তুরাগের ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নং ওয়ার্ডকে ঢাকা-১৮ আসন থেকে বিচ্ছিন্ন করে ঢাকা-১৬ সংসদীয় আসনের সঙ্গে যুক্ত করার ষড়যন্ত্রের এলাকাবাসী। আসনটির বর্তমান সীমানা বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার বিকালে ‘সচেতন তুরাগবাসীর’ উদ্যোগে উত্তরা দিয়াবাড়ি মেট্রোরেল গোলচত্ত্বরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ আশরাফুল হক। লিখিত বক্তব্য পেশ করেন ৫২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থী মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক।
এসময় ৫৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থী সুরুজ্জামান, ৫৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল প্রার্থী মো. শফিকুল ইসলাম, তুরাগ মধ্য থানা জামায়াতের আমীর গাজী মনির হোসাইন, সমাজসেবক মুজিবুর রহমান, মুহিবুল্লাহসহ তুরাগের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন কামরুল হাসান।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্গত ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নং ওয়ার্ড এলাকাটি ২০০১ সাল থেকে ঢাকা-১৮ তথা সাবেক ঢাকা-৫ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে আছে। এই এলাকার মানুষের জমি জমা থেকে শুরু করে সব নাগরিক সুযোগ সুবিধা ঢাকা-১৮ আসনের সঙ্গে সম্পৃক্ত।
মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আমরা বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সূত্রে জানতে পারি যে, আমাদের এই তিনটি ওয়ার্ড ঢাকা-১৮ আসন হইতে কর্তন করে ঢাকা-১৬ আসনে অন্তর্ভুক্তি করার হীন ষড়যন্ত্র চলছে।
অথচ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ৩০০ আসনের মধ্যে ৩৯ টি আসনের নতুন করে সীমানা নির্ধারণের যে গেজেট প্রকাশ করেছে, তারমধ্যে ঢাকা-১৮ আসন ছিলোনা। একটি কুচক্রী স্বার্থান্বেষী মহল বর্তমান তুরাগ থানা তথা তিনটি ওয়ার্ডকে মিরপুর পল্লবীর সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত ঢাকা-১৬ আসনে সম্পৃক্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, এখানে প্রায় লক্ষাধিক ভোটারের বসবাস। এই ওয়ার্ডগুলোর বাসিন্দাদের নাগরিক সব কার্যক্রম, যাতায়াত ব্যবস্থাসহ সব কিছু ঢাকা-১৮ আসনের সঙ্গে সংযুক্ত। আমরা আমাদের নাগরিক সকল কাজের সুবিধার্থে এবং ভ্রাতৃত্বের বন্ধন অটুট রাখতে ঢাকা-১৮ আসনে আছি এবং থাকতে চাই।
এসময় ঢাকা-১৮ আসনকে বিভক্ত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১০ টায় উত্তরা খালপাড়ে সচেতন তুরাগবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।

