চাঁনখারপুল গণহত্যায় প্রত্যক্ষদর্শী টিপুর জবানবন্দি
স্টাফ রিপোর্টার
জুলাই গণঅভ্যুথানের শেষ মহূর্তে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুলে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে ছয়জন নিহত হন। আহত হন কয়েকশ ছাত্র-জনতা। এ ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী টিপু সুলতান গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার ১২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে তিনি এ জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে টিপু সুলতান বলেন, ‘আমি ঢাকার নিউমার্কেটে কাপড়ের দোকানে চাকরি করি। গত বছর আমার বাসা ছিল নাজিমউদ্দিন রোডে। গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা ১১টা বা সাড়ে ১১টার সময় সে দিনের লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাসা থেকে বের হয়ে চানখারপুল বোরহানউদ্দিন কলেজের সামনে অবস্থান নিই। ওই সময় আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে বর্তমান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও অংশ নেন।’
টিপু সুলতান বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে এগোতে থাকলে বোরহানউদ্দিন কলেজের গেটের সামনে পৌঁছা মাত্র পুলিশ চানখাঁরপুল মোড় থেকে আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলি চালায়। আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। পরবর্তী সময়ে শুনতে পাইÑআমার এলাকার বড়ভাই ইয়াকুব নাজিম উদ্দিন রোডে সোহাগ হোটেলের সামনে গুলিবিদ্ধ হন। আমি সেখানে গিয়ে দেখি ইয়াকুব ভাইয়ের পেট দিয়ে গুলি লেগে পিঠ দিয়ে বের হয়ে গেছে। তার ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। জাহিদ নামের একজন তার টিশার্ট খুলে ইয়াকুবের গুলিবিদ্ধ ক্ষতস্থানে বেঁধে দেন। তারপর একজন আন্দোলনকারী ইয়াকুবকে একটি অটোরিকশায় তুলে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুনেছি, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জবানবন্দিতে টিপু সুলতান বলেন, ‘আমরা বোরহানউদ্দিন কলেজের কাছাকাছি অবস্থান করতে থাকি। পুলিশ গুলি করতে করতে বোরহানউদ্দিন কলেজের গেট পর্যন্ত চলে আসে। পুলিশ আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে সে গুলিটি আমার পাশে থাকা আন্দোলনকারী ইসমামুলের পেটে লেগে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। ইসমামুলকে আমি অটোরিকশায় উঠিয়ে দিলে জনৈক আন্দোলনকারী তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
টিপু সুলতান জানান, ওইদিন চানখাঁরপুলে পুলিশের গুলিতে ছয়জন নিহত হন। তারা হলেনÑশহীদ শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, ইয়াকুব, রাকিব হাওলাদার, ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক।
এদিকে চানখাঁরপুল গণহত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে ১৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে মালামাল সরবরাহকারী। চানখাঁরপুলে বসবাস করি। জুলাই ২০২৪ আন্দোলনে আমি ও আমার ছেলে তৌফাউজ্জামান চার-পাঁচদিন অংশ নিই। ৫ আগস্ট সকালে আমার ছেলে আমাকে না বলে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তখন খুব গোলাগুলি হচ্ছিল। আমি ছেলেকে খুঁজতে বের হয়ে নিমতলী যাই; ফোন করি। ছেলে বলে, আমি নিমতলীর কাছাকাছি আছি। গোলাগুলির জন্য রাস্তা ক্রস করতে পারছি না। তখন আনুমানিক বেলা ১১টা-সাড়ে ১১টা হবে । কিছু সময় পর বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে আমি ও আমার ছেলে খলিফাপট্টি এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিই। আমরা চানখাঁরপুলের দিকে এগোচ্ছিলাম। তখন পুলিশ গুলি করতে করতে আমাদের দিকে আসে। পুলিশের গুলিতে আমার সামনে থাকা জুনায়েদ নামে একজন আন্দোলনকারী মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। তিন-চারজন আন্দোলনকারী জুনায়েদকে রিকশায় তুলে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেদিন বিকালের দিকে জানতে পারি, গুলিবিদ্ধ জুনায়েদ মারা গেছেন। বেলা ২টা থেকে আড়াইটার দিকে জানতে পারি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। সেদিন চানখাঁরপুল এলাকায় পাঁচ-ছয়জন আন্দোলনকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। আমি এ হত্যাকাণ্ডের নিদের্শদাতা শেখ হাসিনা ও গুলির সঙ্গে জড়িত সবার বিচার চাই।
গতকাল পর্যন্ত চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ পর্যন্ত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী রোববার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ । প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামীম। উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ান প্রমুখ।
শুনানির সময় এ মামলার চার আসামিকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেনÑশাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন) আরশেদ হোসেন, কনস্টেবল সুজন মিয়া, ইমাজ হোসেন ইমন ও নাসিরুল ইসলাম।
মামলার পলাতক আসামিরা হলেন—সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল ।
কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলি, অভিযোগ গঠনের আদেশ ১৬ সেপ্টেম্বর
জুলাই আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর রামপুরায় নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থী আমির হোসেনকে গুলি এবং একই এলাকায় অন্য দুজনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের আদেশের জন্য আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এদিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেনÑবিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
জুলাই গণঅভ্যুথানের শেষ মহূর্তে গত বছরের ৫ আগস্ট রাজধানীর চাঁনখারপুলে পুলিশের নির্বিচার গুলিতে ছয়জন নিহত হন। আহত হন কয়েকশ ছাত্র-জনতা। এ ঘটনার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী টিপু সুলতান গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার ১২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে তিনি এ জবানবন্দি দেন।
জবানবন্দিতে টিপু সুলতান বলেন, ‘আমি ঢাকার নিউমার্কেটে কাপড়ের দোকানে চাকরি করি। গত বছর আমার বাসা ছিল নাজিমউদ্দিন রোডে। গত বছরের ৫ আগস্ট বেলা ১১টা বা সাড়ে ১১টার সময় সে দিনের লংমার্চ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাসা থেকে বের হয়ে চানখারপুল বোরহানউদ্দিন কলেজের সামনে অবস্থান নিই। ওই সময় আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে বর্তমান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও অংশ নেন।’
টিপু সুলতান বলেন, ‘আমরা সামনের দিকে এগোতে থাকলে বোরহানউদ্দিন কলেজের গেটের সামনে পৌঁছা মাত্র পুলিশ চানখাঁরপুল মোড় থেকে আমাদের লক্ষ্য করে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলি চালায়। আমরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাই। পরবর্তী সময়ে শুনতে পাইÑআমার এলাকার বড়ভাই ইয়াকুব নাজিম উদ্দিন রোডে সোহাগ হোটেলের সামনে গুলিবিদ্ধ হন। আমি সেখানে গিয়ে দেখি ইয়াকুব ভাইয়ের পেট দিয়ে গুলি লেগে পিঠ দিয়ে বের হয়ে গেছে। তার ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। জাহিদ নামের একজন তার টিশার্ট খুলে ইয়াকুবের গুলিবিদ্ধ ক্ষতস্থানে বেঁধে দেন। তারপর একজন আন্দোলনকারী ইয়াকুবকে একটি অটোরিকশায় তুলে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। শুনেছি, সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
জবানবন্দিতে টিপু সুলতান বলেন, ‘আমরা বোরহানউদ্দিন কলেজের কাছাকাছি অবস্থান করতে থাকি। পুলিশ গুলি করতে করতে বোরহানউদ্দিন কলেজের গেট পর্যন্ত চলে আসে। পুলিশ আমাকে লক্ষ্য করে গুলি করলে সে গুলিটি আমার পাশে থাকা আন্দোলনকারী ইসমামুলের পেটে লেগে পিঠ দিয়ে বের হয়ে যায়। ইসমামুলকে আমি অটোরিকশায় উঠিয়ে দিলে জনৈক আন্দোলনকারী তাকে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাকে সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনদিন পর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
টিপু সুলতান জানান, ওইদিন চানখাঁরপুলে পুলিশের গুলিতে ছয়জন নিহত হন। তারা হলেনÑশহীদ শাহরিয়ার খান আনাস, শেখ মাহদী হাসান জুনায়েদ, ইয়াকুব, রাকিব হাওলাদার, ইসমামুল হক ও মানিক মিয়া শাহরিক।
এদিকে চানখাঁরপুল গণহত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে ১৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন মনিরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে মালামাল সরবরাহকারী। চানখাঁরপুলে বসবাস করি। জুলাই ২০২৪ আন্দোলনে আমি ও আমার ছেলে তৌফাউজ্জামান চার-পাঁচদিন অংশ নিই। ৫ আগস্ট সকালে আমার ছেলে আমাকে না বলে আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যায়। তখন খুব গোলাগুলি হচ্ছিল। আমি ছেলেকে খুঁজতে বের হয়ে নিমতলী যাই; ফোন করি। ছেলে বলে, আমি নিমতলীর কাছাকাছি আছি। গোলাগুলির জন্য রাস্তা ক্রস করতে পারছি না। তখন আনুমানিক বেলা ১১টা-সাড়ে ১১টা হবে । কিছু সময় পর বেলা আনুমানিক ১২টার দিকে আমি ও আমার ছেলে খলিফাপট্টি এলাকায় আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দিই। আমরা চানখাঁরপুলের দিকে এগোচ্ছিলাম। তখন পুলিশ গুলি করতে করতে আমাদের দিকে আসে। পুলিশের গুলিতে আমার সামনে থাকা জুনায়েদ নামে একজন আন্দোলনকারী মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়। তিন-চারজন আন্দোলনকারী জুনায়েদকে রিকশায় তুলে মিটফোর্ড হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেদিন বিকালের দিকে জানতে পারি, গুলিবিদ্ধ জুনায়েদ মারা গেছেন। বেলা ২টা থেকে আড়াইটার দিকে জানতে পারি শেখ হাসিনা পালিয়ে গেছে। সেদিন চানখাঁরপুল এলাকায় পাঁচ-ছয়জন আন্দোলনকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। আমি এ হত্যাকাণ্ডের নিদের্শদাতা শেখ হাসিনা ও গুলির সঙ্গে জড়িত সবার বিচার চাই।
গতকাল পর্যন্ত চানখাঁরপুলে ছয়জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ পর্যন্ত ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়েছে। আগামী রোববার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ । প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামীম। উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ান প্রমুখ।
শুনানির সময় এ মামলার চার আসামিকে গতকাল ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তারা হলেনÑশাহবাগ থানার সাবেক পরিদর্শক (অপারেশন) আরশেদ হোসেন, কনস্টেবল সুজন মিয়া, ইমাজ হোসেন ইমন ও নাসিরুল ইসলাম।
মামলার পলাতক আসামিরা হলেন—সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা অঞ্চলের সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার শাহ আলম আখতারুল ইসলাম ও রমনা অঞ্চলের সাবেক সহকারী কমিশনার মোহাম্মদ ইমরুল ।
কার্নিশে ঝুলে থাকা ছাত্রকে গুলি, অভিযোগ গঠনের আদেশ ১৬ সেপ্টেম্বর
জুলাই আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর রামপুরায় নির্মাণাধীন ভবনের কার্নিশে ঝুলে থাকা শিক্ষার্থী আমির হোসেনকে গুলি এবং একই এলাকায় অন্য দুজনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানি শেষ হয়েছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) গঠনের আদেশের জন্য আগামী ১৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এদিন ধার্য করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেনÑবিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন নিজের অপরাধ গোপন করে অন্যের ঘাড়ে বন্দুক রেখে বাঁচার জন্য অ্যাপ্রুভার হয়েছেন।
১৯ মিনিট আগেআবেদনে বলা হয়, সেলিম প্রধান দেশের মানুষের নিরাপত্তা বিঘ্ন ঘটানো ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি প্রয়াসে একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের অর্থযোগানদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতা হিসেবে সক্রিয়ভাবে দেশবিরোধী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করে। সে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেসরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে মামলায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর তৃতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
২ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ বছর গুমের শিকার ব্যারিস্টার মীর আহমেদ বিন কাশেম আরমান বলেছেন, সেনানিবাসের ভেতরে যে সাবজেল রয়েছে সেখানে জেল কোড ফলো হচ্ছে কিনা, যাদের রাখা হয়েছে তারা কি কোনোভাবে সার্ভিং সেনা সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করছে কিনা, এটি নিশ্চিত করা খুবই জরুরি।
৩ ঘণ্টা আগে