আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

৭ জনকে কুপিয়ে জখম, মোহাম্মদপুরে ‘পাটালি গ্রুপের’ ৪৪ সদস্য আটক

বিশেষ প্রতিনিধি
৭ জনকে কুপিয়ে জখম, মোহাম্মদপুরে ‘পাটালি গ্রুপের’ ৪৪ সদস্য আটক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় একই পরিবারের ৭ জনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় জড়িত ‘কিশোর গ্যাংয়ের’ ৪৪ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহীনকেও এ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটনের ডিসি মিডিয়া মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

ডিসি মিডিয়া গণমাধ্যমকে জানান, মোহাম্মদপুরের ওই ঘটনায় সাড়াশি অভিযানে কুখ্যাত ‘পাটালি গ্রুপের’ শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহিনসহ ৪৪ জন গ্রেফতার করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের নেতৃত্বে রায়েরবাজার বোটঘাট এলাকায় সাড়াশি অভিযানে কুখ্যাত ‘পাটালি গ্রুপ’-এর সেকেন্ড ইন কমান্ড শাহিনসহ মোট ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার রাতব্যাপী রায়েরবাজারের বোটঘাট এলাকায় সাড়াশি অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলো: ১। শাহিন (২১), ২। শ্রীনাথ মন্ডল (২৫), ৩। আসাদ (৫৫), ৪। কুরবান (২৬), ৫। সাকিব (২২), ৬। সজিব (১৯), ৭। পারভেজ (২০), ৮। মোশাররফ (২৫), ৯। রুবেল (২৭), ১০। রিয়াজ (১৮), ১১। শাহীন (২৮), ১২। ইমন (২৫), ১৩। রকি (২২), ১৪। রাজা (৩৮), ১৫। তুষার (২৫), ১৬। সজল (২৮), ১৭। হেলাল (৩৭), ১৮। হৃদয় (২১), ১৯। মুরসালিন (২০), ২০। মামন (২০), ২১। সাফায়েত (২০), ২২। শুভ (১৯), ২৩। সালমান (১৮), ২৪। মাজহারুল (১৮), ২৫। রাব্বি (১৮), ২৬। আবজাল (১৯), ২৭। ইয়াসিম (১৯), ২৮। জহিরুল (১৯), ২৯। বাবু (১৯), ৩০। রুমান (২১), ৩১। জহিরুল (১৮), ৩২। সুমন (৩০), ৩৩। সোকেল (১৮), ৩৪। এমদাদুল (২৫), ৩৫। সাগর (২২), ৩৬। শাকিব (২০), ৩৭। উজ্জ্বল (৩১), ৩৮। আকরাম (২০), ৩৯। জিসান (২৩), ৪০। জিল্লুর (২৩), ৪১। হৃদয় (৩১), ৪২। শাকিব (২২), ৪৩। রিয়াজ (২৮) ও ৪৪। সোহাগ (২৮)।

মোহাম্মদপুর থানা সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ মে গভীর রাতে মোহাম্মদপুরের ইত্যাদি মোড় এলাকার বাসিন্দা রাব্বির বাসার সামনে তার পরিবারের ৬ সদস্যকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পাটালি গ্রুপের সদস্যরা। এ নৃশংস হামলার পরই মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ ব্যাপক তৎপরতা শুরু করে এবং অভিযানের মাধ্যমে দুষ্কৃতকারীদের ধরতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আরো রয়েছে পেশাদার মাদক কারবারি, ছিনতাইকারী, পরোয়ানাভুক্ত আসামি ও বিভিন্ন অপরাধে জড়িত অপরাধী।

গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন: স্বপন, সাব্বির, রাব্বি, কাসেম, আফজাল, ফাতেমা বেগম ও মামুন। এদের মধ্যে চারজন গুরুতর আহত অবস্থায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আফজাল হোসেন বলেন, ‘বুধবার রাতে আমরা বাড়ির সামনে বসে ছিলাম। হঠাৎ দেখি দুইজন কমবয়সী ছেলে আমাদের বাড়ির দিকে উঁকি দিচ্ছে। তখন আমি তাদের ডেকে জিজ্ঞেস করি, তোমরা কারা? এ সময় কিশোরগুলো এমনভাবে কথা বলছিল মনে হলো তারা কোনো অপরাধ করতে এসেছে। তখন আমার সঙ্গে দাঁড়িয়ে থাকা রাব্বি তাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করায় তারা উত্তেজিত হয়ে মারতে আসে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক পর্যায়ে রাব্বি তাদের একজনকে একটু কড়া ভাষায় কথা বলায় তারা আরও রেগে যায়। এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে রাব্বির হাতাহাতি হয়। এরপর তারা তাদের গ্রুপের অন্যদের ফোন দেয়। ৪-৫ মিনিট পর আরো ১০-১৫ জন দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে এসে এলোপাতাড়ি কোপাতে শুরু করে। এতে আমার হাতের রগ কেটে যায় এবং আমার পরিবারের সাতজন সদস্য গুরুতর আহত হয়। পরে আহত অবস্থায় সবাইকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল ও পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়। এদের মধ্যে আমার বড় ভাই স্বপনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন