রাজধানীর সদরঘাটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর লঞ্চকর্মীদের হামলার ঘটনায় ৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর মধ্যে গ্রেপ্তার চারজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বাদি হয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তাররা হলেন—কিরণ, সাদ্দাম, বিল্লাল ও মানিক।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ৭ আগস্ট সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সদরঘাটে সুন্দরবন-১২ লঞ্চের স্টাফ জসিম, জবির ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী আনিসকে যাত্রী ভেবে টান মেরে টিকিট কাটার জন্য বলেন। শিক্ষার্থী পরিচয় দেওয়ার পরও তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেন জসিম। পরে আনিস বিষয়টি বন্ধুদের জানালে তারা ঘটনাস্থলে গেলে লঞ্চের স্টাফরা তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে।
এজাহারে আরও বলা হয়, এসময় ১ নম্বর আসামি মুফতিজুল কবির কিরণ নিজেকে ঘাট কর্তৃপক্ষের লোক পরিচয় দিয়ে ২০-২৫ জন সহযোগীসহ পিস্তল, রড, ছুরি ও লাঠি নিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে অন্তত নয়জন শিক্ষার্থী আহত হন।
সদরঘাট নৌ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. সোহাগ রানা বলেন, গতকাল শুক্রবার গ্রেপ্তার চারজনকে আদালতে নেওয়া হলে তদন্তের স্বার্থে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, গত ৭ আগস্ট পুরান ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সুন্দরবন-১২ লঞ্চের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি), কবি নজরুল কলেজ এবং সোহরাওয়ার্দী কলেজের অন্তত নয়জন আহত হন।

