
প্রজ্ঞা সর্বজয়া, ইবি

প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) এখনো দেখেনি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনের মুখ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, আইনি জটিলতার কারণে এতদিন সংসদ গঠনের সুযোগ ছিল না। অন্যদিকে ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে ছাত্র সংসদ গঠন করা এখন সময়ের দাবি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেবা ও সুযোগ-সুবিধার মান ক্রমে নিম্নগামী হলেও তাদের দাবি-দাওয়া বা প্রত্যাশা জানানোর কোনো নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম নেই। তারা মনে করেন, ইকসু গঠন হলে ছাত্রছাত্রীদের মৌলিক স্বার্থরক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইবি প্রশাসনের ভাষ্য, ছাত্র সংসদ গঠন ও নির্বাচন আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত নীতিমালা তৈরি করে তা সিন্ডিকেটে অনুমোদন এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। এছাড়া যেসব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ গঠনের আইন প্রণীত ছিল না, সেখানেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে সংসদ আদায় করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র সংসদ নির্বাচন চেয়ে লাগাতার আন্দোলন, বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করে আসছে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলো। এ লক্ষ্যে গত ২৫ আগস্ট একযোগে ‘মার্চ ফর ইকসু’ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা। নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ইবি সংস্কার আন্দোলনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের দাবি মেনে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য । পরে এক মতবিনিময় সভায় ইকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ইকসু শিক্ষার্থীদের দাবি অবশ্যই পূরণ করা হবে।
তিনি বলেন, চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জন্য যে গঠনতন্ত্র আছে সেটি এনে ইকসুর জন্য একটি গঠনতন্ত্র তৈরি করা হবে। সেটি সিন্ডিকেটে অনুমোদনের পর ইউজিসিতে পাঠানো হবে। সেখানে শিক্ষক ও ছাত্রপ্রতিনিধি দল যোগাযোগ করবে। ইউজিসি থেকে অনুমোদন হয়ে গেলে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে কেবিনেটে পাঠানো হবে এবং আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ইবিতে ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ আইন পাস হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ আগস্ট ইকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে গঠনতন্ত্র তৈরি করে নভেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো গঠনতন্ত্র প্রকাশ করেনি সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান একাধিক গণমাধ্যমকে বলেন, ইকসুর খসড়া গঠনতন্ত্র তৈরি হয়ে গেছে। আগামী ২৫ অক্টোবর ফাইনাল মিটিংয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের স্বাক্ষরের পর এটি চূড়ান্ত হবে।
এদিকে ছাত্র সংসদ নিয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ইকসুকে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। তবে প্রশাসনের এমন ধীর আচরণে নির্বাচন নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছে তাদের মনে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ইকসু সময়ের দাবি। এটি শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা, নেতৃত্ব বিকাশ ও ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের পথ সুগম করবে। বিশ্ববিদ্যালয় আরো স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও আধুনিক শিক্ষাঙ্গনে পরিণত হবে।
আরেক শিক্ষার্থী বোরহান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা এই কাঠামো থেকে বঞ্চিত থাকায় তাদের মতামত ও অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। ইকসু গঠন এখন প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর যৌক্তিক দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন পাস হয়ে ২২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।

