খালেদা জিয়াকে হয়রানি করতেই নাইকো মামলা: আদালত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪: ২৯
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫: ৪৪

রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করতেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদেরকে নাইকো মামলায় জড়িত করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক রবিউল আলমের আদালত নাইকো দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার সময় পর্যবেক্ষণে এমন মন্তব্য করেন। এদিন রায়ে খালেদা জিয়াসহ আটজনকে মামলা থেকে খালাস দেন আদালত।

এদিন ১১ টা ২৪ মিনিটে এজলাসে ওঠে বিচারক বলেন, প্রশ্ন হতে পারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে কিভাবে আসামির আত্মপক্ষ শুনানি করা হচ্ছে। ডিএলআর এর ১৭ থেকে ২১ পর্যন্ত এ বিষয়ে বলা আছে। কোনো আসামি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরায় থাকলে তার অনুপস্থিতিতে আত্মপক্ষ শুনানি করা যায়। আবার রায়ও দেয়া যায়। সেই অনুযায়ী রায় দেয়া হচ্ছে।

রায়ের পর্যবেক্ষণে বিচারক বলেছেন, একই ধরনের মামলা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও ছিলো। যেহেতু এ মামলা চলে নাই, তবুও এ মামলার ফুল ট্রায়াল হয়েছে। আসামি সেলিম ভূঁইয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এর আগে তিনি চার দিনের রিমান্ডে ছিলেন। তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদায় করা হয়। পরে প্রত্যাহারের আবেদনে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন কথা তুলে ধরেণ সেলিম ভূঁইয়া।

এ মামলাটি তেজগাঁও থানার। কিন্তু তাকে রাখা হয় গুলশান থানায়। সেখানে নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষকে ডিনাই করছে। তাদের এটা জানাও নাই। রেকর্ডে দেখা গেছে, তাকে যে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো বর্হিবিভাগের টিকিটও আছে। তাকে বাইরে থেকে ওষুধও কিনে দেয়া হয় এর রশিদও আছে।

আদালত আরো বলেন, সেলিম ভূঁইয়াকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে ফোর্সগুলি ১৬৪ ধারায় নেওয়া হয়েছে। সে কারণে এই ১৬৪ কে ট্রু বলার সুযোগ নাই। এর উদ্দেশ্য হলো গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, কাশেম শরীফসহ অন্যদের জড়ানোর জোরপূর্বক এ ১৬৪ গ্রহণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক কারণে এবং হয়রানি করার জন্য খালেদা জিয়াসহ অপর আসামিদের জড়িত করা হয়েছে।

এ মামলায় খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী,বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এমএএইচ সেলিম ।

মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। তারপক্ষে হাজিরা দেন আইনজীবী। জামিনে থাকা অপর আসামিরা আদালতে হাজির হন। এদিকে সব আসামি খালাস পাওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করে রায়কে ঐতিহাসিক ও দৃষ্টান্তমুলক বলে মন্তব্য করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনার পতনের পর খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে করা ৩৭ মামলার মধ্যে নাশকতা ও মানহানি ২৩ মামলা খারিজ করেছেন আদালত।

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত