সাবেক ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এবং পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীরের স্ত্রী জীশান মির্জা এবং কন্যা তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার দুদকের পৃথক তিন আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে এনবিআর'কে (কর অঞ্চল-২০) এ নির্দেশ দেন ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. সাব্বির ফয়েজের আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারি রিয়াজ হোসেন এ তথ্য জানান।
এর আগে দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন তিনজনের আয়কর নথি সরবরাহ চেয়ে আবেদন করেন।
ডিবি হারুনের আবেদনে বলা হয়, হারুন অর রশিদ সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে ১৭ কোটি ৫১ হাজার ১৭ হাজার ৮০৬ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বর্হিভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে দুদক আইনে অপরাধ করেছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার আয়কর নথি জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।
বেনজীরের স্ত্রী'র আবেদনে বলা হয়, জীশান কর্তৃক মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ১৬ কোটি এক লাখ ৭১ হাজার ৩৩৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করে এবং ৩১ কোটি ৬৯ লাখ ৫৫ হাজার ১৪৯ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জন ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারার এবং তার স্বামী বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে তাকে (জীশান) এ অপরাধে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করে দন্ডবিধি'র ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার সকল আয়কর রিটার্নসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র জব্দ করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।
তাহসীন রাইসার আবেদনে বলা হয়, তাহসীন রাইসা বিনতে বেনজীরের ৫ কোটি ৫৯ লাখ ৫৫ হাজার ৮৫ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারার এবং বেনজীর আহমেদ বাংলাদেশ পুলিশ ও র্যাবের গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জীশানকে এ অপরাধে প্রত্যক্ষ সহায়তা করে দন্ডবিধি'র ১০৯ ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হওয়ায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন। শুানানি শেষে ওই আদেশ দেন বিচারক।

