নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা

প্রতিনিধি, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ২০
আপডেট : ৩১ আগস্ট ২০২৫, ১৬: ২৬

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩১ আগস্ট) এক প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে রোডম্যাপ ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখের মধ্যে ছাত্র সংসদের সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পাঠানো হবে। পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক গেজেট প্রকাশের পর নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে।'

এরআগে পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপের দাবিতে আজ সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অনশনে বসে কয়েকজন শিক্ষার্থী।

গত বছর আগস্টে স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসংসদ গঠনের দাবি জোরদার হতে থাকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে। এরই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে ছাত্রসংসদের রোডম্যাপ ঘোষণা করার জন্য রোববার পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে নানা জটিলতায় এসব দাবি ও রোডম্যাপ ঘোষণা করতে না পারায় আজ আমরণ অনশনে বসে শিক্ষার্থীরা। পরে বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম শিক্ষার্থীদের অনশনস্থলে উপস্থিত হয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেন।

নির্বাচনী রোডম্যাপে বলা হয়েছে, গেজেট প্রকাশের পর ৩ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে। এরপর ৫ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়ন, ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পর ৫ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচন তফসিল ঘোষণা করা হবে। তফসিল ঘোষণার পরবর্তী ১৬ কর্মদিবসের মধ্যে সংবিধি অনুযায়ী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বিতরণ, দাখিল, যাচাই বাছাই, আপত্তি গ্রহণ ও নিষ্পত্তি, চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশসহ সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করা হবে। এরপর পরবর্তী ১০ কর্মদিবস পর্যন্ত চলবে নির্বাচনী প্রচারণা। রোডম্যাপ অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের সর্বোচ্চ ৫৪ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। এতে সম্ভাব্য নির্বাচনের তারিখ ধরা হয়েছে ১১ ডিসেম্বর ২০২৫।

তবে নির্বাচনী রোডম্যাপে আপত্তি জানিয়ে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়ে অনশন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা৷

শিক্ষার্থীদের দাবি, ৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খসড়া সংবিধি প্রস্তুত,২ কর্ম দিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশন গঠন,৩ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রণয়ন, পরবর্তী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর পরবর্তী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে তফসিল ঘোষণা এবং পরবর্তী ১৪ কর্মদিবসের মধ্যে সংবিধি অনুযায়ী নির্বাচন কার্যক্রম গ্রহণ করে পরবর্তী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে নির্বাচনী প্রচারণা সম্পন্ন করে ১৮ নভেম্বরের মধ্যে ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

এসময় নির্বাচনের তারিখ নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশানুরূপ আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অনশন ভাঙেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের গেজেট প্রকাশ জরুরি। গেজেট প্রকাশের পরই সম্ভাব্য রোডম্যাপ অনুযায়ী সমস্ত কার্যক্রম শুরু হবে। আমি আশা করি, শিক্ষার্থীরাও ধৈর্য ধরবেন এবং দায়িত্বশীল আচরণ করবেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আন্তরিকভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে প্রস্তুত।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত