকারের তরফ থেকে সুনির্দিষ্টভাবে ইতিবাচক পদক্ষেপ না নিলে তারা শাহবাগ মোড় ছেয়ে যাবেন না বলে জানিয়েছেন।

এর আগে গতকাল রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। মন্ত্রণালয়ে আলোচনার জন্য আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল গেলেও আশানুরূপ কোন সাড়া না পাওয়ায় এই অবরোধ কর্মসূচি পালন করছেন বলে জানা গেছে।

তাদের ৩ দফা দাবিগুলো হচ্ছে-

১. পিলখানাসহ সারাদেশের বিডিআর ইউনিটগুলোর বিশেষ আদালত এবং মহাপরিচালক ও অধিনায়কের সামারি কোর্টের মাধ্যমে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত (৭৬ ব্যাচ সহ) সব বিডিআর সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধাসহ পূর্ণ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করতে হবে।

২. পিলখানা হত্যাকাণ্ডে গঠিত শর্তযুক্ত তদন্ত কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ স্বাধীন তদন্ত কমিশনে রূপান্তরের লক্ষ্যে এর সার্বিক পূর্ণ কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত করছে এমন সব বিধিনিষেধ, বিশেষ করে এর প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত "ব্যতীত" শব্দ এবং কার্যপরিধি ২ এর (ঙ) ধারাটি বাতিল করে কমিশনকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। মিথ্যা সাক্ষীর সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দণ্ডিত হয়ে বর্তমানে দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে কারাবন্দি নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।

৩. ২০০৯ সালে পিলখানায় সৃষ্ট ঘটনার আলোকে যেসব ন্যায়পরায়ণ ও দেশপ্রেমিক সেনা কর্মকর্তাদের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত ও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে, তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করতে হবে এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ধারণকারী সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী 'বাংলাদেশ রাইফেলস' তথা 'বিডিআর' নামটি পুনঃস্থাপন করতে হবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত