একদফা দাবি আদায়ে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ১৭: ৪৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি)’ মডেলে প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক স্বতন্ত্রতা নিশ্চিত করার দাবিতে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রকৌশল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সরকারি চারটি প্রকৌশল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশের বিশেষায়িত প্রকৌশল কলেজগুলোর যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রকৌশল শিক্ষার উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে। কিন্তু সূচনালগ্ন থেকে এসব প্রতিষ্ঠান একাডেমিকভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হলেও প্রশাসনিকভাবে রয়েছে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে। ফলে সৃষ্টি হয়েছে দ্বৈত কাঠামো, যা দীর্ঘদিন ধরে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক সমন্বয়হীনতা সৃষ্টি করে চলেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত এবং প্রশাসনিকভাবে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অধীনে হওয়ায় শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয় সংকটে ভুগছে৷ তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিবে নাকি কলেজের পরিচয় দিবে এই বিষয়ে কোন স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় চাকরির ক্ষেত্রে আমাদেরকে পলিটেকনিক কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে করে আমরা চাকরির বাজারে পিছিয়ে পড়ছি।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সংকট দীর্ঘদিনের হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এখনো কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দাবি আদায়ে এরই মধ্যে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কারিগরি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব, শিক্ষা উপদেষ্টার একান্ত সচিব এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

তাদের মূল দাবি—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্তি বাতিল করে বিআইটি মডেলের একটি স্বায়ত্তশাসিত কমিশনের অধীনে প্রকৌশল কলেজগুলোকে আনয়ন এবং ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষ থেকে স্বতন্ত্র অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কাঠামো বাস্তবায়ন।

আমাদের একমাত্র যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করা পর্যন্ত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। আমরা সরকারকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই - আমাদের দাবি উপেক্ষা করে সরকার যদি কোন ধরনের ষড়যন্ত্র করে বা আমাদের বিভ্রান্ত করতে চেষ্টা করা হয়, তবে আমরা পরবর্তীতে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। এর ফলে উদ্ভূত সকল দায় দায়িত্ব সরকারের উপর বর্তাবে বলেও ঘোষণা দেন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত