মালিকের ছেলেকে অপহরণের মামলায় কর্মচারীর যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫: ৪১

রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে ১৬ বছর আগে মালিকের আড়াই বছরের ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করার মামলায় কর্মচারী সাদ্দাম হোসেন ওরফে মুকুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর এরশাদ আলম (জর্জ) এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, 'আসামি সাদ্দামকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন ট্রাইবুনাল। অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাভোগের সাজা দেয়া হয়।'

তিনি আরো বলেন, এদিন রায় ঘোষণার আগে সাদ্দামকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাদ্দাম কামরাঙ্গীরচরে আবুল খায়েরের প্ল্যাস্টিক কারখানায় পাঁচ হাজার টাকা বেতনে চাকুরী করতো। ২০০৯ সালের ১৫ আগস্ট সাদ্দাম মালিকের আড়াই বছরের শিশুপুত্র আরিফকে অপহরণ করে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আবুল খায়ের কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন। এরপরে ওইদিন রাতেই সাদ্দাম মোবাইলে ফোনে অপহৃত শিশু আরিফকে ফিরত দিতে ৬০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এ ঘটনার পরদিন ১৬ আগস্ট আবুল খায়ের থানায় মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশ মির্জাপুরের গোড়াইল সৈয়দপুরে অভিযান চালিয়ে শিশু আরিফকে উদ্ধার করেন। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কর্মচারি সাদ্দামকে। এ মামলায় ২০০৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তদন্ত শেষে কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মাসুম খান সাদ্দামকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার বিচার চলাকালে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত