আসন্ন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (ছাত্রদল) ঘোষিত প্যানেলে ব্যাপক পদবঞ্চনার অভিযোগ উঠেছে। এসব পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা পৃথকভাবে ‘জাগ্রত জবিয়ান’ নামে নতুন প্যানেল ঘোষণা করেছেন।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) শহীদ সাজিদ ভবনে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় থেকে তারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
'জাগ্রত জবিয়ান' প্যানেলে ভাইস-প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে লড়বেন কাজী রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে মো. তৌহিদ চৌধুরী এবং সহকারী সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে প্রার্থী হয়েছেন মেহেদী হাসান আখন। আগামীকাল এই প্যানেলে ১২ সদস্যদের আংশিক প্যানেল ঘোষণা করা হবে জানিয়েছে তারা।
ভিপি প্রার্থী কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “আমাদের আন্দোলন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, ন্যায় প্রতিষ্ঠার পক্ষে। মূল প্যানেলে যেসব ত্যাগী ও নির্যাতিত ভাইদের রাখা হয়েছে, তাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা সেই পদগুলোতে প্রার্থী দিচ্ছি না। কিন্তু বাইরে থেকে এনে যেভাবে অনেককে বসানো হয়েছে, তা সংগঠনের প্রতি অবিচার। এই অবিচারের প্রতিকারেই আমরা বিকল্প প্যানেল ঘোষণা করেছি।”
জিএস প্রার্থী মো. তৌহিদ চৌধুরী বলেন, জবি শিক্ষার্থীরা পরিবর্তন ও যোগ্য নেতৃত্ব চায়। বাইরে থেকে নেতৃত্ব চাপিয়ে দিলে ছাত্রসমাজ তা গ্রহণ করবে না। আমরা এমন একটি প্যানেল গঠন করেছি, যা প্রকৃত জবিয়ানদের ও সংগঠনের ভিতর থেকে উঠে আসা ছাত্রনেতাদের প্রতিনিধিত্ব করবে।
এজিএস প্রার্থী মেহেদী হাসান আখন বলেন, “বিগত বছরগুলোতে আমাদের বহু কর্মী অন্যায়ের শিকার হয়েছেন। জকসু নির্বাচন তাদের আত্মমর্যাদা পুনরুদ্ধারের সুযোগ। আমরা চাই—বাসস্থান, নিরাপত্তা, লাইব্রেরি, ছাত্র অধিকারসহ শিক্ষার্থীদের বাস্তব সমস্যাগুলো সামনে আসুক। আমাদের প্যানেল সেই ইস্যুগুলোই অগ্রাধিকার দেবে।”
এদিকে নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ১২ নভেম্বর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ১৩ নভেম্বর চারজন প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেন। ১৬–১৭ নভেম্বর মনোনয়নপত্র বিতরণ, ১৭ ও ১৮ নভেম্বর সংগ্রহ করা ফরম দাখিল করা যাবে। ১৯–২০ নভেম্বর বাছাই শেষে ২৩ নভেম্বর প্রকাশ করা হবে প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা। ২৪–২৬ নভেম্বর আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তির পর ২৭ এবং ৩০ নভেম্বর ডোপ টেস্ট হবে। ৩ ডিসেম্বর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৪, ৭ ও ৮ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহার করা যাবে, ৯ ডিসেম্বর প্রকাশ হবে প্রত্যাহার তালিকা। ৯–১৯ ডিসেম্বর প্রচারণা শেষে ২২ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ ও গণনা অনুষ্ঠিত হবে, এবং ২২–২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

