ঢাবি সংবাদদাতা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রীদের নতুন হল নির্মাণের আগ পর্যন্ত অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, গণরুম বিলুপ্তি এবং মূল ক্যাম্পাসে নতুন হল নির্মাণের দাবিতে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে নারী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকীকরণ সমস্যা দিন দিন প্রকট হয়ে উঠলেও এর তাৎক্ষণিক সমাধান প্রদানে প্রশাসনের উদাসীনতা স্পষ্ট হয়েছে। বিভিন্নভাবে প্রশাসনকে এটি বলা হলেও গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই তারা এই কর্মসূচি বেছে নিয়েছে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ ও শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান ইমু বলেন, আমরা আবাসন সংকট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গিয়েছিলাম। তখন মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় আগামী তিন বছরের মধ্যে ছাত্রীদের নতুন হল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানায় প্রশাসন। কিন্তু নতুন হল স্থাপনের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আসন সংকট সমাধানের অস্থায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলে অপারগতা প্রকাশ করে, যা বেশ দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় ভবন ভাড়া নিয়ে আবাসিকীকরণের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ ও লোকবলের অভাবের কথা বলে এটিকে পাশ কাটিয়ে যায়। তবে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করার কথা জানালেও সেই বৃত্তির টাকা কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছবে সে সম্পর্কেও আমরা কোনো সদুত্তর পাইনি। তাই আমরা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতুন হল নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে হাজারিবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় শাহনেওয়াজ হোস্টেলে নতুন হল নির্মাণের কথা বলছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে মেয়েদের হল নির্মাণ হোক।
ঢাবি কর্তৃপক্ষের নতুন হল নির্মাণের উদ্যোগ
এদিকে চীন সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ২৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের জন্য নতুন একটি হল নির্মাণের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, নারী শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাস এলাকার মধ্যে বা আশেপাশে একটি হল তৈরির কাজ শুরু হবে। যেখানে দেড় থেকে দুই হাজার মেয়ের আবাসন নিশ্চিত হবে। আগামী জুন-জুলাই বাজেটে এটি চূড়ান্ত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ’ প্রকল্পটি বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন ছাত্রী হলে বাঙ্ক বেড স্থাপনের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, বিশ্ব ব্যাংকের হিট প্রকল্পের আওতায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবাসন বৃত্তি চালুর বিষয়টিও বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে যেসব ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হবে, তারা এই বৃত্তির আওতায় আসবে বলেও জানানো হয়।
এ বিষয়ে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা মেয়েদের একটি হল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এটি এ বছরের শেষের দিকে কাজ শুরু হবে। যেখানে দেড় থেকে দুই হাজার মেয়ের আবাসন হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা মেয়েদের দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে হল নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমাদের মাস্টারপ্ল্যানের অনেক কাজের অগ্রগতি হয়েছে। আবাসন সংকট নিরসনে আমরা মেয়েদের হলকেই অগ্রাধিকারে রেখেছি। আশা করছি, দ্রুত এ বিষয়ে আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ছাত্রীদের নতুন হল নির্মাণের আগ পর্যন্ত অস্থায়ী আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, গণরুম বিলুপ্তি এবং মূল ক্যাম্পাসে নতুন হল নির্মাণের দাবিতে প্রতীকী অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে নারী শিক্ষার্থীরা।
সোমবার বেলা ১১টায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এই অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে গতকাল বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিকীকরণ সমস্যা দিন দিন প্রকট হয়ে উঠলেও এর তাৎক্ষণিক সমাধান প্রদানে প্রশাসনের উদাসীনতা স্পষ্ট হয়েছে। বিভিন্নভাবে প্রশাসনকে এটি বলা হলেও গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই তারা এই কর্মসূচি বেছে নিয়েছে।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ ও শামসুন্নাহার হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান ইমু বলেন, আমরা আবাসন সংকট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে গিয়েছিলাম। তখন মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় আগামী তিন বছরের মধ্যে ছাত্রীদের নতুন হল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানায় প্রশাসন। কিন্তু নতুন হল স্থাপনের আগ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আসন সংকট সমাধানের অস্থায়ী ব্যবস্থা নিতে পারবে না বলে অপারগতা প্রকাশ করে, যা বেশ দুঃখজনক।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় ভবন ভাড়া নিয়ে আবাসিকীকরণের ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেওয়া হলেও কর্তৃপক্ষ বরাদ্দ ও লোকবলের অভাবের কথা বলে এটিকে পাশ কাটিয়ে যায়। তবে অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক বৃত্তির ব্যবস্থা করার কথা জানালেও সেই বৃত্তির টাকা কবে নাগাদ শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছবে সে সম্পর্কেও আমরা কোনো সদুত্তর পাইনি। তাই আমরা প্রতীকী অনশন কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নতুন হল নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে অগ্রাহ্য করে হাজারিবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় শাহনেওয়াজ হোস্টেলে নতুন হল নির্মাণের কথা বলছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে মেয়েদের হল নির্মাণ হোক।
ঢাবি কর্তৃপক্ষের নতুন হল নির্মাণের উদ্যোগ
এদিকে চীন সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় ২৪৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রীদের জন্য নতুন একটি হল নির্মাণের উদ্যোগের কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জানা যায়, নারী শিক্ষার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ক্যাম্পাস এলাকার মধ্যে বা আশেপাশে একটি হল তৈরির কাজ শুরু হবে। যেখানে দেড় থেকে দুই হাজার মেয়ের আবাসন নিশ্চিত হবে। আগামী জুন-জুলাই বাজেটে এটি চূড়ান্ত হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রীদের আবাসন সংকট নিরসনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ‘বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী হল নির্মাণ’ প্রকল্পটি বর্তমানে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিভিন্ন ছাত্রী হলে বাঙ্ক বেড স্থাপনের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই বেশ কিছু ছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া, বিশ্ব ব্যাংকের হিট প্রকল্পের আওতায় ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আবাসন বৃত্তি চালুর বিষয়টিও বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে যেসব ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হবে, তারা এই বৃত্তির আওতায় আসবে বলেও জানানো হয়।
এ বিষয়ে প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা মেয়েদের একটি হল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এটি এ বছরের শেষের দিকে কাজ শুরু হবে। যেখানে দেড় থেকে দুই হাজার মেয়ের আবাসন হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা মেয়েদের দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে হল নির্মাণের পরিকল্পনা করছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমাদের মাস্টারপ্ল্যানের অনেক কাজের অগ্রগতি হয়েছে। আবাসন সংকট নিরসনে আমরা মেয়েদের হলকেই অগ্রাধিকারে রেখেছি। আশা করছি, দ্রুত এ বিষয়ে আমরা কাজ এগিয়ে নিতে পারব।
আন্দোলনে অংশ নেওয়া ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন শিশির বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলছি, শাকসু বানচালের চেষ্টা চলছে। শিক্ষার্থীরা এটা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। যদি আগামী সোমবার ভিসি এসে নির্বাচন কমিশন গঠন করে রোডম্যাপ ঘোষণা না করেন, তাহলে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের...
২ ঘণ্টা আগেসংগঠনের তথ্য, উপহার প্রদান, অনুভূতি বক্স এবং মেহেদি দেওয়ার জন্য উৎসবের ছাউনিতে চারটি আলাদা বুথ। সেখানে ছিল নারী শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। আয়োজকরা নতুন সদস্য আহ্বান ও প্রচারপত্র বিলি করেন। ফটকের সামনে একটি ব্যানারে লেখা, ‛প্রিয় ভাইয়েরা, ভেতরে প্রবেশ ও উঁকি মারা থেকে বিরত থাকুন।’
৩ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেছেন, ছাত্রদল নেতা ও পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইন হত্যাকাণ্ডে প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে—কেউ যেন আইনের ফাঁক দিয়ে কেউ বেরিয়ে না যায়।
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াদ হাসানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বোরকা ও পর্দাশীল নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। এই মন্তব্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রীসংস্থা।
৪ ঘণ্টা আগে