ধর্ম অবমাননার বিচারে নতুন আইনের দাবি জবি শিক্ষার্থীদের

প্রতিনিধি, জবি
প্রকাশ : ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১৭: ১৪

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত ও সুষ্ঠু বিচারের পাশাপাশি ধর্ম অবমাননার জন্য সরকারের নিকট একটি পৃথক ও কঠোর আইন বাস্তবায়নের দাবি জানান।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদের প্রাঙ্গণ থেকে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। তারা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হন এবং সেখানে তাদের দাবি-দাওয়াসমূহ তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন। মিছিলে শিক্ষার্থীরা প্ল্যাকার্ড, স্লোগান ও প্রাণবন্ত বাণী উপস্থাপন করেন।

বিজ্ঞাপন

পরিসংখ্যান বিভাগের ছাত্র বায়তুল হক বলেন, “ইসলাম আমাদের আবেগের জায়গা। এখানে কেউ আঘাত করলে আমরা চুপ করে থাকবো না। কুরআন শরীফ ও নবীর অবমাননা আমরা মেনে নেব না। সেই অপমানের যথোচিত জবাব দেবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।”

শাখা ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জায়েদ দাবি করেন, “কুরআন অবমাননা করা মানে আল্লাহকে অবমাননা করা; এটি মুসলমানদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষাত্মক আচরণ। যারা কুরআন অবমাননা করবে তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক।”

শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিম আরিফ বলেন, “শেখ হাসিনা তার বাবার হত্যাকারীদের আজীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন, কিন্তু নবী (সা.)-কে অপমান করার শাস্তি সংক্রান্ত কোনো স্বতন্ত্র আইন নেই। তত্ত্বাবধায়ক সরকার যদি ৯০ শতাংশ মুসলমানের আকাঙ্ক্ষা বিবেচনা করে ব্লাসফেমি আইন প্রণয়ন করে, তাতে এই ধরনের অপমানের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে উঠবে।” তিনি বলেন, নতুন আইনে ধর্ম অবমাননার শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হলে নজির স্থাপিত হবে এবং কেউ আর এ ধরনের দুঃসাহস করবে না—এটাই তাদের দাবি।

উল্লেখ্য, সামাজিক মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের নামে কুরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগযুক্ত একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর দেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখিত ঘটনার পর পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে; একই সঙ্গে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদ-সমাবেশ ও বিক্ষোভ দেখা যাচ্ছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত