অনিয়মের কারণে পাঁচ মাদ্রাসা প্রধানের এমপিও স্থগিত ও শোকজ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৫, ১৮: ০৩

বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দেশের পাঁচটি মাদ্রাসা প্রধানের এমপিও স্থগিত করেছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার অধিদপ্তরের আলাদা পাঁচটি চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। চিঠিগুলো সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসা প্রধানদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

অধিদপ্তরের নির্দেশনা লঙ্ঘন, অর্থ আত্মসাৎ, সনদ জালিয়াতিসহ আলাদা অভিযোগে এ সব মাদ্রাসা শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। তিন কর্মদিবসের মধ্যে তাদের কারণ জবাব দিতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

শোকজ হওয়া মাদ্রাসা প্রধানরা হলেন-কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার দাসনাইপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আবু ইউসুফ, নওগাঁ জেলার বদলগাছি উপজেলার নুনুজ কলিমিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলাম, লালমনিরহাট জেলার সদরের লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার শেখবাধাঁ রেয়াজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. সাইফুল ইসলাম ও কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলারা রিংভং রাহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মোহাম্মদ আবু হুরাইরা।

চিঠি সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট উপজেলার দাসনাইপাড়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো. আবু ইউসুফের বিরুদ্ধে নাজমা আক্তারে বিধিবহির্ভূতভাবে বেতন ভাতা বন্ধ রাখার অভিযোগ রয়েছে। পরবর্তীতে অধিদপ্তরের পরিদর্শক থেকে বিধি মোতাবেক তার বেতন ভাতা পুনরায় চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারকে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু সুপার এ নির্দেশনায় তার বেতন ভাতা ছাড় করেন নি যা মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত প্রতিপালন না করার শামিল এ জন্য তার এমপিও সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে এবং কেনো স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না এ জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

বদলগাছি উপজেলার নুনুজ কলিমিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে উপবৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের বিপরীতে টিউশন ফি বাবদ সরকারি অর্থ উত্তোলন করে তা সরকারি বিধি মোতাবেক খরচ না করে আত্মসাৎ করা এবং বিভিন্ন সময়ে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগের বিষয়ে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার অভিযোগ তোলা হয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে তার এমপিও সাময়িক স্থগিত এবং কেনো স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না এ জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

লালমনিরহাট নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার বরখাস্ত হওয়া অধ্যক্ষ মো. মোসলেম উদ্দিনের বরখাস্ত প্রত্যাহার করে বেতন ভাতা দেয়ার জন্য চিঠি পাঠানো হয়। কিন্তু এ পর্যন্ত বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম তা বাস্তবায়ন করেননি। এ জন্য মো. রফিকুল ইসলামের এমপিও সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে এবং কেনো স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না এ জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

দেবীগঞ্জ উপজেলার শেখবাঁধা রেয়াজিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার মো.সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, সরকারী অনুদানের টাকা যথাযথভাবে ব্যয় না করা, কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের বিষয় প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার এমপিও সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। কেনো স্থায়ীভাবে বন্ধ করা হবে না এ জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলারা রিংভং রাহমানিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী সুপার মোহাম্মদ আবু হুরাইরার এনটিআরসিএ প্রদত্ত সুপারিশপত্র জাল ও ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে তার এমপিও সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে এবং কেনো স্থানীয়ভাবে বন্ধ করা হবে না এ জন্য কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত