জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট গ্রহণ ও ফলাফল ঘোষণার পদ্ধতি নিয়ে দুই দফা দাবি উত্থাপন করেছে শাখা ছাত্রদল। এর আগে গত ২৫ ডিসেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মোস্তফা হাসান জানান, আসন্ন জকসু নির্বাচনে ওএমআর পদ্ধতির মাধ্যমে ভোট গণনা করা হবে।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জবি ছাত্রদল আনুষ্ঠানিকভাবে এসব দাবি পেশ করে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল নেতারা বলেন, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে ম্যানুয়ালি ভোট গ্রহণ ও কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফল প্রকাশ অত্যন্ত জরুরি।
তাদের দাবিগুলো হলো, ম্যানুয়ালি ভোট গণনা নিশ্চিত করতে হবে। প্রযুক্তিগত কোনো জটিলতা বা ডিজিটাল কারচুপির সুযোগ এড়াতে ব্যালট পেপারে প্রদত্ত ভোটগুলো প্রার্থীদের এজেন্টদের উপস্থিতিতে স্বচ্ছভাবে হাতে (ম্যানুয়ালি) গণনা করতে হবে।
শাখা ছাত্র দলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল নিজ নিজ কেন্দ্রে ঘোষণা করতে হবে। ভোট গণনা শেষে কোনো প্রকার লুকোচুরি বা পরিবর্তনের সুযোগ বন্ধ করতে প্রতিটি কেন্দ্রের ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে সংশ্লিষ্ট ভোটকেন্দ্রেই প্রকাশ করতে হবে এবং ফলাফলের কপি প্রার্থীদের এজেন্টদের সরবরাহ করতে হবে।
এ সময় তারা বলেন, প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে কতটি ব্যালট ব্যবহার হয়েছে, কতটি ব্যালট বাতিল হয়েছে এবং কতটি অব্যবহৃত রয়ে গেছে—এসব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ ও স্বচ্ছ হিসাব নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সবার সামনে উপস্থাপন করতে হবে। অতীতে বিভিন্ন ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ব্যালট সংক্রান্ত অনিয়ম ও কারচুপির নজির থাকার কথাও তারা উল্লেখ করেন।
অনেক ক্ষেত্রে ভোটগ্রহণ শেষে ব্যালট পেপার যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা গেছে, যা নির্বাচনের স্বচ্ছতা ও গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। জকসু নির্বাচনে যেন এমন কোনো পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সে জন্য নির্বাচন কমিশনের কঠোর নজরদারি ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তারা।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