প্রতিষ্ঠার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) এখনো দেখেনি কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ইকসু) গঠনের মুখ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, আইনি জটিলতার কারণে এতদিন সংসদ গঠনের সুযোগ ছিল না। অন্যদিকে ছাত্র সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে ছাত্র সংসদ গঠন করা এখন সময়ের দাবি।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সেবা ও সুযোগ-সুবিধার মান ক্রমে নিম্নগামী হলেও তাদের দাবি-দাওয়া বা প্রত্যাশা জানানোর কোনো নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম নেই। তারা মনে করেন, ইকসু গঠন হলে ছাত্রছাত্রীদের মৌলিক স্বার্থরক্ষা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ইবি প্রশাসনের ভাষ্য, ছাত্র সংসদ গঠন ও নির্বাচন আয়োজনের জন্য পর্যাপ্ত নীতিমালা তৈরি করে তা সিন্ডিকেটে অনুমোদন এবং রাষ্ট্রপতির অনুমোদন নেওয়া প্রয়োজন।
এদিকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। এছাড়া যেসব উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ গঠনের আইন প্রণীত ছিল না, সেখানেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের মাধ্যমে নিজেদের দাবিকে প্রতিষ্ঠা করে সংসদ আদায় করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র সংসদ নির্বাচন চেয়ে লাগাতার আন্দোলন, বিক্ষোভ ও ছাত্র সমাবেশ করে আসছে সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলো। এ লক্ষ্যে গত ২৫ আগস্ট একযোগে ‘মার্চ ফর ইকসু’ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা। নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়ে কর্মসূচি পালন করছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ইবি সংস্কার আন্দোলনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় ছাত্রদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করে তাদের দাবি মেনে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য । পরে এক মতবিনিময় সভায় ইকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ইকসু শিক্ষার্থীদের দাবি অবশ্যই পূরণ করা হবে।
তিনি বলেন, চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের জন্য যে গঠনতন্ত্র আছে সেটি এনে ইকসুর জন্য একটি গঠনতন্ত্র তৈরি করা হবে। সেটি সিন্ডিকেটে অনুমোদনের পর ইউজিসিতে পাঠানো হবে। সেখানে শিক্ষক ও ছাত্রপ্রতিনিধি দল যোগাযোগ করবে। ইউজিসি থেকে অনুমোদন হয়ে গেলে বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে যাবে। পরবর্তী সময়ে কেবিনেটে পাঠানো হবে এবং আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের পর ইবিতে ‘কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ আইন পাস হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ আগস্ট ইকসুর গঠনতন্ত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, সবকিছু ঠিক থাকলে ১৫ অক্টোবরের মধ্যে গঠনতন্ত্র তৈরি করে নভেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও এখনো গঠনতন্ত্র প্রকাশ করেনি সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান একাধিক গণমাধ্যমকে বলেন, ইকসুর খসড়া গঠনতন্ত্র তৈরি হয়ে গেছে। আগামী ২৫ অক্টোবর ফাইনাল মিটিংয়ে ঢাকা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের স্বাক্ষরের পর এটি চূড়ান্ত হবে।
এদিকে ছাত্র সংসদ নিয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা ইকসুকে শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্যতম মাধ্যম হিসেবে দেখছেন। তবে প্রশাসনের এমন ধীর আচরণে নির্বাচন নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছে তাদের মনে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ইকসু সময়ের দাবি। এটি শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা, নেতৃত্ব বিকাশ ও ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের পথ সুগম করবে। বিশ্ববিদ্যালয় আরো স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও আধুনিক শিক্ষাঙ্গনে পরিণত হবে।
আরেক শিক্ষার্থী বোরহান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীরা এই কাঠামো থেকে বঞ্চিত থাকায় তাদের মতামত ও অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত হয়ে পড়েছে। ইকসু গঠন এখন প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থীর যৌক্তিক দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
১৯৭৯ সালে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার আইন পাস হয়ে ২২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।

দেশজুড়ে চলমান সহিংসতা, গাজীপুরে মসজিদের ইমাম অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে এবং অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার এবং বাংলাদেশে উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা।
২১ ঘণ্টা আগে
লাগাতার ধর্ষণ-নিপীড়ন,উগ্র হিন্দুত্ববাদী অতৎপরতা ও টঙ্গীতে মসজিদের খতিবকে অপহরণের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বটতলায় এসে শেষ হয়।
১ দিন আগে
শব্দ, আলো, গন্ধ, বাতাসের চাপের তারতম্য অথবা কিছু খাবার খেলে মাইগ্রেনের সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যা একবার শুরু হলে তা নিয়ন্ত্রণে আনা কঠিন হয়ে পড়ে। অনেক সময় ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত মাথাব্যথা থাকতে পারে, আবার কিছুদিনের মধ্যেই তা ফিরে আসে।
১ দিন আগে
অগ্নিকাণ্ড এখন প্রায় দৈনন্দিন খবর হয়ে দাঁড়িয়েছে। বেশিরভাগ সময় অসতর্কতা, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ না থাকা বা নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে আগুন লাগে। এতে মানুষের প্রাণহানি হয় এবং সম্পদেরও বড় ক্ষতি হয়। তবে কিছু সচেতনতা ও আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করলে আগুন লাগা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
১ দিন আগে