আওয়ামী লীগের শাসনামলে গুমের দুই মামলার মানবতাবিরোধী অপরাধে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে আজ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজির করা হবে। গুমের মামলা দুটি হলো টিএফআই এবং জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে নির্যাতন।
ট্রাইব্যুনাল ও আশপাশের এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল থেকেই কড়া নিরাপত্তায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদেরও তৎপর দেখা গেছে।

এসব মামলার পলাতক আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় ইতোমধ্যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুই মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালকসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে গত ৮ অক্টোবর গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীতে ১১ অক্টোবর সংবাদ সম্মেলনে ১৫ জন কর্মরত সেনা কর্মকর্তাকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানায় সেনাবাহিনী। আর ২২ অক্টোবর বুধবার সকালে বাংলাদেশ জেলের একটি বিশেষ প্রিজন ভ্যানে করে সাধারণ পোশাকে ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে আনা হয় । শুনানির পর তাদের ঢাকা সেনানিবাসের নির্ধারিত সাব জেলে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, আজ রোববার যেসব সেনা কর্মকর্তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে তারা হলেন, র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, মো. কামরুল হাসান, মো. মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও আনোয়ার লতিফ খান (অবসর প্রস্তুতিমূলক ছুটিতে), র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মশিউর রহমান জুয়েল, সাইফুল ইসলাম সুমন ও মো. সারওয়ার বিন কাশেম, ডিজিএফআইয়ের সাবেক তিনজন পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী।

