এইচএসসির ফলে মান ফিরেছে

রকীবুল হক ও ইসমাঈল হোসাইন সোহেল
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৮: ৫৭
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ১৫

২০২৫ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের চিত্র আগের বছরগুলোর চেয়ে অনেক পাল্টে গেছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফল অনুযায়ী দেশের ৯টি সাধারণ এবং মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষায় পাসের হার গত ২১ বছরের তুলনায় কম। জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যাও অনেক কমেছে।

এবার ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৯ হাজার ৯৭ জন। গত বছর এ পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ ছিল এক লাখ ৪৫ হাজার ৯১১।

বিজ্ঞাপন

মহানগর ও জেলা শহরের তুলনায় উপজেলা পর্যায়ে পাসের হার কম। এছাড়া ইংরেজি, গণিত ও আইসিটিতে শিক্ষার্থীরা খারাপ ফল করেছেন বলে জানা গেছে। চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায়ও পাসের হার আগের চেয়ে অনেক কম (৬৮ দশমিক ৪৫ শতাংশ) ছিল।

তবে এবারের ফলাফলকে শিক্ষা ও মূল্যায়নের প্রকৃত চিত্র বলে মনে করছেন শিক্ষাবিদ, মন্ত্রণালয় ও বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে, দীর্ঘদিন পর বোর্ড পরীক্ষার ফলে স্বাভাবিক মান ফিরে এসেছে। পতিত আওয়ামী সরকারের সময়ে পরীক্ষার খাতা মূল্যায়নে বেশি নম্বর দেওয়ার বিশেষ নির্দেশনার সে রেওয়াজ এবার ছিল না। বরং পরীক্ষকদের স্বাভাবিক মূল্যায়নের কথা বলা হয় শিক্ষাবোর্ড থেকে। তবে এত ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থী পাস না করার কারণ উদঘাটন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বোর্ড কর্তৃপক্ষ।

গতকাল সকাল ১০টায় ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ডের এইচএসসি, মাদরাসা বোর্ডের আলিম ও কারিগরির এইচএসসি ভোকেশনাল, বিএম ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষার ফল একযোগে প্রকাশ করা হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সভাকক্ষে ফলাফলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. খন্দোকার এহসানুল কবির।

তিনি জানান, গত ২৬ জুন এবারের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়ে ১৯ আগস্ট শেষ হয়। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৭ দিনের মাথায় তথ্যপ্রযুক্তির সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে ফলাফল প্রকাশিত হলো। এ সময় বোর্ডের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরে এসএসসি ফল ও শিক্ষার চলমান নানা বিষয় নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সিআর আবরার। তিনি বলেন, এবার এসএসসির ফল প্রকাশের পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে যে উদ্বেগ উঠেছিল, আমি তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছি। আমি সব শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছিÑযেন ভবিষ্যৎ পরীক্ষায়, বিশেষ করে এইচএসসি মূল্যায়নে, সীমান্তরেখায় থাকা শিক্ষার্থীদের প্রতি সর্বোচ্চ ন্যায্যতা বজায় রাখা হয়, কিন্তু একই সঙ্গে যেন ফলাফলের বাস্তবতা বিকৃত না হয়। আমরা অতিরিক্ত নম্বর দিয়ে সন্তুষ্টি নয়, বরং ন্যায্য নম্বর দিয়ে সততাকে বেছে নিয়েছি।

উপদেষ্টা বলেন, আগামী সপ্তাহে শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি জাতীয় শিক্ষা পরামর্শ সভা আহ্বান করছে। সেখানে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বোর্ড, বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রযুক্তি খাতের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। আমরা সবাই মিলে প্রশ্ন করব: কী ভুল হচ্ছে, কেন হচ্ছে এবং কীভাবে তা বদলানো যায়।

সূত্রমতে, ১১টি শিক্ষা বোর্ডে এবার ১২ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬১ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন সাত লাখ ২৬ হাজার ৯৬০ জন (৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ)। ৫৪ দশমিক ৬০ শতাংশ ছাত্র এবং ৬২ দশমিক ৯৭ শতাংশ ছাত্রী পাস করেছেন। মোট ৬৯ হাজার ৯৭ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছাত্র ৩২ হাজার ৫৩ এবং ছাত্রী ৩৭ হাজার ৪৪ জন। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এগিয়ে মেয়েরা। এবার সব বোর্ড মিলে ছাত্রের চেয়ে ৫৯ হাজার ২৩২ জন বেশি ছাত্রী পাস করেছেন এবং চার হাজার ৯৯১ জন বেশি ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এবার বিদেশের আটটি কেন্দ্র থেকে অংশগ্রহণকারী ২৯১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ২৭৯ জন (৯৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ)।

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের ফলে দেখা গেছে, ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৬ জন (৫৭ দশমিক ১২ শতাংশ)। এসব বোর্ডে মোট জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬৩ হাজার ২১৯ জন। ছেলেদের চেয়ে ৮৭ হাজার ৮১৪ জন বেশি মেয়ে বেশি পাস এবং পাঁচ হাজার ৯৭ জন বেশি মেয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে।

আলিম পরীক্ষায় ৮২ হাজার ৮০৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬২ হাজার ৬০৯ জন (৭৫ দশমিক ৬১ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে চার হাজার ২৬৮ জন। এ বোর্ডে পাসে মেয়েরা (৭৭ দশমিক ০১ শতাংশ) এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেরা এগিয়ে আছে।

কারিগরি বোর্ডের পরীক্ষায় এক লাখ পাঁচ হাজার ৬১০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৬৬ হাজার ১৮৫ জন (৬২ দশমিক ৬৭ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে এক হাজার ৬১০ জন। পাস ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তি উভয় ক্ষেত্রে মেয়েরা এগিয়ে আছে।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) তথ্যানুসারে, ২০০৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৫৯ শতাংশের বেশি। এরপর থেকে তা বাড়তে বাড়তে ২০০৮ সালে হয় প্রায় ৭৫ শতাংশ। কিন্তু ২০০৯ সালে তা কমে যায় ৭০ দশমিক ৪৩ শতাংশে। এর পরবর্তী বছরগুলোতে পাসের হার ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করেছে। অবশ্য তিন বছর (২০১৫, ২০১৭ ও ২০১৮) ৭০ শতাংশের নিচে নেমেছিল।

২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সরাসরি পরীক্ষা না হওয়ায় ‘বিশেষ প্রক্রিয়ায়’ সবাই উত্তীর্ণ হয়। এরপর ২০২১ ও ২০২২ সালে ভিন্ন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় পাসের হার ছিল এক বছর ৮৪ শতাংশের বেশি, আরেক বছর ৯৫ শতাংশের বেশি। কিন্তু ২০২৩ সালে তা আবার ৮০ শতাংশের নিচে নেমে আসে। গত বছর পাসের হার ছিল ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। আর এ বছর পৌঁছায় ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশে। অর্থাৎ প্রায় ১৯ শতাংশ কমেছে।

এবারের এইচএসসির ফলকে বাস্তবতার প্রতিফলন বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমান। তিনি আমার দেশকে বলেন, বিগত সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীদের দেখেছি, যে জিপিএ নিয়ে তারা আসে, বাস্তবে সেই মানের দেখতে পাইনি। অর্থাৎ তাদের রেজাল্টের সঙ্গে বাস্তবতার মিল ছিল না। হয়তো এবারের ফল বাস্তবতারই প্রতিফলন।

শহরের চেয়ে মফস্বলের ফল খারাপ

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক খন্দোকার এহসানুল কবির ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানান, শহর থেকে মফস্বলের ফল তুলনামূলক অনেক খারাপ। সব বোর্ডের ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষণ এরকম। এর পেছনে কারণ মফস্বলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তুলনামূলক সুযোগ-সুবিধা ও শিক্ষকের ঘাটতি। এছাড়া আরো অনেক কারণ থাকতে পারে।

ব্যাপক সংখ্যক শিক্ষার্থী ফেল করার বিষয়ে খন্দোকার এহসানুল কবির বলেন, এই যে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী পাস করল না, এটা তো কাঙ্ক্ষিত নয়। এক্ষেত্রে গলদের জায়গাগুলো ঠিক করতে হবে। সেই দায়িত্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের, সেই দায়িত্ব বোর্ডের, সেই দায়িত্ব সবার।

৯ সাধারণ বোর্ডের ফল বিশ্লেষণ

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দুই হাজার ৬৮৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরীক্ষায় অংশ নেয়। এতে ১০ লাখ ৪৭ হাজার ২২৪২ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন পাঁচ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৬ জন। পাসের হার ৫৭ দশমিক ১২ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৬৩ হাজার ২১৯ জন। ৫২ দশমিক ১৭ শতাংশ ছাত্র এবং ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ ছাত্রী পাস করেছেন। এছাড়া ২৯ হাজার ৬১ জন ছাত্র এবং ৩৪ হাজার ১৫৮ ছাত্রী জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

ঢাকা বোর্ডের দুই লাখ ৯২ হাজার ১৬০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন এক লাখ ৮৮ হাজার ৭৮৩ জন (৬৪ দশমিক ৬২ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৬ হাজার ৬৩ জন (৮ দশমিক ৯২ শতাংশ)। রাজশাহী বোর্ডের এক লাখ ৩০ হাজার ৮৮৭ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৭৭ হাজার ৭৪২ জন (৫৯ দশমিক ৪০ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১০ হাজার ১৩৭ জন (৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ)।

কুমিল্লা বোর্ডের ৯৯ হাজার ৫৭৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৪৮ হাজার ৬৫৭ জন (৪৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছেন দুই হাজার ৭০৭ জন (২ দশমিক ৭২ শতাংশ)। যশোর বোর্ডের এক লাখ ১২ হাজার ৫৭৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৫৬ হাজার ৫০৯ জন (৫০ দশমিক ২০ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছেন পাঁচ হাজার ৯৯৫ জন (৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ)।

চট্টগ্রাম বোর্ডের এক লাখ এক হাজার ৮৮৮ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৫৩ হাজার ৫৬০ জন (৫২ দশমিক ৫৭ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ছয় হাজার ৯৭ জন (৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ)। বরিশাল বোর্ডের ৫৯ হাজার ২৩৯ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৩৭ হাজার ৬৬ জন (৬২ দশমিক ৫৭ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৬৭৪ জন (২ দশমিক ৮৮ শতাংশ)।

সিলেট বোর্ডের ৬৯ হাজার ১৭২ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৩৫ হাজার ৮৭১ জন (৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছেন এক হাজার ৬০২ জন (২ দশমিক ৩২ শতাংশ)। দিনাজপুর বোর্ডের এক লাখ পাঁচ হাজার ৮৯১ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৬০ হাজার ৮৮২ জন (৫৭ দশমিক ৪৯ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ছয় হাজার ২৬০ জন (৫ দশমিক ৯১ শতাংশ)। এছাড়া ময়মনসিংহ বোর্ডের ৭৫ হাজার ৮৫৫ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছেন ৩৯ হাজার ৯৬ জন (৫১ দশমিক ৫৪ শতাংশ)। জিপিএ-৫ পেয়েছেন দুই হাজার ৬৮৪ জন (৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ)।

৯ বোর্ডে গ্রুপভিত্তিক তথ্য

৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের বিজ্ঞান ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি বিভাগ থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ১০০ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছেন ৯৯ হাজার ২৯৬ জন (৭৭ দশমিক ৫১ শতাংশ)। আর এক লাখ ৩৪ হাজার ৫৯ ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছেন এক লাখ সাত হাজার ৭৭ জন (৭৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ)। মানবিক ইসলাম শিক্ষা ও সংগীত বিভাগ থেকে দুই লাখ ৬২ হাজার ৫৮২ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছেন এক লাখ ৬ হাজার ৪৬৩ জন (৪০ দশমিক ৫৪ শতাংশ)। তিন লাখ ৪৩ হাজার ৭০০ ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছেন এক লাখ ৮৫ হাজার ৯৪৯ জন (৫৪ দশমিক ১০ শতাংশ)। এছাড়া ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৯৮ হাজার ৪০৫ জন ছাত্রের মধ্যে পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৪১৭ জন (৫০ দশমিক ২২ শতাংশ)। আর ৮০ হাজার ৩৯৬ ছাত্রীর মধ্যে পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯৬৪ জন (৬২ দশমিক ১৫ শতাংশ)।

বাংলায় এগিয়ে রাজশাহীর শিক্ষার্থীরা, ইংরেজিতে বরিশাল

বিষয়ভিত্তিক ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইংরেজিতে সবচেয়ে ভালো করেছেন বরিশাল বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। বাংলা ও যুক্তিবিদ্যায় সবচেয়ে ভালো করেছেন রাজশাহী বোর্ডের শিক্ষার্থীরা। এছাড়া আইসিটিতে এগিয়ে যশোর এবং পদার্থবিজ্ঞান ও হিসাববিজ্ঞানে পাসের শীর্ষে ঢাকা বোর্ড।

দিনাজপুর বোর্ডে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান বেশি

এবার শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বেড়েছে। অন্যদিকে কমেছে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। একজন শিক্ষার্থীও উত্তীর্ণ হতে পারেননি এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০২টিতে। গত বছর এই সংখ্যা ছিল ৬৫। অন্যদিকে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করা প্রতিষ্ঠান কমে ৩৪৫টিতে দাঁড়িয়েছে। গত বছর ছিল এক হাজার ৩৮৮টি।

বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দেশের ১১টি শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে এ বছর সবচেয়ে বেশি শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান দিনাজপুরে এবং শতভাগ উত্তীর্ণ সবচেয়ে বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে মাদরাসা বোর্ডে।

ফলাফল অনুযায়ী, ঢাকা বোর্ডে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান ৩৪টি আর শতভাগ উত্তীর্ণ ২৫টি। এছাড়া রাজশাহীতে শূন্য পাস ৩৫টি ও শতভাগ উত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠান ১৮টি; কুমিল্লায় শূন্য পাস ৯টি ও শতভাগ পাস ৫টি, যশোরে শূন্য পাস ২০টি ও শতভাগ উত্তীর্ণ ৫টি, চট্টগ্রামে শূন্য পাস ৫টি ও শতভাগ উত্তীর্ণ ৮টি, বরিশালে শূন্য পাস ১২টি ও শতভাগ উত্তীর্ণ ২টি, সিলেটে শূন্য পাস ৪টি ও শতভাগ উত্তীর্ণ ৩টি, দিনাজপুরে শূন্য পাস ৪৩টি ও শতভাগ উত্তীর্ণ ১১টি, ময়মনসিংহে শূন্য পাস ১৫টি ও শতভাগ উত্তীর্ণ ৩টি, মাদরাসা বোর্ডে শূন্য পাস ২৫টি ও শতভাগ উত্তীর্ণ ১৯৬টি। অন্যদিকে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠান নেই। এ বোর্ডে শতভাগ উত্তীর্ণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ৬৯টি।

সাব-জেলে অভিযুক্ত সেনা কর্মকর্তারা, সরকারের কাছে যে আহ্বান জানালেন ব্যারিস্টার আরমান

অসদাচারণের দায়ে টঙ্গী পাইলট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে শোকজ

জরুরি অবস্থা জারি করলেন পেরুর প্রেসিডেন্ট

গুম-খুনে জড়িত ১৫ সেনা কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত। ট্রাইব্যুনালে হাজির। সাবজেলে প্রেরণ

এবার ১ টাকায় গরুর মাংস বিতরণের ঘোষণা সেই এমপি প্রার্থীর

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত