
বিশেষ প্রতিনিধি, লন্ডন

‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ শিরোনামে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত আওয়ামীপন্থিদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ বৈঠক কার স্বার্থে আয়োজন হচ্ছে তা নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রধান উপদেষ্টাকে বিতর্কিত করতেই কি ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’ এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে এমন প্রশ্নও উঠেছে?
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার হোটেল লবিতে ৩০/৪০ জনের সাথে প্রধান উপদেষ্টার এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যাদের নাম তালিকায় রয়েছে তাদের সকলেই কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট। গত ১৫ বছরে আওয়ামী দু:শাসনেও তাদেরকে আওয়ামী লীগের সাথেই দেখা গেছে। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য আগমন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে যারা উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছেন তাদের কাউকেও রাখা হয়নি এ বৈঠকে। তাহলে কার স্বার্থে এবং কে এই ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ বৈঠকের আয়োজন করেছে, এ প্রশ্ন এখন যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে।
এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করলে পদস্থ একজন কর্মকর্তা জানান, বৈঠকের তালিকা শাহগির বখত ফারুকের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি পুরাতন আওয়ামী লীগার। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতিও ছিলেন এক সময়। তিনি বরাবরই আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। গত ১৫ বছরেও তিনি আওয়ামী রাজনীতি সম্পৃক্ত ছিলেন। সাবেক আওয়ামী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমিন তার বাল্যবন্ধু এ পরিচয় দিয়ে বেড়াতেন।
অপরদিকে শাহগির বখত ফারুকের সাথে সাংবাদিকরা যোগাযেগা করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার সফর চূড়ান্ত হওয়ার পর শাহগির বখত ফারুক ৪০ জনের একটি তালিকা দিয়ে তাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের সময়সূচির চেষ্টা করেন। এ নিয়ে হাইকমিশনার আবেদা ইসলামের সাথে বৈঠক করেন। তবে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সিভিক রিসিপশনের আয়োজন করে কমিউনিটর দেড়শ লোককে দাওয়াত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হল ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু শাহগির বখতের এটা পছন্দ হয়নি। তাই নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে এই সিভিক রিসিপশন বাতিল করানো হয়।
মিট অ্যান্ড গ্রিট শিরোনামে বাংলাদেশি কমিউিনিটির সিলেক্টেড আওয়ামীদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হবে, এমন খবর গতকাল বুধবার ছড়িয়ে পড়লে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠে, প্রধান উপদেষ্টাকে আওয়ামী লীগ অপমান করার চেষ্টার সময় তারা কোথায় ছিলেন? যারা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে অবস্থান নিয়ে হোটেলের সামনে আওয়ামীদের মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছেন এবং আলতাব আলী পার্কে বিশাল নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেছেন তারাই বা প্রধান উপদেষ্টার দেখা করার সুযোগ পাননি কেন?
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শাহগির বখতের দেওয়া তালিকা কৌশলে ঢাকায় পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে অনুমোদন করিয়ে আনা হয়েছে। হাইকমিশনের একটি সূত্র এমনটাই দাবি করেন। তবে শাহগির বখত এটা অস্বীকার করছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন সোচ্চার ছিল। সভা-সেমিনার, পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে অবস্থান নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সর্বশেষ জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে বিভিন্ন সংগঠনের সময়ে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি নিয়ে দিনের পর দিন ফ্যাসিবাদ অনুগত হাইকমিশনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। শাহগির বখত ফারুকরা তখন আওয়ামী লীগের অনুগত ছিলেন। তাদের কোথাও দেখা যায়নি।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বৈঠক আয়োজন এবং তালিকা তৈরির বিষয়ে কিছুই জানি না। এসব দেখার দায়িত্ব অন্যদের।

‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ শিরোনামে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশি কমিউনিটির পরিচিত আওয়ামীপন্থিদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এ বৈঠক কার স্বার্থে আয়োজন হচ্ছে তা নিয়ে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। প্রধান উপদেষ্টাকে বিতর্কিত করতেই কি ‘সর্ষের মধ্যে ভূত’ এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে এমন প্রশ্নও উঠেছে?
বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার হোটেল লবিতে ৩০/৪০ জনের সাথে প্রধান উপদেষ্টার এ বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যাদের নাম তালিকায় রয়েছে তাদের সকলেই কোনো না কোনোভাবে আওয়ামী লীগের সাথে সংশ্লিষ্ট। গত ১৫ বছরে আওয়ামী দু:শাসনেও তাদেরকে আওয়ামী লীগের সাথেই দেখা গেছে। এমনকি প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য আগমন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানাতে যারা উদ্যোগী ভূমিকা নিয়েছেন তাদের কাউকেও রাখা হয়নি এ বৈঠকে। তাহলে কার স্বার্থে এবং কে এই ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ বৈঠকের আয়োজন করেছে, এ প্রশ্ন এখন যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে।
এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে নিয়োজিত বাংলাদেশ হাইকমিশনে যোগাযোগ করলে পদস্থ একজন কর্মকর্তা জানান, বৈঠকের তালিকা শাহগির বখত ফারুকের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তিনি পুরাতন আওয়ামী লীগার। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতিও ছিলেন এক সময়। তিনি বরাবরই আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। গত ১৫ বছরেও তিনি আওয়ামী রাজনীতি সম্পৃক্ত ছিলেন। সাবেক আওয়ামী পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমিন তার বাল্যবন্ধু এ পরিচয় দিয়ে বেড়াতেন।
অপরদিকে শাহগির বখত ফারুকের সাথে সাংবাদিকরা যোগাযেগা করলে তিনি জানান, এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
হাইকমিশনের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রধান উপদেষ্টার সফর চূড়ান্ত হওয়ার পর শাহগির বখত ফারুক ৪০ জনের একটি তালিকা দিয়ে তাদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকের সময়সূচির চেষ্টা করেন। এ নিয়ে হাইকমিশনার আবেদা ইসলামের সাথে বৈঠক করেন। তবে হাইকমিশনের পক্ষ থেকে সিভিক রিসিপশনের আয়োজন করে কমিউনিটর দেড়শ লোককে দাওয়াত দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। হল ভাড়া করা হয়েছিল। কিন্তু শাহগির বখতের এটা পছন্দ হয়নি। তাই নানা অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে এই সিভিক রিসিপশন বাতিল করানো হয়।
মিট অ্যান্ড গ্রিট শিরোনামে বাংলাদেশি কমিউিনিটির সিলেক্টেড আওয়ামীদের সাথে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক হবে, এমন খবর গতকাল বুধবার ছড়িয়ে পড়লে চরম ক্ষোভ তৈরি হয়। প্রশ্ন উঠে, প্রধান উপদেষ্টাকে আওয়ামী লীগ অপমান করার চেষ্টার সময় তারা কোথায় ছিলেন? যারা প্রধান উপদেষ্টার পক্ষে অবস্থান নিয়ে হোটেলের সামনে আওয়ামীদের মোকাবিলা করার চেষ্টা করেছেন এবং আলতাব আলী পার্কে বিশাল নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেছেন তারাই বা প্রধান উপদেষ্টার দেখা করার সুযোগ পাননি কেন?
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, শাহগির বখতের দেওয়া তালিকা কৌশলে ঢাকায় পাঠিয়ে প্রধান উপদেষ্টার দফতর থেকে অনুমোদন করিয়ে আনা হয়েছে। হাইকমিশনের একটি সূত্র এমনটাই দাবি করেন। তবে শাহগির বখত এটা অস্বীকার করছেন।
উল্লেখ্য, গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন সোচ্চার ছিল। সভা-সেমিনার, পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের সামনে অবস্থান নিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। সর্বশেষ জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শুরু হলে বিভিন্ন সংগঠনের সময়ে ঐক্যবদ্ধ কর্মসূচি নিয়ে দিনের পর দিন ফ্যাসিবাদ অনুগত হাইকমিশনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। শাহগির বখত ফারুকরা তখন আওয়ামী লীগের অনুগত ছিলেন। তাদের কোথাও দেখা যায়নি।
প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বৈঠক আয়োজন এবং তালিকা তৈরির বিষয়ে কিছুই জানি না। এসব দেখার দায়িত্ব অন্যদের।

সৌদি আরবে অবস্থানরত প্রবাসী কর্মীরা তাদের নিয়োগকর্তার (স্পন্সর) অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন এবং সহজেই সৌদি আরবে প্রবেশ ও বের হওয়ার স্বাধীনতা পাবেন।
৫ ঘণ্টা আগে
আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনকে কেন্দ্র করে মালয়েশিয়াজুড়ে নিরাপত্তা ও আগমন কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ তিন হাজারেরও বেশি কর্মকর্তাকে দেশের সব প্রবেশপথে নিয়োগ দিয়েছে।
৫ দিন আগে
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুট শহরে আরম্ভ হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক বইমেলা। মেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকারনাইন।
৭ দিন আগে
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট শহরে আরম্ভ হয়েছে পাঁচ দিন ব্যাপী আন্তর্জাতিক বইমেলা।বইমেলায় বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন উদ্বোধন করেন জার্মানিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জুলকারনাইন।
৭ দিন আগে