গাজার যুদ্ধবিধ্বস্ত ২০০ পরিবারে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিল জবির শিক্ষার্থীরা

প্রতিনিধি, জবি
প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২৫, ১৬: ৩৮

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কয়েকজন শিক্ষার্থী। ‘প্রজেক্ট লাইফলাইন গাজা’ নামের স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগের আওতায় ২০০টি বাস্তুচ্যুত পরিবারে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

শনিবার (৫ জুলাই) গাজার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বিতরণ করা খাদ্যপ্যাকেটগুলো পেয়েছেন মূলত উত্তর গাজার বাইত হানুন থেকে থেকে পালিয়ে আসা অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো।

প্রজেক্টটির উদ্যোক্তা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় হিউম্যান রাইটস সোসাইটি। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের আটজন শিক্ষার্থী এই কার্যক্রমে যুক্ত হন। তারা হলেন—নওশীন নাওয়ার জয়া ও মোহাম্মদ ইব্রাহিম (প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান), আম্মার বিন আসাদ (নৃবিজ্ঞান), জুনায়েদ মাসুদ (শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), তানজিলা সুলতানা তানি, সিফাত হাসান সাকিব ও উম্মে হাবিবা (ইংরেজি বিভাগ) এবং ওমর ফারুক শ্রাবণ (আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট)।

নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আম্মার বিন আসাদ বলেন, এই ছোট উদ্যোগটির মাধ্যমে গাজার মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমরা গর্বিত। শুধু সাহায্য পাঠানো নয়, বরং বিশ্বব্যাপী প্রো-প্যালেস্টাইন আন্দোলনে বাংলাদেশের সক্রিয় অবস্থান নিশ্চিত করাও আমাদের লক্ষ্য।

প্রাণরসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন নাওয়ার জয়া জানান, প্রাথমিকভাবে আমরা ২,২৬০ ডলার সংগ্রহ করতে পেরেছিলাম, যার মাধ্যমে ২০০টি পরিবারে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয়। গাযার শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরে এবং সেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম তুলে ধরতে পেরে আমরা আনন্দিত ও কৃতজ্ঞ।

হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ বলেন, এই উদ্যোগ মানবিকতা ও বৈশ্বিক দায়িত্ববোধের বাস্তব প্রতিফলন। এটি আমাদের বিবেকের ডাক।

ওমর ফারুক শ্রাবণ বলেন, শুরুতে ১০ লাখ টাকা সংগ্রহের লক্ষ্যে যাত্রা করলেও আমরা ৩ লাখ টাকা সংগ্রহে সক্ষম হই। তা দিয়েই প্রথম ধাপে সহায়তা পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। সামনে আরও বড় পরিসরে কার্যক্রম চালাতে চাই।

উল্লেখ্য, ‘Project Lifeline Gaza’ হলো এক আন্তর্জাতিক ছাত্র-যুব উদ্যোগ, যা গাযার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই প্রকল্পের কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত