প্যানেল তৈরিতে তোড়জোড়, কারো চিন্তায় জোট

মাঈন উদ্দিন, শাবিপ্রবি
প্রকাশ : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১: ৪৬

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২৮ বছর পর হতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (শাকসু) নির্বাচন। এরই মধ্যে ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে ছাত্রসংগঠনগুলোর নানা কার্যক্রম। কোনো কোনো সংগঠন ব্যস্ত কীভাবে প্যানেল তৈরি করবে। আবার কেউ কেউ করছে জোট গঠনের পরিকল্পনা।

বিজ্ঞাপন

তবে ভিন্নপথে দেখা যাচ্ছে ছাত্রদলকে। তাদের দাবি, আগে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি চালু হোক, এরপর যথাযথ সময় দিয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের আয়োজন।

ছাত্র সংগঠনগুলো শাকসু নিয়ে তাদের ভাবনা ও পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকার বলেন, আমরা উপাচার্যের কাছে চিঠি দিয়েছি ছাত্ররাজনীতি চালুর জন্য। ছাত্ররাজনীতি চালুর পর যথাযথ সময় দিতে হবে, যাতে সব ছাত্রসংগঠন তাদের কাজ শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পারে।

এখানে চক্রান্ত করে কিছু সংগঠনকে সুবিধা দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। ছাত্ররাজনীতি চালু না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র সংসদ নিয়ে কোনো পরিকল্পনাই আসে না। প্রথমে ছাত্ররাজনীতি চালু করে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হোক। পরে শাকসু নিয়ে চিন্তা করা হবে।

ছাত্রশিবির শাবিপ্রবি শাখার সভাপতি তারেক মনোয়ার বলেন, আমরা সব সময় শিক্ষার্থীদের কল্যাণমূলক রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। শাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। দীর্ঘ ২৮ বছর পর এ নির্বাচনের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের প্রত্যাশা পূরণের নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। তবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং এজন্য একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন অপরিহার্য।

নিরপেক্ষভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি জানিয়ে ছাত্র মজলিসের সভাপতি জুনায়েদ আহমদ বলেন, আমাদের সংগঠনের পরিকল্পনা পুরো প্যানেল দেওয়ার। সে অনুযায়ী আমরা এগোচ্ছি।

সংগঠন চিন্তা করেছে আমাদের প্যানেলে পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের কাওসার আহমদকে ভিপি ও জুনায়েদ আহমদকে জিএস করে প্যানেল ঘোষণা করার।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন গঠনের পর আমাদের পুরো প্যানেল দেখতে পাবেন।

ছাত্র আন্দোলন শাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আজাদ শিকদার বলেন, আমাদের সংগঠন শাকসু নিয়ে ইতিবাচক। আমরা জুলাই আন্দোলনের পর থেকেই শাকসু নিয়ে বিভিন্ন সময় আওয়াজ তুলেছি। আমাদের দাবি, অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক।

তিনি তাদের সংগঠনের প্যানেল নিয়ে বলেন, সংগঠন চিন্তা করছে শাকসু নির্বাচনে জোট করার। এজন্য সব রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তবে আলাদা প্যানেল দেওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।

ছাত্র ইউনিয়নের সংগঠক জুবায়ের আহমেদ জুয়েল অরাজনৈতিক শিক্ষকদের দ্বারা স্থায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়ে বলেন, আমরা শাকসু নিয়ে ইতিবাচক। শাকসু নির্বাচনে আমাদের প্যানেল দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা সংগঠন থেকে পুরো প্যানেল দেব, পরিকল্পনা রয়েছে অরাজনৈতিক শিক্ষার্থী কয়েকজন রাখারও।

আমাদের প্যানেলে ভিপি হিসেবে রাখব ইংরেজি বিভাগের নাজনীন লিজা এবং জিএস হিসেবে আমি জুবায়ের আহমেদ জুয়েল। আমাদের প্রথম ইশতিহার হবে শাকসু একাডেমিক ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত