রকীবুল হক
বিধিমালার জটিলতার কারণে পেনশনসহ আর্থিক সুবিধা থেকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীরা। চাকরি জীবন শেষে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে কেউ কেউ নগণ্য, আংশিক কিংবা শূন্য পেনশন পাবেন বলে জানা গেছে। সারা দেশে ১০৪ জন প্রিন্সিপাল, ৯৪ জন ভাইস প্রিন্সিপাল, ১০৮ জন সহকারী অধ্যাপক এবং ৩৮৭ জন প্রভাষক এ ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও এ বিষয়ে কোনো সমাধান না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
অবিলম্বে ‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮’-এর বিধি ১৪(১) সংশোধন করে প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে কার্যকর চাকরিকাল গণ্য করার আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সূত্রমতে, বিধিতে কার্যকর চাকরিকাল বিষয়ে বলা হয়েছে, আত্তীকৃত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী সংশ্লিষ্ট কলেজ সরকারিকরণের পূর্বপর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সে কলেজে সর্বমোট যে সময়কাল চাকরি করবেন সে চাকরিকালের অর্ধেক সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা কর্মচারীর কার্যকর চাকরিকাল হিসেবে গণ্য হবে। এ বিধি অনুযায়ী কার্যকর চাকরিকাল গণনা করা হলে সরকারি হওয়া কলেজগুলোর যেসব শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি হওয়া কলেজের আগে এক বা একাধিক কলেজে চাকরি করেছেন তারা মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হবেন।
ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষকরা জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০২৪-এর ২(৫) বিধি অনুযায়ী কার্যকর চাকরিকাল অর্থ ‘সরকারিকরণের অব্যবহিত পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরতিহীন মোট চাকরিকালের ৫০ ভাগ চাকরি।
অর্থাৎ সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ১৪(১)-এ বর্ণিত কার্যকর চাকরিকালের সঙ্গে সরকারিকৃত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০২৪-এর বিধি ২(৫)-এ বর্ণিত কার্যকর চাকরিকালের মধ্যে সুস্পষ্ট বৈষম্য বিদ্যমান। যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আদর্শের পরিপন্থী ও অমানবিক।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কলেজ শিক্ষক কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ১৪(১)-এ বর্ণিত কার্যকর চাকরিকালের বিষয়ে ‘সংশ্লিষ্ট ’ ও ‘উক্ত’ শব্দ দুটি বাদ দিলেই জটিলতা ও বৈষম্য কেটে যাবে।
এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি ও ময়মনসিংহের নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন জানান, কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা সংশোধন করে প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে কার্যকর চাকরিকাল গণ্য করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। এ বিষয়ে বিগত সরকারের সময়ে ২০২০ সালের অক্টোবর এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন মন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে আবেদন জানাই। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন আশা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। তবে এখনো সরকার আমাদের দাবির বিষয়টি আমলে নেয়নি।
বিধিমালার জটিলতার কারণে পেনশনসহ আর্থিক সুবিধা থেকে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারীরা। চাকরি জীবন শেষে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে কেউ কেউ নগণ্য, আংশিক কিংবা শূন্য পেনশন পাবেন বলে জানা গেছে। সারা দেশে ১০৪ জন প্রিন্সিপাল, ৯৪ জন ভাইস প্রিন্সিপাল, ১০৮ জন সহকারী অধ্যাপক এবং ৩৮৭ জন প্রভাষক এ ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও এ বিষয়ে কোনো সমাধান না পাওয়ায় তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
অবিলম্বে ‘সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০১৮’-এর বিধি ১৪(১) সংশোধন করে প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে কার্যকর চাকরিকাল গণ্য করার আবেদন জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
সূত্রমতে, বিধিতে কার্যকর চাকরিকাল বিষয়ে বলা হয়েছে, আত্তীকৃত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী সংশ্লিষ্ট কলেজ সরকারিকরণের পূর্বপর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে সে কলেজে সর্বমোট যে সময়কাল চাকরি করবেন সে চাকরিকালের অর্ধেক সময় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক বা কর্মচারীর কার্যকর চাকরিকাল হিসেবে গণ্য হবে। এ বিধি অনুযায়ী কার্যকর চাকরিকাল গণনা করা হলে সরকারি হওয়া কলেজগুলোর যেসব শিক্ষক-কর্মচারী সরকারি হওয়া কলেজের আগে এক বা একাধিক কলেজে চাকরি করেছেন তারা মারাত্মকভাবে আর্থিক ক্ষতির শিকার হবেন।
ভুক্তভোগী কলেজ শিক্ষকরা জানান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০২৪-এর ২(৫) বিধি অনুযায়ী কার্যকর চাকরিকাল অর্থ ‘সরকারিকরণের অব্যবহিত পূর্ব পর্যন্ত শিক্ষক ও কর্মচারীদের বিরতিহীন মোট চাকরিকালের ৫০ ভাগ চাকরি।
অর্থাৎ সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ১৪(১)-এ বর্ণিত কার্যকর চাকরিকালের সঙ্গে সরকারিকৃত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা, ২০২৪-এর বিধি ২(৫)-এ বর্ণিত কার্যকর চাকরিকালের মধ্যে সুস্পষ্ট বৈষম্য বিদ্যমান। যা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আদর্শের পরিপন্থী ও অমানবিক।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কলেজ শিক্ষক কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ১৪(১)-এ বর্ণিত কার্যকর চাকরিকালের বিষয়ে ‘সংশ্লিষ্ট ’ ও ‘উক্ত’ শব্দ দুটি বাদ দিলেই জটিলতা ও বৈষম্য কেটে যাবে।
এ বিষয়ে কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের সভাপতি ও ময়মনসিংহের নান্দাইল সরকারি শহীদ স্মৃতি আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ নাজিম উদ্দিন জানান, কলেজ শিক্ষক-কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা সংশোধন করে প্রথম এমপিওভুক্তির তারিখ থেকে কার্যকর চাকরিকাল গণ্য করার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছি। এ বিষয়ে বিগত সরকারের সময়ে ২০২০ সালের অক্টোবর এবং ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে তৎকালীন মন্ত্রী-উপমন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে আবেদন জানাই। ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন আশা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা ও সচিবের সঙ্গে বেশ কয়েকবার দেখা করে লিখিত আবেদন জানিয়েছি। তবে এখনো সরকার আমাদের দাবির বিষয়টি আমলে নেয়নি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশ করা হবে আজ। আগামী ২৬ অক্টোবর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রাকসু ও সিনেট প্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পড়াবেন রাকুস সভাপতি
৩ মিনিট আগেধর্ষণ ও নারী অবমাননার অভিযোগে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা ও স্থায়ী বহিষ্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার রাতে উত্তাল ছিল বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ক্যাম্পাস। রাত ৯টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চলা এই বিক্ষোভে শত শত শিক্ষার্থী অংশ নেন। বিক্ষোভকারীদের দাবির মুখে রাতেই বিশ্ববিদ্যালয়
৭ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রী সংস্থার সেক্রেটারি ও চাকসুর ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দীপা বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত নারী ও শিশু নির্যাতন-ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে।
১০ ঘণ্টা আগেড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেছেন, আমাদের সমাজে ঐক্যের বড় অভাব। ঐক্যের অভাবে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র এগুতে পারছে না।
১ দিন আগে