রাজধানীতে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার

রাজধানীর পৃথকস্থান থেকে এক গলাকাটা নারীর ও লেকে ভাসমান অবস্থায় এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, গেন্ডারিয়ায় নারীর গলাকাটা লাশের পরিচয় জানতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ বলছে, তার বয়স আনুমানিক ২৫ বছর হতে পারে। তার পরনে ছিল খয়েরি সালোয়ার ও খয়েরি সাদা ফুলতোলা ওড়না ও কামিজ।

সত্যতা নিশ্চিত করেন গেন্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এসআই মোঃ তৌফিক আনাম তিনি জানান, ট্রিপল নাইনে সংবাদ পেয়ে গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের উত্তর ২০০ গজ পশ্চিম পাশে সীমানা সংলগ্ন কাদাযুক্ত ঘাসের মধ্যে চার হাত পা ছড়ানো গলাকাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে ছয়টায় সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছেন।

এসআই আরো বলেন প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে, ঐ নারীকে ধর্ষণের পর, কুপিয়ে গলা কেটে হত্যা করে উক্তস্থানে ফেলে রাখে। ধারালো অস্ত্রদ্বারা গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে তবে সাথে ধর্ষণের আলামতও পরিলক্ষিত হয়েছে। নিহতের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এদিকে, নিখোঁজের দু'দিন পর ধানমন্ডির লেক থেকে মো: ওমর ফারুক মোল্লা (১৮) নামে কিশোরের অর্ধগলিত ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে গত ৩ অক্টোবর বিকালে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। রবিবার সকালে তার ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

ধানমন্ডি থানার এসআই খলিলুর রহমান জানান,ভিকটিমের বাবা মাছের ব্যবসা করেন। ছেলে ওমর ফারুক তেমন কিছুই করতো না, মাঝেমধ্যে সে বাবার ব্যবসার সাথে ঠিক মতো সময় দিতো না, এ-সব নিয়ে তার মা বকাঝকা দিয়েছিল। পরে গত ৩ অক্টোবর বিকালে বাসায় খাওয়া দাওয়া শেষে বাসা থেকে বের হয়েছিল। আর ফেরেনি। তার পরিবার মনে করেছেন হয়তো কোন বন্ধুর বাসায় আছে। তাই তারা থানায় কোন জিডি করেন নাই। রবিবার সকালে ধানমন্ডি লেকের ৫ নম্বর রোডের নাউড়ী হোটেল সংলগ্ন ব্রিজের পশ্চিম উত্তর পাশে লেকে ভাসমান অবস্থায় লোকজন দেখতে পেলে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ওই লাশ উদ্ধার করে। তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।