বামজোটের সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির নিন্দা

প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশ : ৩১ মে ২০২৫, ২০: ২৩
আপডেট : ৩১ মে ২০২৫, ২০: ২৬
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংহতি সমাবেশের অধিকাংশ চেয়ারই ফাঁকা।

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের মিছিলে ছাত্র শিবিরের হামলার প্রতিবাদে বৃষ্টি উপেক্ষা করে রাজপথে দাঁড়ায় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।

বিজ্ঞাপন

শনিবার বিকেল ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত এ নাগরিক সংহতি সমাবেশে জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ। তিনি বলেন, “আজ আমরা আশাহত হয়ে দাঁড়িয়েছি। যে শিক্ষার্থীরা গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য লড়ছে, যে নারীরা অধিকারের জন্য লড়াই করছে, তাদের ওপরই হামলা হচ্ছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা বললে ইসলামবিরোধী অপপ্রচারের ট্যাগ লাগিয়ে তাদের দমন করা হচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক।”

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের ছেড়ে দেয়া হচ্ছে এবং এর প্রতিবাদ জানালে কিছু ছাত্র সংগঠন গণতান্ত্রিকমী শিক্ষার্থীদের উপরে হামলা চালাচ্ছে। নারীদেরকে টার্গেট করে তারা হামলা করছে। তিনি বলেন, যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে কথা হয় সেটাকে ইসলামবিরোধী কথা বলে অপপ্রচার চালায়। ধর্মকে ব্যবহার করে তারা রাজনীতিতে ফায়দা নিতে চায়।

বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমেদ জুবেল বলেন, “রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যুদ্ধাপরাধী আজহারের খালাসের প্রতিবাদে মশাল মিছিলে ছাত্র শিবির দুই দফা হামলা চালায়। ১৯৯৩ সালে শহীদ রিমুর হত্যার মতোই আজ আবার শিবির সন্ত্রাস শুরু করেছে। রাবিতে সন্ত্রাসের এই নবতর ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তবে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গণতান্ত্রিক কাঠামো বিপন্ন হতে বাধ্য।”

তিনি আরো বলেন, “ছাত্ররাজনীতিকে দখলের হাতিয়ার বানিয়ে যারা ক্যাম্পাসে সহিংসতা ছড়াচ্ছে, তাদের প্রতিরোধে শিক্ষার্থীদেরই এগিয়ে আসতে হবে।”

তবে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের এই অবস্থানকে ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব’ আখ্যা দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম বলেন, তিনি বলেন, ফরিদপুরের নগরকান্দায় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বৈশাখি নামের এক ছাত্রীকে রাস্তাতে ফেলে মারধর করছে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। আদাবর থানায় এক নারীকে প্রকাশ্যে জিন্দেগি বরবাদ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বিএনপির এক নেতা। শেকৃবিতে ছাত্রদলের প্রোগ্রাম না করায় দুই ছাত্রীকে জোরপূর্বক হল ছাড়ার নির্দেশ ও হুমকি দিয়েছে ছাত্রদল নেত্রী।

তিনি বলেন, নারীর নিরাপত্তাই যাদের কনসার্ন, তাদের এই প্রত্যেকটা ঘটনাই এড্রেস করার কথা ছিল। তা না করে কেবল সিলেক্টিভ কেইসকে কেন্দ্র করে ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে মব ক্রিয়েট করা একথাই স্পষ্ট করে ‘নারীর নিরাপত্তা' নয়; বরং রাজনৈতিক স্বার্থই আপনাদের কাছে মূখ্য।

এদিকে এটিএম আজহারের খালাসকে স্বাগত জানিয়ে ছাত্রশিবির নেতৃবৃন্দ বলেন, “তিনি একজন নিপীড়িত মজলুম জননেতা। তার মুক্তির মাধ্যমে বিচার বিভাগ কিছুটা হলেও কলঙ্কমুক্ত হয়েছে।”

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত