চাকসু নির্বাচন

শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া কালি মুছে যাচ্ছে: ছাত্রদল

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৪৭
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ১১: ৫৪
ভোট দেয়ার পর আঙুলের কালি উঠে যাচ্ছে। ডানে ভোট দেন ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী মো. শাফায়াত হোসন

চাকসু নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের হাতে দেওয়া কালি মুছে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান। এ ইস্যুতে নির্বাচন কমিশনে তারা অভিযোগ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। বুধবার সকাল ১০টার দিকে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিজ্ঞাপন

নোমান বলেন, কথা ছিল শিক্ষার্থীদের হাতে দেয়া কালি মুছবে না, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে কালি মুছে যাচ্ছে।

রায়হান নামে এক শিক্ষার্থী জানান, কেউ ঘুণাক্ষরেও বলতে পারবেন আমি ভোট দিয়েছি? অথচ আমি মাত্রই ভোট দিয়ে এলাম। একটু ঘষা দিয়েই কালি তুলে ফেলা যাচ্ছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ৩১২৪ নম্বর কক্ষে সকাল ১০টায় ভোট দিয়ে ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী মো. শাফায়াত হোসেনও একই অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় যে কালি দেওয়া হচ্ছে তা এক ঘষাতেই উঠে যাচ্ছে। পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ। মাত্র একটি ট্রেন ক্যাম্পাসে এসেছে। বেশি শিক্ষার্থী দেখা যাচ্ছে না। তবে বেলা গড়ালে শিক্ষার্থীরা হয়তো ভোট দিতে আসবেন।

ঘটনাস্থলে শাফায়াত বিষয়টি নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদকে জানালে তিনি বলেন, কালি উঠে গেলেও শিক্ষার্থীদের নাম তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হচ্ছে। ফলে কোনো সমস্যা হবে না।

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু), হল ও হোস্টেল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এদিন সকাল থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ এবং চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওএমআর ব্যালট পদ্ধতিতে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫টি অনুষদ ভবনে স্থাপন করা হয়েছে ১৫টি ভোটকেন্দ্র ও ৬১টি ভোটকক্ষ। চাকসুর ২৬টি পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪১৫ জন প্রার্থী, আর হল ও হোস্টেল সংসদের ২৪টি পদের জন্য লড়বেন ৪৯৩ জন। মোট ভোটার সংখ্যা ২৭ হাজার ৫১৬ জন।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত