ববিতে স্বৈরাচারের দোসর শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনী ও বিক্ষোভ

প্রতিনিধি, ববি
প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২১: ৫৯

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারের দোসর হিসেবে অভিযুক্ত সেই শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন।

বুধবার বেলা দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে এ চিত্র প্রদর্শনী ও বিক্ষোভ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ৪ আগস্টের হাসিনা বাঁচা মিটিংয়ে ঘৃণ্য বক্তব্য রাখা জুলাই আন্দোলনে বিরোধিতাকারী ও স্বৈরাচাররে দোসর শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের বড় একটি ব্যানারে ছবিসহ প্রদর্শন করা হয়। পরে ব্যানারটি গ্রাউন্ড ফ্লোরে টানিয়ে রাখা হয়েছ।

বিজ্ঞাপন

এসময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, অধ্যাপক মুহসিন উদ্দিনকে বেআইনিভাবে একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত ছাড়ায় উপাচার্য সিন্ডিকেট থেকে ফ্যাসিস্ট আখ্যা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছেন। অধ্যাপক মুহসিনকে সিন্ডিকেটে পুনর্বহাল না করা পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের এক শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আওয়ামী লীগের আমলে সরকার ও পরিবেশ পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেক কিছুই করতে হয়েছে। কিন্তু আমরা কখনো শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে ছিলাম না। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সম্পূর্ণ সাপোর্ট ছিল আমাদের।

বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, রেজিস্ট্রার মনিরুল ইসলাম মনপুরা একজন আ.লীগের পদধারী নেতা। চাকুরির বয়স শেষ হলেও অবসরে না পাঠিয়ে উপাচার্য অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়মবহির্ভূতভাবে তাকে পুনরায় দায়িত্বে রাখা হয়েছে, যা প্রশাসনিক স্বচ্ছতার পরিপন্থি। এসময় তারা তাকে অনতিবিলম্বে অপসারণ করার দাবি জানান।

শিক্ষার্থীরা আরো অভিযোগ করেন, জুলাই আন্দোলনের সময় যারা গণহত্যার সমর্থন করেছিলেন এবং প্রশাসনের চাটুকারিতে লিপ্ত ছিলেন, এমন বহু শিক্ষক-কর্মচারী এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন। উপাচার্য পুনরায় তাদের প্রশাসনে পুনর্বাসন করছেন। এসব শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রশাসনিক ও লাভজনক সব কমিটি থেকে সরিয়ে দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের কোনো স্থান নেই।

আন্দোলনকারী ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিন খান বলেন, আমরা বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে কোনো ফ্যাসিবাদের দোসর দেখতে চাই না। আমাদের ৪ফা দাবি মানা না হলে আমরা সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত