জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের সেমিনারে বক্তারা

প্রতিনিধি, জবি

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। তাদের মতে, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলিতে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক ও জাতিসত্তা রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল) আয়োজিত মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে অনলাইন সেমিনারে এসব মত দেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান জোর করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন—এ ধারণা ইতিহাসসম্মত নয়। ভারতের প্রত্যক্ষ প্রভাবে যুক্ত খালেদ মোশাররফ যখন তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন, তখন সিপাহি-জনতা তাকে মুক্ত করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন।”
তাঁর মতে, “জিয়াউর রহমান যদি সে সময়ে নেতৃত্ব না দিতেন, তবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়ে বাংলাদেশ হয়ত তার সার্বভৌমত্ব হারাত। তার নেতৃত্বই বাংলাদেশকে স্বাধীন ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে টিকিয়ে রেখেছে।”
তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমানের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় এবং স্বাধীনতার ঘোষণার নেতৃত্ব। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় পরিচয় ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়।”
সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ইউটিএল চবি চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী বলেন, “১৯৭৫ সালের ৩ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব গুরুতর হুমকির মুখে ছিল। সে সময় সিপাহি-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঘটনাবলির সঙ্গে ৭ নভেম্বরের “দেশরক্ষার চেতনার সাদৃশ্য” উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন। তিনি বলেন, “একাত্তর-পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিব আমাদের জাতীয় আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দেশকে ভারতীয় প্রভাবের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। সেই সময় জিয়াউর রহমান সাহসী ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জেনারেশন জেড-এর সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা নতুনভাবে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি। এ প্রজন্মও আমাদের কৃতজ্ঞতার দাবিদার।”
সভাপতির বক্তব্যে ইউটিএল আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস বলেন, “২৫ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বরের মতো ৭ নভেম্বরও আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। কিন্তু গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী সরকার এ দিনটিকে জনস্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। ইতিহাসের প্রকৃত নায়কদের চিনতে পারলে জাতি কখনো পথ হারাবে না।”
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউটিএল-এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন। সেমিনারে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বেই বাংলাদেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদের প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বক্তারা। তাদের মতে, ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের ঘটনাবলিতে জিয়াউর রহমানের ভূমিকা ছিল ঐতিহাসিক ও জাতিসত্তা রক্ষার এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।
রোববার (৯ নভেম্বর) রাতে ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল) আয়োজিত মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে অনলাইন সেমিনারে এসব মত দেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “জিয়াউর রহমান জোর করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন—এ ধারণা ইতিহাসসম্মত নয়। ভারতের প্রত্যক্ষ প্রভাবে যুক্ত খালেদ মোশাররফ যখন তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিলেন, তখন সিপাহি-জনতা তাকে মুক্ত করে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করেন।”
তাঁর মতে, “জিয়াউর রহমান যদি সে সময়ে নেতৃত্ব না দিতেন, তবে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়ে বাংলাদেশ হয়ত তার সার্বভৌমত্ব হারাত। তার নেতৃত্বই বাংলাদেশকে স্বাধীন ও আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে টিকিয়ে রেখেছে।”
তিনি আরও বলেন, “জিয়াউর রহমানের সাফল্যের পেছনে সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় এবং স্বাধীনতার ঘোষণার নেতৃত্ব। তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং ৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় পরিচয় ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে ইতিহাসে চিহ্নিত হয়।”
সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ইউটিএল চবি চ্যাপ্টারের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্লাহ পাটোয়ারী বলেন, “১৯৭৫ সালের ৩ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব গুরুতর হুমকির মুখে ছিল। সে সময় সিপাহি-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” তিনি ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঘটনাবলির সঙ্গে ৭ নভেম্বরের “দেশরক্ষার চেতনার সাদৃশ্য” উল্লেখ করেন।
প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন। তিনি বলেন, “একাত্তর-পরবর্তী সময়ে শেখ মুজিব আমাদের জাতীয় আকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দেশকে ভারতীয় প্রভাবের দিকে ঠেলে দিয়েছিলেন। সেই সময় জিয়াউর রহমান সাহসী ভূমিকা নিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন ও স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন।”
তিনি আরও বলেন, “গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জেনারেশন জেড-এর সংগ্রামের মাধ্যমে আমরা নতুনভাবে স্বাধীনতার স্বাদ পেয়েছি। এ প্রজন্মও আমাদের কৃতজ্ঞতার দাবিদার।”
সভাপতির বক্তব্যে ইউটিএল আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস বলেন, “২৫ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বরের মতো ৭ নভেম্বরও আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। কিন্তু গত ১৫ বছরের স্বৈরাচারী সরকার এ দিনটিকে জনস্মৃতি থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছে। ইতিহাসের প্রকৃত নায়কদের চিনতে পারলে জাতি কখনো পথ হারাবে না।”
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইউটিএল-এর সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন। সেমিনারে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষক অংশ নেন।

মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (MIU) সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন মেন্টাল হেলথ, হিউম্যান ডিগনিটি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ: মিটিগেটিং গ্লোবাল সাইকোলজিক্যাল রিস্কস (MHHDCC 2025)’-এ কী-নোট স্পিকার হিসেবে অংশগ্রহণ করেছেন।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ বলেছেন, জুলাই অভ্যুত্থানে সফল নেতৃত্বের কারণে শিক্ষার্থীদের প্রতি জনসাধারণের আস্থা ও প্রত্যাশা বৃদ্ধি পেয়েছে। এই জনপ্রত্যাশা পূরণ ও সমাজ বিনির্মাণে তরুণদের অগ্রণী ভূমিকা অব্যাহত রাখতে হবে।
১০ ঘণ্টা আগে
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো.জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.) এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের পদত্যাগ দাবি করেছেন। রোববার রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি থেকে দুই উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করেন তারা।
১৩ ঘণ্টা আগে
পাঁচ দফা দাবি আদায়ে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সচিবালয় অভিমুখী মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
১৪ ঘণ্টা আগে