মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দিতীয়দিনের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ অব্যাহত রয়েছে। সোমবার আরও দুইজনের সাক্ষ্য নেয়া হয়।
ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে ১৮ জুলাই যাত্রাবাড়িতে আহত আন্দোলনকারীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসায় পারভীনের চোখে গুলি করে পুলিশ। সে দিনের ভয়াবহ এ ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি।
পারভীন ছাড়াও সাক্ষী দেন রাজধানীর ফকিরাপুলে পুলিশের গুলিতে আহত আব্দুল্লাহ আল ইমরান।
আব্দুল্লাহ আল ইমরান ট্রাইব্যুনালে বলেন, পঙ্গু হাসপাতালে এসে শেখ হাসিনা বলেছিলেন ‘নো রিলিজ নো ট্রিটমেন্ট’ এরপর তার পায়ের চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যায়।
তার পায়ে পচন ধরলেও তাকে অপারেশন থিয়েটারেও নেয়া হয় দেরি করে। ওই সাক্ষী আরও বলেন তার বাবা তাকে রিলিজ করে অন্য হাসপাতালে নিতে চাইলে তাও করতে দেয়া হয়নি।
সাক্ষীরা পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ জড়িতদের বিচার দাবি করেন।
বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে এ সাক্ষ্য দেন তারা।

