পুরান ঢাকায় বাসার সিঁড়ি থেকে আবারো শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৩: ০৯
আপডেট : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৫: ৫৬

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় একটি বাসার সিঁড়ি থেকে আবারো এক তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত তরুণ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিলেন। শনিবার বিকেলে বংশালের আগামাসি লেনের একটি বাসার চারতলার সিঁড়ি থেকে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

বিজ্ঞাপন

নিহত তরুণের নাম সজিব। তিনি স্থানীয় বংশাল আহমেদ বাউনিয়া স্কুল ও কলেজ থেকে চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন।

বংশাল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. দুলাল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তিনি বলেন, “চারতলার সিঁড়িতে গলায় জিআই তার পেঁচানো অবস্থায় লাশটি উপুড় হয়ে পড়ে ছিল। প্রথমে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করা হলেও পরে মোবাইলের সূত্র ধরে পরিচয় শনাক্ত হয়।”

এসআই দুলাল আরও জানান, ওই ভবনের চারতলায় শুধু একটি পরিবার থাকতো এবং পুরো ভবনটি গুদাম (গোডাউন) হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ঘটনাস্থলের ফ্ল্যাটটি বাইরে থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় ছিল। তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষার্থীকে গলায় জিআই তার পেঁচিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।”

নিহতের পরিবারের অভিযোগ

ঢামেক হাসপাতালে নিহত সজিবের চাচাতো ভাই মো. ইসলাম জানান, সজিবদের বাসা বংশালের আগামাসি লেনেই। তিনি জানান, “সজিব এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল, তবে অকৃতকার্য হয়। কিছুদিন আগে সে তাবলিগের সঙ্গে দোহারে গিয়েছিল এবং শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বাসায় ফিরে আসে। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে একটি ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। বিকালেই জানতে পারি, একটি বাসার সিঁড়িতে তার লাশ পাওয়া গেছে।”

তিনি আরও জানান, যে বাসায় সজিবের লাশ পাওয়া গেছে, সেখানে চারতলায় সজিবের প্রেমিকার পরিবার থাকতো। ঘটনার পর থেকে ওই পরিবারের কাউকে পাওয়া যাচ্ছে না। সজিবের সঙ্গে মেয়েটির ছয় বছর ধরে সম্পর্ক ছিল। মাঝেমধ্যে মনোমালিন্য হলেও সম্প্রতি সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়। তবে মেয়েটির মামারা এই সম্পর্ক মেনে নিতে পারেননি।

সজিবের পরিবারের অভিযোগ, ওই মেয়ের দুই মামা—ইকবাল ও কামাল—পরিকল্পিতভাবে সজিবকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবরও পুরান ঢাকার একটি বাসার সিঁড়ি থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইনের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে একই এলাকায় দুই তরুণের এভাবে মৃত্যু পুরান ঢাকায় নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত