রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যসোসিয়েশনের (রুয়া) উদ্যোগে রাবিতে চালু হলো ই-কার। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপাচার্য সালেহ হাসান নকীব ও রুয়ার সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান এর উদ্বোধন করেন।
ই-কারগুলো উদ্বোধন করে রুয়ার সভাপতি রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘আজকে যে ই-কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এখানে ৫টি হলেও আমরা পর্যায়ক্রমে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এর পরিমাণ বৃদ্ধি করার চেষ্টা করবো। এর পাশাপাশি আমাদের পরিকল্পনা আছে—গরিব মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করা যায় কিনা। এ কাজটিও আমরা খুব দ্রুতই শুরু করবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের জন্য রুয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে সবসময় থাকবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘অনেক চড়াই–উতরাইয়ের পর ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত একটি রুয়া আমরা পেয়েছি। আমি খুবই খুশি যে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র–ছাত্রীদের কল্যাণ এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিসিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য সহায়তা প্রদান থেকে শুরু করে এ ধরনের পরিবহণব্যবস্থা চালু করা এসব উদ্যোগ তাদেরই ধারাবাহিক প্রচেষ্টার অংশ। আজকে যে ই-কার সার্ভিস চালু হলো, এটি কেবল শুরু।’
ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী আবু রেজা বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে ভোগান্তি চলছিল। বিভিন্ন সময়ে রিক্সায় চলাচলের ক্ষেত্রে নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির শিকার হতে হতো। রিকশাচালকদের অতিরিক্ত ভাড়াও ছিল নিয়মিত অভিযোগ। এই দুর্বলতা ও দুর্ভোগ কমাতে রুয়া এবং রাকসুর প্রতিনিধিদের যৌথ উদ্যোগে নতুন ই-কার সেবা চালু করা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগে অত্যন্ত উৎসাহী।’
এ বিষয়ে রাকসুর ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘আমাদের যে ইশতেহার ছিল পরিবহণ ব্যবস্থার সহজিকরণ, সেটার ব্যাপারে আমরা দাবি জানিয়েছিলাম রুয়াকে। রুয়া আজকে সেটি বাস্তবায়ন করেছে। আশা করি এই পদক্ষেপের ফলে শিক্ষার্থীদের হ্যাসেল অনেকটাই কমবে। এছাড়াও আমরা অন্যান্য ইশতেহার বাস্তবায়নেও রুয়াকে সহযোগিতা করার আহবান জানাবো।’
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি রুট—কাজলা গেট, বিনোদপুর গেট, রহমতুন্নেসা হল, আমীর আলী হল এবং চারুকলা অনুষদ থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে পর্যন্ত নির্ধারিত স্টপেজে মাত্র ৫ টাকা ভাড়ায় চলবে এই ই–কার সেবা।

