বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি ঘোষণা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো-
১. অবৈধভাবে হল বন্ধের নির্দেশনা দুপুর ২ টার মধ্যে প্রত্যাহার করে আদেশ তুলে নিতে হবে।
২. হলগুলোতে চলমান সব ধরনের সুবিধা নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে হবে।
৩. এই প্রশাসন শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপর শিক্ষক দের মদদে বহিরাগত দিয়ে হামলার দায়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদত্যাগ করতে হবে।
৪. বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দ্বারা ককটেল বিস্ফোরণ, লাইব্রেরি ও স্থাপনা ভাঙচুর এবং দেশীয় অস্ত্র দ্বারা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা এবং নারী শিক্ষার্থীদের হেনস্থার ঘটনার জন্য উপাচার্যকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে ।
৫. হামলার সাথে জড়িত শিক্ষকবৃন্দ- কৃষি অনুষদের আসাদুজ্জামান সরকার, তোজাজ্জল স্যার, শরীফ আর রাফি স্যার, কামরুজ্জামান স্যার, পশুপালন অনুষদের বজলুর রহমান মোল্লা; জেনেটিক্স এর মুনির স্যার; ডেইরি বিজ্ঞান বিভাগের আশিকুর রহমান স্যার এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
৬. গত ১ মাস ধরে চলমান যে একক কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিতে আন্দোলন করে আসছি, সেই একক ডিগ্রি অবিলম্বে প্রদান করতে হবে। তিনটি ভিন্ন ডিগ্রি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পশুপালন অনুষদের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আহসানুল হক হিমেল সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান।
তিনি বলেন, এই ছয় দফা দাবি দ্রুত মেনে না নিলে পুরো বাকৃবি লকডাউন এবং ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হবে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি, তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ছি না।
এর আগে সকালে বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা লাঠিসোঁটা হাতে মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কে.আর মার্কেটের আশপাশে জড়ো হন।
এর আগে হল ত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বাকৃবির শিক্ষার্থীরা।
সোমবার সকাল ৯টায় বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ গুচ্ছ মিছিল নিয়ে কামাল রঞ্জিত মার্কেটে সমবেত হন। এ সময় তারা বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় প্রোক্টরিয়াল বডির জনসম্মুখে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান।

