সিডনি এলায়েন্সের উদ্যোগে নির্বাচন-পূর্ব নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১: ৫৬
আপডেট : ১৬ মার্চ ২০২৫, ১২: ১৪

অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী সিডনির মোরলি সেন্টার অডিটরিয়িামে নির্বাচন-পূর্ব নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) বিকেলে সিডনির ওয়েস্টমিড এলাকায় নাগরিক সংগঠন ‘সিডনি এলায়েন্স’র উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞাপন

এ সমাবেশে সিডনির গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে আটশরও বেশি নাগরিক অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির প্রতিনিধিরা সংক্ষেপে তাদের জীবনযাত্রা ও পরিবারের কথা বলেন। তারা আবাসন সংকট, দ্রব্যমূল্য পরিস্থিতি এবং কর্মসংস্থানের ফলে জীবনে কি প্রভাব পড়ছে, তা তুলে ধরেন।

অস্ট্রেলিয়ার সংবিধান অনুযায়ী ফেডারেল বা জাতীয় সরকারের মেয়াদ তিন বছর। ২০২২ সালের মে মাসে ক্ষমতায় আসে লেবার পার্টি। চলতি বছরের মে মাসে ৪৮তম ফেডারেল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

australia news pic two

নির্বাচনকে সামনে রেখে বড় রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা জনগণের সামনে নানা রকম প্রতিশ্রুতি নিয়ে আসছেন। দেশটির সংস্কৃতি অনুযায়ী নির্বাচনে বিজয়ী হলে এসব আনুষ্ঠানিক প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে হয়। সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে টাউন হল মিটিং বা প্রি-ইলেকশন এসেম্বলি নামক এসব অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদদের কাছে জনগণের প্রত্যাশা এবং দাবি তুলে ধরা হয়। রাজনীতিবিদরাও তথ্য-উপাত্ত এবং যুক্তি সহকারে উপযুক্ত প্রস্তুতি নিয়ে আসেন। তারা যেসব কাজ করতে পারবেন বা করতে আগ্রহী, তা করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং যেসব কাজ করতে পারবেন না তাতে অপারগতা জানিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেন।

এরপর নেগোসিয়েশন পর্বে সিডনি এলায়েন্সের নেতৃবৃন্দের বিপক্ষে অংশগ্রহণ করেন অস্ট্রেলিয়া সরকারের এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস বোয়েন, গ্রিনস পার্টির নেতা সিনেটর মেহরিন ফারুকী, হাউজিং বা আবাসন বিষয়ক মন্ত্রী ক্লেয়ার ও নীলের প্রতিনিধি এবং প্যারামাটা আসনের এমপি এন্ড্রু শার্লটন এবং ওয়ারিংগা আসনের স্বতন্ত্র এমপি যালি স্টিগাল।

প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতার প্রতি নির্দিষ্ট দাবি উত্থাপন করা হয় এবং আগামী নির্বাচনে তারা নির্বাচিত হলে সেই মেয়াদের ভেতর সংশ্লিষ্ট কাজটি করবেন কি না তা পরিষ্কারভাবে জানতে চাওয়া হয়।

এনার্জি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে উত্থাপিত দাবির মাঝে ছিলো সোশাল হাউজিং এনার্জি ইনিশিয়েটিভ এর মাধ্যমে বিদ্যুৎ খরচের ৭৫% সরকার কর্তৃক প্রদান, ভাড়া বাসাগুলোতে সরকারী খরচে উন্নতমানের বৈদ্যুতিক উপকরণ সরবরাহ এবং নিম্নআয়ের মানুষদেরকে বাড়ি কিনতে সহায়তার জন্য সরকারি খরচে সোলার প্যানেল ও ব্যাটারির সরবরাহ করা।

আবাসন বিষয়ক মন্ত্রীর প্রতিনিধির কাছে আবাসন সহায়তা সংক্রান্ত বাজেট দুই বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা এবং নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য রেন্টাল এসিস্ট্যান্স ষাট শতাংশে উন্নীত করার সহ নানা দাবি উত্থাপন করা হয়।

পক্ষে ও বিপক্ষে বিস্তারিত আলোচনার পর বিদ্যুৎ খরচ এবং আবাসন প্রয়োজন সংক্রান্ত বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন ও নাগরিকদের জন্য বর্ধনশীল হারে সরকারি সহায়তা প্রদানের জন্য উপস্থিত রাজনীতিবিদরা ওয়াদা করেন। পাশাপাশি তারা প্রত্যেকেই কিছু কিছু দাবির পুরোটা পূরণ করতে পারা নিয়ে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, এ বিষয়গুলো জাতীয় বাজেট এবং সংসদ সদস্যদের মতামতের উপর নির্ভরশীল। তবে তারা এ দাবিগুলোর প্রয়োজনীয়তার সাথে ঐক্যমত পোষণ করে জানান, নির্বাচিত হলে তারা এসব দাবি বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবেন।

অনুষ্ঠানে অনেক মুসলিম উপস্থিত ছিলেন। সুতরাং এ অনুষ্ঠানে মাগরিবের সময় নামাজ ও ইফতারের আয়োজন করা হয়।

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত