চবি উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের

প্রতিনিধি, চবি
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৬: ৪১

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হওয়ার অভিযোগে উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ঝুপড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া। পাশাপাশি ৬ দফা দাবি জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জশদ জাকির, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা, শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সহ-সাধারণ সম্পাদক উম্মে সাবাহ তাবাসসুম এবং প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোশরেফুল হক রাকিব।

লিখিত বক্তব্যে ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, এ সময় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোশরেফুল হক রাকিবসহ শিক্ষার্থীরা বারবার প্রক্টরিয়াল বডিকে কল দিলেও তারা সাড়া পাওয়া যায়নি।

শুধুমাত্র সহকারী প্রক্টর নূরুল হামিদ কানন জানান, স্ত্রী অসুস্থ থাকায় তিনি হাসপাতালে অবস্থান করছেন। বারবার কলের পর প্রধান প্রক্টর তানভীর হায়দার আরিফও কখনো মিটিংয়ে আছি বলেন, আবার কখনো বিস্তারিত জানতে চান। কিন্তু শিক্ষার্থী আহত ও স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ চলমান থাকা সত্ত্বেও তার নির্লিপ্ত অবস্থান দায়িত্বহীনতার উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন তারা।

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সংবাদ সম্মেলনে ৬ দফা দাবি জানান। সেগুলো হলো— সুস্থ পরিবেশে শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিতকরণ ও সমস্ত ব্যয়ভার প্রশাসনকে গ্রহণ করতে হবে; জোবরার স্থানীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কার্যকর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে অতিদ্রুত বিচার নিশ্চিতকরণ; অতিদ্রুত ক্যাম্পাসের ভেতর ই-কারের বৃদ্ধি এবং ক্যাম্পাস থেকে এক নম্বর ও দুই নম্বর গেট অব্দি চক্রাকার বাস চালু করা; স্থানীয়দের থেকে শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে শতভাগ আবাসনের রোডম্যাপ ও আবাসন ভাতা ভাতা চালু করা; ১ নম্বর ও ২ নম্বর গেট এবং ১ নম্বর রেলক্রসিং ও ২ নম্বর রেলক্রসিং-এ জোরালো নিরাপতা নিশ্চিতকরণ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে চরমভাবে ব্যর্থ হওয়ায় ক্ষমা চেয়ে উপাচার্য ও প্রধান প্রক্টরের পদত্যাগ।

এর আগে, এর আগে, গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে পরদিন বিকাল ৪টা পর্যন্ত দফায় দফায় শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত