আ. ন. ম. মনির উদ্দিন
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর টেলিটক, যার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬৬ লাখ ৩০ হাজার। বেসরকারি অপারেটরদের একচেটিয়া বাজার দখলের বিপরীতে এটি ছিল সরকারের একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। লক্ষ্য ছিল, নাগরিকের কাছে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য টেলিযোগাযোগ সেবা পৌঁছে দেওয়া।
দেশপ্রেম থেকে টেলিটকের দুটি সিম সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু যতবারই রিচার্জ করতে যাই, ততবারই পড়তে হয় সীমাহীন ভোগান্তিতে। একাধিক দোকান ঘুরেও মিলে না টেলিটকের রিচার্জ।
দোকান মালিকদের অভিযোগ, রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটরটির কোনো কর্মকর্তা যেমন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না, তেমনি টেলিটকের রিচার্জে আর্থিক তেমন সুবিধাও পান না তারা। ফলে টেলিটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
গ্রাহকদের ধরে রাখা ও দেশের টানে কোনো দোকানি অনলাইন ব্যাংকিং থেকে তাদের নিয়মিত ক্রেতাদের টেলিটকের রিচার্জ দেন। তবে এ সংখ্যা নেহাতই কম।
গ্রাহকপর্যায়ে কেউ কেউ বিকাশ, নগদ, রকেট কিংবা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টেলিটকের রিচার্জ করেন। তবে এ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত না হওয়ায় অনেকেই দোকানদারের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে রিচার্জ না ভোগান্তিতে পেয়ে পড়েন তারা।
এ ছাড়া নেটওয়ার্ক কভারেজ সমস্যা, অভিযোগের সমাধান না পাওয়াসহ নানা সংকট তো আছেই। এসব কারণে হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি অর্থ ব্যয় করা সত্ত্বেও গ্রাহক হারাচ্ছে টেলিটক।
গ্রাহক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে একমাত্র অপারেটর হিসেবে গ্রাহক হারিয়েছিল টেলিটক। ওই বছর ২ লাখ ৩০ হাজার কমে এর গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৪ লাখ ৬০ হাজার।
গত বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে টেলিটকের মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা, যা প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিট লোকসানের ধারাবাহিক প্রবণতার প্রতিফলন।
২০২২-২৩ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন বলছে, ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পর থেকে ২০১০-১১ ও ২০১২-১৩ অর্থবছর ছাড়া কখনো মুনাফা করতে পারেনি টেলিটক। ক্রমবর্ধমান লোকসানের কারণে এখন সরকারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে অপারেটরটি।
আমরা মনে করি, রিচার্জ সহজলভ্য করার পাশাপাশি টেলিটকের সার্বিক সেবা উন্নত না করলে এই সংকট আরো গভীর হবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, গ্রাহকের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে দ্রুত এর সমাধান করুন।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী
দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর টেলিটক, যার গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৬৬ লাখ ৩০ হাজার। বেসরকারি অপারেটরদের একচেটিয়া বাজার দখলের বিপরীতে এটি ছিল সরকারের একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। লক্ষ্য ছিল, নাগরিকের কাছে সাশ্রয়ী ও সহজলভ্য টেলিযোগাযোগ সেবা পৌঁছে দেওয়া।
দেশপ্রেম থেকে টেলিটকের দুটি সিম সংগ্রহ করেছিলাম। কিন্তু যতবারই রিচার্জ করতে যাই, ততবারই পড়তে হয় সীমাহীন ভোগান্তিতে। একাধিক দোকান ঘুরেও মিলে না টেলিটকের রিচার্জ।
দোকান মালিকদের অভিযোগ, রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটরটির কোনো কর্মকর্তা যেমন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না, তেমনি টেলিটকের রিচার্জে আর্থিক তেমন সুবিধাও পান না তারা। ফলে টেলিটক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
গ্রাহকদের ধরে রাখা ও দেশের টানে কোনো দোকানি অনলাইন ব্যাংকিং থেকে তাদের নিয়মিত ক্রেতাদের টেলিটকের রিচার্জ দেন। তবে এ সংখ্যা নেহাতই কম।
গ্রাহকপর্যায়ে কেউ কেউ বিকাশ, নগদ, রকেট কিংবা অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টেলিটকের রিচার্জ করেন। তবে এ পদ্ধতিতে অভ্যস্ত না হওয়ায় অনেকেই দোকানদারের দ্বারস্থ হন। কিন্তু সেখানে রিচার্জ না ভোগান্তিতে পেয়ে পড়েন তারা।
এ ছাড়া নেটওয়ার্ক কভারেজ সমস্যা, অভিযোগের সমাধান না পাওয়াসহ নানা সংকট তো আছেই। এসব কারণে হাজার হাজার কোটি টাকার সরকারি অর্থ ব্যয় করা সত্ত্বেও গ্রাহক হারাচ্ছে টেলিটক।
গ্রাহক পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালে একমাত্র অপারেটর হিসেবে গ্রাহক হারিয়েছিল টেলিটক। ওই বছর ২ লাখ ৩০ হাজার কমে এর গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়ায় ৬৪ লাখ ৬০ হাজার।
গত বছরের ৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে টেলিটকের মোট লোকসানের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ হাজার ৩৩৭ কোটি টাকা, যা প্রতিষ্ঠার পর থেকে নিট লোকসানের ধারাবাহিক প্রবণতার প্রতিফলন।
২০২২-২৩ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন বলছে, ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে যাত্রা শুরুর পর থেকে ২০১০-১১ ও ২০১২-১৩ অর্থবছর ছাড়া কখনো মুনাফা করতে পারেনি টেলিটক। ক্রমবর্ধমান লোকসানের কারণে এখন সরকারের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে অপারেটরটি।
আমরা মনে করি, রিচার্জ সহজলভ্য করার পাশাপাশি টেলিটকের সার্বিক সেবা উন্নত না করলে এই সংকট আরো গভীর হবে। তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ, গ্রাহকের দীর্ঘদিনের ভোগান্তির বিষয়টি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করে দ্রুত এর সমাধান করুন।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী
রাজধানীতে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে দুই ক্ষুদ্র কাপড় ব্যবসায়ী ঢামেক হাসপাতাল ভর্তি হয়েছেন। তাদেরকে অচেতন অবস্থায় তাদের উদ্ধার করা হয়। আহতরা হলেন, নরসিংদীর মাদবদী এলাকার ক্ষুদ্র কাপড় ব্যাবসায়ী মো: সজল (৩০), ও আলামিন(২৭)।
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকা থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম পরিচয় জানা যায়নি। তবে অজ্ঞাতনামা পুরুষের বয়স আনুমানিক ৬০ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেনাগরিকদের কাছে সরকারি সেবা পৌঁছে দিতে রাজধানীতে নতুন তিনটি নাগরিক সেবাকেন্দ্রের যাত্রা শুরু হয়েছে। বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেয়া পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেমেট্রোরেলের কোনো স্টেশনে গিয়ে কার্ড স্ক্যান করে ভেতরে ঢোকার পর যাত্রা না করে বেরিয়ে গেলে ১০০ টাকা ভাড়া কাটবে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এর আগে কেউ কার্ড স্ক্যান করে স্টেশনের ভেতরে যাওয়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে বেরিয়ে গেলে তাকে কোনো ভাড়া দিতে হতো না। নতুন নিয়মে সেই সুযোগ থাকছে না।
৫ ঘণ্টা আগে