জলবায়ু পরিবর্তনে বিপর্যস্ত উপকূল

ইব্রাহিম খলিল, খুবি

জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র অভিঘাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, এই অঞ্চলের মানুষ জীবিকা, নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে মারাত্মক দুর্ভোগে রয়েছেন। সংকট এতটা গভীর যে, অনেক পরিবার ভিটেমাটি ছেড়ে শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে, যা নতুন এক মানবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এডুকো ও উত্তরণ সংস্থার সহযোগিতায় বাস্তবায়িত প্রকল্পের অংশ। গবেষণার আওতায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার পাঁচটি বস্তি এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলে কর্মসংস্থানের ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার পর চিংড়ি খামার ও ধানক্ষেত ব্যাপকভাবে ধ্বংস হওয়ায় হাজারো মানুষ জীবিকার সন্ধানে নেতিবাচক অভিযোজন কৌশল গ্রহণে বাধ্য হচ্ছেন। প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন এবং অনেকে ভাত ও ডালের বাইরে অন্য কোনো পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারছেন না।
কর্মসংস্থানের অভাবে পুরুষরা বছরের অধিকাংশ সময় বাইরে কাজ করতে যান। ফলে নারীপ্রধান পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতিও শোচনীয়। নিরাপদ পানির সংকট এবং অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশনব্যবস্থার কারণে নারী ও মেয়েরা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন।
গবেষণায় আরো উল্লেখ করা হয়, উপকূলীয় নারীদের মধ্যে জরায়ুজনিত (৬০ থেকে ৭৪%) এবং প্রজননজনিত (৪৫ থেকে ৬৬%) সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর দুর্বল বাঁধ এ সংকটকে আরো তীব্র করছে। বাস্তুহারা এসব মানুষ শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিচ্ছেন। কিন্তু সেখানেও তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অপর্যাপ্ত পানি, টয়লেট ও ড্রেনেজব্যবস্থার কারণে বস্তিবাসীরা প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতা ও নোংরা পরিবেশে বসবাস করছেন। শিশুদের স্কুলছুট ও শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতাও দিন দিন বাড়ছে। অনেক পরিবার সরকারি খাসজমিতে থাকায় উচ্ছেদের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
গবেষক ড. আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিচ্ছেন। কিন্তু দুই জায়গায়ই তারা বিপর্যস্ত। উপকূলে লবণাক্ততা ও কর্মসংস্থানের অভাব আর বস্তিতে দারিদ্র্য ও জলাবদ্ধতা—দুটিই সমান সংকট।
তিনি আরো বলেন, সমাধান হিসেবে উপকূলে লবণাক্ততা-সহনশীল কৃষি চালু করতে হবে। বস্তিবাসীদের নগদ অর্থ নয়; বরং উপকরণ সহায়তা ও শিশুশ্রম রোধে শিক্ষা সহায়তা দিতে হবে। সবচেয়ে জরুরি হলো—টেকসই সমাধানে স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

জলবায়ু পরিবর্তনের তীব্র অভিঘাতে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা ভয়াবহ সংকটে পড়েছে। খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
গবেষণায় দেখা যায়, এই অঞ্চলের মানুষ জীবিকা, নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনের অভাবে মারাত্মক দুর্ভোগে রয়েছেন। সংকট এতটা গভীর যে, অনেক পরিবার ভিটেমাটি ছেড়ে শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে, যা নতুন এক মানবিক বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
গবেষণাটি পরিচালনা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবিজ্ঞান ডিসিপ্লিনের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ হারুন চৌধুরী। এটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে এডুকো ও উত্তরণ সংস্থার সহযোগিতায় বাস্তবায়িত প্রকল্পের অংশ। গবেষণার আওতায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঝুঁকিপূর্ণ বুড়িগোয়ালিনী, গাবুরা ও পদ্মপুকুর ইউনিয়ন এবং সাতক্ষীরা পৌরসভার পাঁচটি বস্তি এলাকা অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, উপকূলীয় অঞ্চলে কর্মসংস্থানের ভয়াবহ সংকট তৈরি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সিডর ও আইলার পর চিংড়ি খামার ও ধানক্ষেত ব্যাপকভাবে ধ্বংস হওয়ায় হাজারো মানুষ জীবিকার সন্ধানে নেতিবাচক অভিযোজন কৌশল গ্রহণে বাধ্য হচ্ছেন। প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ খাবারের পরিমাণ কমিয়ে দিয়েছেন এবং অনেকে ভাত ও ডালের বাইরে অন্য কোনো পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করতে পারছেন না।
কর্মসংস্থানের অভাবে পুরুষরা বছরের অধিকাংশ সময় বাইরে কাজ করতে যান। ফলে নারীপ্রধান পরিবারের সংখ্যা বাড়ছে। পানি ও স্যানিটেশন পরিস্থিতিও শোচনীয়। নিরাপদ পানির সংকট এবং অস্বাস্থ্যকর স্যানিটেশনব্যবস্থার কারণে নারী ও মেয়েরা গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন।
গবেষণায় আরো উল্লেখ করা হয়, উপকূলীয় নারীদের মধ্যে জরায়ুজনিত (৬০ থেকে ৭৪%) এবং প্রজননজনিত (৪৫ থেকে ৬৬%) সমস্যা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। নদীর দুর্বল বাঁধ এ সংকটকে আরো তীব্র করছে। বাস্তুহারা এসব মানুষ শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিচ্ছেন। কিন্তু সেখানেও তাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অপর্যাপ্ত পানি, টয়লেট ও ড্রেনেজব্যবস্থার কারণে বস্তিবাসীরা প্রতিনিয়ত জলাবদ্ধতা ও নোংরা পরিবেশে বসবাস করছেন। শিশুদের স্কুলছুট ও শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়ার প্রবণতাও দিন দিন বাড়ছে। অনেক পরিবার সরকারি খাসজমিতে থাকায় উচ্ছেদের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে।
গবেষক ড. আব্দুল্লাহ হারুন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে উপকূলের মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে শহরের বস্তিতে আশ্রয় নিচ্ছেন। কিন্তু দুই জায়গায়ই তারা বিপর্যস্ত। উপকূলে লবণাক্ততা ও কর্মসংস্থানের অভাব আর বস্তিতে দারিদ্র্য ও জলাবদ্ধতা—দুটিই সমান সংকট।
তিনি আরো বলেন, সমাধান হিসেবে উপকূলে লবণাক্ততা-সহনশীল কৃষি চালু করতে হবে। বস্তিবাসীদের নগদ অর্থ নয়; বরং উপকরণ সহায়তা ও শিশুশ্রম রোধে শিক্ষা সহায়তা দিতে হবে। সবচেয়ে জরুরি হলো—টেকসই সমাধানে স্থানীয় মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

শুধুমাত্র বিরোধী রাজনীতি ও আদর্শিক মতপার্থক্যের কারণে কারও ভালো কাজে কেউ বিরোধিতা করলে দেশ কখনোই উন্নত ও সমৃদ্ধ হবে না উল্লেখ করে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। নিজের ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এ প্রতিক্রিয়া জানান।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে সম্প্রতি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারের জন্য ভবঘুরে ও অবৈধ ভ্রাম্যমাণ দোকান উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে ডাকসু প্রতিনিধিবৃন্দ ও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যসহ সিটি কর্পোরেশন পুলিশ এবং মেট্রোরেল।
২ ঘণ্টা আগে
খুনি হাসিনার দোসরদের যেখানেই পাওয়া যাবে ধরে থানায় দিতে হবে ও বিচারের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম।
১৬ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ১৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে আবেদন, যা চলবে তিন সপ্তাহ। এরপর পরীক্ষা নেওয়া হবে।
১৬ ঘণ্টা আগে