আমার দেশ জনপ্রিয় বাংলা নিউজ পেপার

সাক্ষাৎকারে শিবিরের ভিপি প্রার্থী

জবি শিক্ষার্থীদের যাযাবর জীবনের অবসান ঘটাব

লিমন ইসলাম, জবি

জবি শিক্ষার্থীদের যাযাবর জীবনের অবসান ঘটাব
রিয়াজুল ইসলাম

প্রতিষ্ঠার পর প্রথম ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ পেয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আগামী মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জকসু) ভোটযুদ্ধে ‘অদম্য জবিয়ান ঐক্য’ প্যানেল নিয়ে নেমেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। এ প্যানেল জয়ী হলে ছাত্রছাত্রীদের প্রধান সমস্যা আবাসন সংকট নিরসনসহ ১২ মাসে ২১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী রিয়াজুল ইসলাম। তিনি শাখা শিবিরের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। একান্ত সাক্ষাৎকারে আমার দেশকে বিভিন্ন ভাবনার কথা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিয়াজুল। কথা বলেছেন প্রার্থী হওয়ার পেছনের গল্প, জবির বর্তমান সংকট, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও শিক্ষার্থীদের প্রতি অঙ্গীকারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।

ভিপি প্রার্থী রিয়াজুল বলেন, ছাত্রশিবিরের সাংগঠনিক কাঠামো বাংলাদেশের অন্যান্য সংগঠন থেকে ভিন্ন। এখানে ব্যক্তিগত ইচ্ছায় প্রার্থী হওয়া যায় না। সংগঠন আমাকে ভিপি প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার পরই আমি তা অনুসরণ করেছি। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সংগঠন মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা বিশ্লেষণ করে আমাদের প্রার্থী নির্ধারণ করেছে। তবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির সবসময়ই ছাত্র সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত ছিল। জবির বর্তমান সংকট নিয়ে তিনি বলেন, জবির যেকোনো শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রথমেই আবাসন সমস্যার কথা বলবেন। এ কারণে শিক্ষার্থীদের মেসে যাযাবরের মতো জীবনযাপন করতে হয়। নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে, পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। আবাসন সংকটের কারণে জবির একাধিক শিক্ষার্থীকে জীবনও দিতে হয়েছে। তাই নিঃসন্দেহে এটি জবির সবচেয়ে বড় সংকট। এখানেই প্রধানত নজর থাকবে। ছাত্রছাত্রীদের যাযাবর জীবনের অবসান ঘটাতে চাই।

বিজ্ঞাপন

নির্বাচিত হলে কেমন জবি দেখতে চান—এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি একটি আধুনিক, নিরাপদ ও শিক্ষার্থীবান্ধব ক্যাম্পাস দেখতে চাই, যেখানে শিক্ষার্থীরা মুক্ত পাখির মতো উড়ে বেড়াবেন। ইনসাফ ও কলমের সমন্বয়ে এমন এক ক্যাম্পাস গড়তে চাই, যেখানে মেধাই হবে ক্ষমতার উৎস, অধিকার হবে অলঙ্ঘনীয়। তিনি বলেন, আমরা চাঁদাবাজ, মাদকমুক্ত ও ভয়ভীতিহীন ক্যাম্পাস চাই। জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে শহীদ সাজিদের উত্তরসূরি হিসেবে সব সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে সোনালি ভোর আনাই আমাদের লক্ষ্য।

শিবিরের এই ভিপি প্রার্থী বলেন, আমরা ১২ মাসে ২১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছি। জকসু একটি সহযোগী সংগঠন হিসেবে প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে যেখানে যাওয়ার প্রয়োজন সেখানে যাব এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। শিক্ষার মানোন্নয়নের অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, সব বিভাগে আউটপুট-বেসড এডুকেশন, কারিকুলাম চালু, আধুনিক ল্যাঙ্গুয়েজ সেন্টার স্থাপন এবং আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করতে চাই। গবেষণার জন্য বিশেষ স্কলারশিপ, সমৃদ্ধ ল্যাব, নিয়মিত রিসার্চ ফেস্ট, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমওইউ, টিএ এবং আরএ পদ চালু করতে চাই।

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তিনি বলেন, মেসে থাকা ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা এখানে অন্যতম প্রধান সমস্যা। তাই শিক্ষার্থীদের সহায়তা করার জন্য বিশেষ সেল ও হটলাইন চালু, র‍্যাগিং ও সাইবার বুলিংয়ে জিরো টলারেন্স নীতি, পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও প্রশিক্ষিত জনবল নিয়োগের পরিকল্পনা আছে।

Google News Icon

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন