তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে কুবিতে মশাল মিছিল

প্রতিনিধি, কুবি
প্রকাশ : ১৮ অক্টোবর ২০২৫, ০৩: ০৮

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) উত্তরবঙ্গ ছাত্র পরিষদ আয়োজনে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে মশাল মিছিল করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। মশাল মিছিলে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উত্তরবঙ্গ ছাত্র পরিষদের শিক্ষার্থীরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।

তাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মিছিলে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও। এ সময় তারা ‘তিস্তা বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’, ‘আমাদের তিস্তা, বুঝে নেব হিস্যা’, ‘বাঁচাও তিস্তা বাঁচাও দেশ, তোমার আমার বাংলাদেশ', ‘জাগো বাহে কোনঠে সবাই’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাহাবুর রহমান বলেন, ‘উত্তরবঙ্গে তিস্তা অববাহিকায় বসবাসকারী মানুষের নিত্যদিনের দুঃখের একমাত্র কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তিস্তা নদী। এই নদী শুষ্ক মৌসুমে থাকে একেবারে পানিশূন্য, আবার বর্ষায় হয়ে ওঠে ভয়ংকর রূপ। একই নদীর এই দুই রূপের একমাত্র কারণ ভারতের অসম পানি বণ্টন। তিস্তা নদীর পানি যদি সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা যায়, তাহলে তিস্তা হয়ে উঠবে উত্তরবঙ্গের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। আমাদের দাবি তিস্তা উন্নয়ন মহাপরিকল্পনা’ বাস্তবায়ন করে তিস্তার পানির সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা হোক।’

উত্তরবঙ্গ ছাত্র পরিষদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি নাঈম আহমেদ বলেন, ‘কেউ উত্তরবঙ্গের কথা বা তিস্তা পারের মানুষের কথা ভাবে না। নাহলে এভাবে বছরের পর বছর বন্যা কবলিত হয়ে মানুষ ভিটেমাটি হারাচ্ছে, ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে তারপরও উপর মহলের কারও টনক নড়ে না কেন? আমাদের সমস্যা নিয়ে কেউ কথা বলবে না কারণ মাথা ব্যথা আমাদের অন্য কেউ বুঝবে না। তবে আমার বিশ্বাস আমরা কথা বললে অবশ্যই অন্যরাও বলবে। তাই সবার উচিত এ বিষয়ে সোচ্চার হওয়া। অনলাইন হোক আর অফলাইনে হোক, এটা নিয়ে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি হোক। প্রতিবাদ হোক।

উত্তরবঙ্গ ছাত্র পরিষদের উপদেষ্টা ও প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. সাদেকুজ্জামান তনু বলেন, একসময় তিস্তা ছিল প্রশস্ত ও খরস্রোতা নদী, কিন্তু এখন তা সরু হয়ে পড়েছে। ফলে বর্ষায় বন্যা আর শুষ্ক মৌসুমে পানির অভাবে মানুষ দুর্ভোগে পড়ছে। দীর্ঘদিন ধরে উত্তরবঙ্গের মানুষ ন্যায্য পানির দাবিতে আন্দোলন করলেও তার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি।

তিনি বলেন, তিস্তা নদী বৃহত্তর রংপুরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বর্তমান ইন্টেরিম সরকারের কাছে তিনি দ্রুত ন্যায্য পানির হিস্যা আদায়ের আহ্বান জানাই।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত