জকসু নির্বাচনে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক

প্রতিনিধি, জবি
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২৫, ০১: ২৪

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

বৃহস্পতিবার রাতে প্রকাশিত খসড়া আচরণবিধিতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক প্রার্থীর মাদকাসক্তি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে এবং টেস্টে পজিটিভ বা অনুপস্থিত থাকলে তার প্রার্থীতা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বলে গণ্য হবে।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচন কমিশনের খসড়া আচরণবিধির “ডোপ টেস্ট ও প্রার্থীতা বাতিল” ধারায় বলা হয়েছে, কমিশন প্রত্যেক প্রার্থীর মাদকাসক্তির বিষয়টি পরীক্ষা করবে। কোনো প্রার্থীর ক্ষেত্রে মাদকাসক্তি প্রমাণিত হলে বা তিনি ডোপ টেস্টে অনুপস্থিত থাকলে, তার প্রার্থীতা বাতিল বলে গণ্য হবে।

খসড়া আচরণবিধিতে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি ফৌজদারি, আর্থিক, শৃঙ্খলাভঙ্গ বা যৌন অপরাধে শাস্তিপ্রাপ্ত হন, তাহলে তিনি ভোটাধিকার ও প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা হারাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাজনিত শাস্তি শেষ না হওয়া পর্যন্তও প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য থাকবেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী। তবে শাস্তির মেয়াদ শেষে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে মর্যাদা ফিরে পেলে তিনি ভোটার বা প্রার্থী হতে পারবেন।

নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে একজন প্রার্থীকে তার বিভাগ, হল, শিক্ষাবর্ষ, উল্লেখযোগ্য কারিকুলাম ও কো-কারিকুলাম কার্যক্রম এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের যৌক্তিকতার বিবরণীর মধ্যে থাকতে হবে। ক্লাস বা পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শ্রেণিকক্ষে বা পরীক্ষার হলে কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। ক্যাম্পাসে যে কোনো ধরনের সভা, সমাবেশ ও মিছিল আয়োজন নিষিদ্ধ থাকবে। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ব্যতীত ২৫ জনের বেশি একসঙ্গে জমায়েত হওয়া যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো বহিরাগত ব্যক্তি অংশ নিতে পারবেন না; বৈধ ভোটার, প্রার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী ছাড়া অন্য সবাইকে বহিরাগত হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং উইকেন্ড বা প্রফেশনাল শিক্ষার্থীরা কোনোভাবেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ বা প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন না।

নির্বাচন আচরণ বিধির খসড়া এই নীতিমালায় পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল সংক্রান্ত লিফলেটে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কেবলমাত্র হ্যান্ডবিল বা প্রচারপত্রে সীমাবদ্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এবং কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার নির্বাচনী প্রচারপত্রে তার নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি ব্যবহার করতে পারবে না। কোনোভাবেই নির্বাচনী প্রচারণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই ব্যবহার করা যাবে না।

নির্বাচনী যানবাহন সংক্রান্ত বিধিনিষেধে বলা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার সময় কোনো ধরনের যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। কোনো প্রার্থী ধর্মীয় উপাসনালয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। ভোটারদের কোনো ধরনের পানীয়, খাদ্য বা উপঢৌকন প্রদান নিষিদ্ধ। প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্রহন, বিদ্বেষমূলক বা উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া যাবে না। নির্বাচনের প্রচারণা ভোটগ্রহণের ২৪ ঘণ্টা আগে শেষ করতে হবে। কোনো প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ স্পিকার বা সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবে না; তবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে হ্যান্ডমাইক ব্যবহার করা যাবে।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত