
আমার দেশ অনলাইন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) দীর্ঘ ৩৫ বছরের আয়-ব্যয়ের কোনো নির্ভরযোগ্য হিসাব না থাকা এবং শূন্য তহবিল নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ তুলেছেন নবনির্বাচিত নেতারা। ১৯৯০ সালের পর থেকে ডাকসু কার্যত অকার্যকর থাকলেও, প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগৃহীত ফিয়ের বিপুল অঙ্কের অর্থের কোনো হিসাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখাতে পারছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদের জন্য শিক্ষার্থীরা মোট ৩৬ লাখ ৬ হাজার টাকা দিয়ে থাকেন, যার অর্ধেক ডাকসুর এবং বাকি অর্ধেক হল সংসদের জন্য নির্ধারিত।
সেই হিসাবে গত ছয় বছরে (২০১৯-২০২৫) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা সংগ্রহ হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ডাকসুর হিসাবের খাতে থাকার কথা। কিন্তু চলতি অর্থবছরে ডাকসুর বাজেট বরাদ্দ মাত্র ৩০ লাখ টাকা, ফলে বাকি অর্থের গন্তব্য নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এইচ এম মোশারফ হোসেন বলেন, “বিব্রতকর পরিস্থিতি হলো যে ডাকসুর নামে কোনো আলাদা ব্যাংক হিসাব নেই। কার্যক্রম চালাতে আমরা ব্যক্তিগতভাবে খরচ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় বাজেটে ডাকসুর ফি ‘নিজস্ব আয়’ হিসেবে ধরা হয়, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি তৈরি করছে।”
অন্যদিকে, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য হাতে নেই। ডাকসু ও হল সংসদ বাবদ কত টাকা জমা হয়েছে এবং কোথায় খরচ হয়েছে, তার একটি স্টেটমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই সেটি প্রস্তুত হবে।”
ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম বলেন, “১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ডাকসু ও হল সংসদের জন্য যে অর্থ দিয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রশাসনের কাছে চেয়েছি। এমনকি ২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ের অডিট রিপোর্ট ও হিসাব ডাকসুর অ্যাকাউন্টে হস্তান্তরের দাবিও জানিয়েছি। কিন্তু তিন সপ্তাহ আগে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও কোনো জবাব পাইনি।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে এই অর্থের হিসাব গোপন করছে। তার ভাষ্য, “শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য প্রদত্ত অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করলে তারও জবাবদিহি থাকতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বেতন বন্ধের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতেও আমরা বাধ্য হবো।”
ডাকসুর জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) এস এম ফরহাদ বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত কোনো বাজেট পাইনি। ডাকসুর একাউন্টে এক টাকাও নেই। বাধ্য হয়ে স্পনসরদের সহায়তায় কার্যক্রম চালাচ্ছি। ২০১৯ সালের পর থেকে শিক্ষার্থীরা কত টাকা দিয়েছে এবং কোথায় খরচ হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশাসনের কাছে বারবার চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া পাইনি।”
ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যরা জানান, নির্বাচনের এক মাস পেরিয়ে গেলেও আলাদা তহবিল গঠনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। ফলে সব কার্যক্রমই এখন চলছে ব্যক্তিগত বা স্পন্সর সহযোগিতায়।
এ অবস্থায় তিন দফা দাবিতে রোববার বিক্ষোভ মিছিল ও রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ডাকসু। তাদের দাবিগুলো হলো- ডাকসু ও হল সংসদের অতীতের সব ফান্ডের পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রকাশ ও স্বচ্ছ বাজেট উপস্থাপন; নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনে টোকাই, ভবঘুরে ও মাদকচক্র নির্মূল; ‘খুনি হাসিনার পক্ষে’ মিছিলে অংশ নেওয়া ডেপুটি রেজিস্ট্রার রুহুল আমিনসহ ফ্যাসিবাদের দোসর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ ও বিচার।
ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সব হলের শিক্ষার্থীদের রোববার প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) দীর্ঘ ৩৫ বছরের আয়-ব্যয়ের কোনো নির্ভরযোগ্য হিসাব না থাকা এবং শূন্য তহবিল নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ তুলেছেন নবনির্বাচিত নেতারা। ১৯৯০ সালের পর থেকে ডাকসু কার্যত অকার্যকর থাকলেও, প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সংগৃহীত ফিয়ের বিপুল অঙ্কের অর্থের কোনো হিসাব বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখাতে পারছে না।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি বছর ডাকসু ও হল সংসদের জন্য শিক্ষার্থীরা মোট ৩৬ লাখ ৬ হাজার টাকা দিয়ে থাকেন, যার অর্ধেক ডাকসুর এবং বাকি অর্ধেক হল সংসদের জন্য নির্ধারিত।
সেই হিসাবে গত ছয় বছরে (২০১৯-২০২৫) শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২ কোটি ১৬ লাখ ৩৬ হাজার টাকা সংগ্রহ হয়েছে, যার মধ্যে অন্তত ১ কোটি ৮ লাখ টাকা ডাকসুর হিসাবের খাতে থাকার কথা। কিন্তু চলতি অর্থবছরে ডাকসুর বাজেট বরাদ্দ মাত্র ৩০ লাখ টাকা, ফলে বাকি অর্থের গন্তব্য নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন।
ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এইচ এম মোশারফ হোসেন বলেন, “বিব্রতকর পরিস্থিতি হলো যে ডাকসুর নামে কোনো আলাদা ব্যাংক হিসাব নেই। কার্যক্রম চালাতে আমরা ব্যক্তিগতভাবে খরচ করছি। বিশ্ববিদ্যালয় বাজেটে ডাকসুর ফি ‘নিজস্ব আয়’ হিসেবে ধরা হয়, যা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতি তৈরি করছে।”
অন্যদিকে, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “আমাদের কাছে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য হাতে নেই। ডাকসু ও হল সংসদ বাবদ কত টাকা জমা হয়েছে এবং কোথায় খরচ হয়েছে, তার একটি স্টেটমেন্ট তৈরি করা হচ্ছে। কয়েক দিনের মধ্যেই সেটি প্রস্তুত হবে।”
ডাকসুর নবনির্বাচিত সহসভাপতি (ভিপি) আবু সাদিক কায়েম বলেন, “১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ডাকসু ও হল সংসদের জন্য যে অর্থ দিয়েছে, তার পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রশাসনের কাছে চেয়েছি। এমনকি ২০১৯ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত সময়ের অডিট রিপোর্ট ও হিসাব ডাকসুর অ্যাকাউন্টে হস্তান্তরের দাবিও জানিয়েছি। কিন্তু তিন সপ্তাহ আগে চিঠি দেওয়া সত্ত্বেও কোনো জবাব পাইনি।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে এই অর্থের হিসাব গোপন করছে। তার ভাষ্য, “শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য প্রদত্ত অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করলে তারও জবাবদিহি থাকতে হবে। প্রয়োজনে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বেতন বন্ধের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতেও আমরা বাধ্য হবো।”
ডাকসুর জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) এস এম ফরহাদ বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত কোনো বাজেট পাইনি। ডাকসুর একাউন্টে এক টাকাও নেই। বাধ্য হয়ে স্পনসরদের সহায়তায় কার্যক্রম চালাচ্ছি। ২০১৯ সালের পর থেকে শিক্ষার্থীরা কত টাকা দিয়েছে এবং কোথায় খরচ হয়েছে, সে বিষয়ে প্রশাসনের কাছে বারবার চিঠি দিয়েও কোনো সাড়া পাইনি।”
ডাকসুর কার্যনির্বাহী সদস্যরা জানান, নির্বাচনের এক মাস পেরিয়ে গেলেও আলাদা তহবিল গঠনের কোনো উদ্যোগ নেয়নি প্রশাসন। ফলে সব কার্যক্রমই এখন চলছে ব্যক্তিগত বা স্পন্সর সহযোগিতায়।
এ অবস্থায় তিন দফা দাবিতে রোববার বিক্ষোভ মিছিল ও রেজিস্ট্রার ভবন ঘেরাও কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ডাকসু। তাদের দাবিগুলো হলো- ডাকসু ও হল সংসদের অতীতের সব ফান্ডের পূর্ণাঙ্গ হিসাব প্রকাশ ও স্বচ্ছ বাজেট উপস্থাপন; নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনে টোকাই, ভবঘুরে ও মাদকচক্র নির্মূল; ‘খুনি হাসিনার পক্ষে’ মিছিলে অংশ নেওয়া ডেপুটি রেজিস্ট্রার রুহুল আমিনসহ ফ্যাসিবাদের দোসর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অপসারণ ও বিচার।
ডাকসুর সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী ইবনে মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সব হলের শিক্ষার্থীদের রোববার প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

এ বিষয়ে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সভাপতি ইসমাইল হোসেন রাহাত বলেন, এরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার্থী হিসেবে মূল্যায়ন করে কিনা তা ভাবতে কষ্ট হয়। যদি শিক্ষার্থী হিসেবে ভাবতেন, আপনার সন্তান হিসেবে ভাবতেন তাহলে আপনারা এই হত্যার বিচার করতেন। এই ১০০ দিন আপনাদের জন্য লজ্জার। একটা হত্যা তো ঠেকাতে পারলেন না এমনকি তা ব
৬ মিনিট আগে
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ইউনিভার্সিটি টিচার্স লিংক (ইউটিএল) শাখার আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১৫ সদস্যবিশিষ্ট এই কমিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু লায়েক আহ্বায়ক এবং আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান সাদী সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন।
১২ মিনিট আগে
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এ রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৬৩ জনে দাঁড়িয়েছে। একই সময়ে নতুন করে ১,১৪৩ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
পৃথিবীতে আমার বেশ ক’টি দেশ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। এবার সুযোগ এলো চীন দেখার, তাই আর হাতছাড়া করলাম না। একটি ট্রাভেল এজেন্টের মারফত আমিও চল্লিশ জনের দলের সঙ্গে এই আট দিনের প্যাকেজ ট্যুরে স্ত্রীসহ শামিল হয়ে গেলাম।
৬ ঘণ্টা আগে