আনিসুল-হেলালুদ্দীনকে নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ২৫
ফাইল ছবি

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পৃথক দুই হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে বিএনপির করা শেরেবাংলা নগর থানার মামলায় নির্বাচন কমিশনের সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সোমবার দুুপরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুল ইসলামের আদালত এ আদেশ দেন। এদিন আনিসুল হককে দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই আবুল ফারেজ জুয়েল। অন্যদিকে হেলালুদ্দীন আহমেদকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পরিদর্শক সৈয়দ সাজেদুর রহমান।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুদ্দোহা সুমন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এদিন আদালত আসামিদের হাজির জরা হয়। পরে তাদের উপস্থিতিতে শুনানি শেষে আদালত গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।

জুলাই আন্দোলনে গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে রাজধানীর ইডেন কলেজের সামনে দিয়ে বাসায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মোহাম্মদ শাওন সিকদার। এ ঘটনায় গত ২১ জানুয়ারি লালবাগ থানায় শেখ হাসিনাসহ ৪০ জনকে আসামি করে আত্মীয় পরিচয়ে মামলা করেন ইকবাল মজুমদার তৌহিদ।

এছাড়া আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই লালবাগ থানাধীন আজিমপুর সরকারি কলোনির ভেতর আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা, গুলিবর্ষণ করা হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হন আশরাফুল। এ ঘটনায় গত ২৫ মে শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আশরাফুল।

সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ২২ জুন বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশনের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন না করে উল্টো ভয়-ভীতি দেখিয়ে জনগণের ভোট ছাড়াই নির্বাচন সম্পন্ন করার অভিযোগে মামলা করে বিএনপি। মামলায় ২০১৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, ২০১৮ সালের নির্বাচনে সিইসি এ কে এম নূরুল হুদা ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে আসামি করা হয়। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ মামলার আসামি। পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হাসান মাহমুদ খন্দকার, এ কে এম শহীদুল হক, জাবেদ পাটোয়ারী, বেনজির আহমেদ ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে।

মামলায় অভিযোগ, বিগত তিনটি নির্বাচনে গায়েবি মামলা, অপহরণ, গুম খুন ও নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে, বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখা হয়। সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে থাকা সত্ত্বেও সংবিধান লঙ্ঘন, নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন, সরকারি কর্মচারী হয়েও অবৈধভাবে ভোটে হস্তক্ষেপ, ভয়ভীতি দেখিয়ে ভোটের কাজ সম্পূর্ণ করা। এছাড়াও জনগণের ভোট না পেলেও সংসদ সদস্য হিসেবে মিথ্যাভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত