চাকসু নির্বাচন

জমির উদ্দিন, চবি থেকে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা ঘিরে বুধবার সন্ধ্যা থেকে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে। সারাদিনের ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে ফল গণনা। আর সেই ফল যেন কেউ পরিবর্তন বা জালিয়াতি করতে না পারে এই আশঙ্কায় বিভিন্ন কেন্দ্রে পাহারা দিচ্ছেন নারী শিক্ষার্থীরা নিজেরাই।
বিকেল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ভবনের সামনে, করিডরে, এমনকি সিঁড়ির ধারে শত শত নারী শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়েছেন। হাতে ব্যাগ, পানির বোতল, কখনও মোবাইলের টর্চ জ্বেলে তাঁরা পর্যবেক্ষণ করছেন ফল গণনার অগ্রগতি। তাঁদের কথায়-এই ভোট আমাদের, ফলও আমাদের।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রোকসানা আক্তার বলেন, ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে কিনা, তা আমরা নিজের চোখে দেখেছি। এখন চাই সুষ্ঠুভাবে গণনা হোক। তাই নিজেরাই পাহারা দিচ্ছি, যেন কেউ কাগজে কলমে গড়মিল করতে না পারে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম বলেন, আমরা দেখেছি, অনেক সময় ফল গণনার পর মাঝপথে এলইডি স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যায়। আবার খুললে সংখ্যায় হেরফের দেখা যায়। তাই এইবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা ফল নিজেরা দেখে নিয়ে যাব প্রশাসনের হাতে। কোনো কিছুর উপর অন্ধভাবে ভরসা করছি না।
বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী শারমিন তাসনিম বলেন, ভোট গণনা কক্ষের বাইরে আমরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছি। প্রশাসন বা পুলিশ কেউ আমাদের তাড়াচ্ছে না, কারণ সবাই জানে, আমরা কোনো গোলমাল করতে আসিনি শুধু ভোটের সঠিক ফল নিশ্চিত করতে এসেছি।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, চাকসু নির্বাচন শুধু রাজনীতির নয়, এটি শিক্ষার্থীদের মর্যাদারও প্রতীক। এবার অনেক নারী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমরা চাই, তাঁদের ভোট যেন সম্মানের সঙ্গে গণনা হয়।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদা সুলতানা বলেন, দিনভর ভোটের পরিবেশ ছিল শান্ত। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পর থেকেই নানা গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা মাঠে আছি যেন কেউ সুযোগ নিতে না পারে। ভোট আমাদের হাতে, ফলও আমাদের চোখের সামনে প্রকাশ হোক।
ফল গণনা কক্ষের বাইরে আরও অনেক নারী শিক্ষার্থী বসে আছেন মাটিতে বা সিঁড়ির ধারে। কেউ চা খাচ্ছেন, কেউ গান গাইছেন তবু চোখ তাদের ভোট গণনার ঘরের দিকে।
প্রশাসন বলছে, ফল গণনা সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে গণনা প্রার্থীদের উপস্থিতিতে করা হচ্ছে। স্ক্রিনে সাময়িক ত্রুটি দেখা দিলেও দ্রুত তা সচল করা হয়। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ফল ঘোষণা করতে চাই।
বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভোটের ফল যেন নিরাপদে ও স্বচ্ছভাবে প্রকাশিত হয়, সেই নিশ্চয়তা পেলে তবেই তাঁরা ফিরে যাবেন হলে।
কেউ কেউ বলছেন, এবারের চাকসু আমাদের জন্য ঐতিহাসিক হবে কারণ পাহারায় আমরা নিজেরাই আছি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা ঘিরে বুধবার সন্ধ্যা থেকে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে ক্যাম্পাসে। সারাদিনের ভোটগ্রহণ শেষে এখন চলছে ফল গণনা। আর সেই ফল যেন কেউ পরিবর্তন বা জালিয়াতি করতে না পারে এই আশঙ্কায় বিভিন্ন কেন্দ্রে পাহারা দিচ্ছেন নারী শিক্ষার্থীরা নিজেরাই।
বিকেল থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ ভবনের সামনে, করিডরে, এমনকি সিঁড়ির ধারে শত শত নারী শিক্ষার্থী অবস্থান নিয়েছেন। হাতে ব্যাগ, পানির বোতল, কখনও মোবাইলের টর্চ জ্বেলে তাঁরা পর্যবেক্ষণ করছেন ফল গণনার অগ্রগতি। তাঁদের কথায়-এই ভোট আমাদের, ফলও আমাদের।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রোকসানা আক্তার বলেন, ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছি। সুষ্ঠু ভোট হয়েছে কিনা, তা আমরা নিজের চোখে দেখেছি। এখন চাই সুষ্ঠুভাবে গণনা হোক। তাই নিজেরাই পাহারা দিচ্ছি, যেন কেউ কাগজে কলমে গড়মিল করতে না পারে।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম বলেন, আমরা দেখেছি, অনেক সময় ফল গণনার পর মাঝপথে এলইডি স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যায়। আবার খুললে সংখ্যায় হেরফের দেখা যায়। তাই এইবার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আমরা ফল নিজেরা দেখে নিয়ে যাব প্রশাসনের হাতে। কোনো কিছুর উপর অন্ধভাবে ভরসা করছি না।
বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষার্থী শারমিন তাসনিম বলেন, ভোট গণনা কক্ষের বাইরে আমরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছি। প্রশাসন বা পুলিশ কেউ আমাদের তাড়াচ্ছে না, কারণ সবাই জানে, আমরা কোনো গোলমাল করতে আসিনি শুধু ভোটের সঠিক ফল নিশ্চিত করতে এসেছি।
অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান বলেন, চাকসু নির্বাচন শুধু রাজনীতির নয়, এটি শিক্ষার্থীদের মর্যাদারও প্রতীক। এবার অনেক নারী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। আমরা চাই, তাঁদের ভোট যেন সম্মানের সঙ্গে গণনা হয়।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদা সুলতানা বলেন, দিনভর ভোটের পরিবেশ ছিল শান্ত। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পর থেকেই নানা গুজব ছড়াচ্ছে। আমরা মাঠে আছি যেন কেউ সুযোগ নিতে না পারে। ভোট আমাদের হাতে, ফলও আমাদের চোখের সামনে প্রকাশ হোক।
ফল গণনা কক্ষের বাইরে আরও অনেক নারী শিক্ষার্থী বসে আছেন মাটিতে বা সিঁড়ির ধারে। কেউ চা খাচ্ছেন, কেউ গান গাইছেন তবু চোখ তাদের ভোট গণনার ঘরের দিকে।
প্রশাসন বলছে, ফল গণনা সম্পূর্ণ স্বচ্ছভাবে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বলেন, প্রতিটি কেন্দ্রে গণনা প্রার্থীদের উপস্থিতিতে করা হচ্ছে। স্ক্রিনে সাময়িক ত্রুটি দেখা দিলেও দ্রুত তা সচল করা হয়। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ফল ঘোষণা করতে চাই।
বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা আরও ঘনীভূত হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, ভোটের ফল যেন নিরাপদে ও স্বচ্ছভাবে প্রকাশিত হয়, সেই নিশ্চয়তা পেলে তবেই তাঁরা ফিরে যাবেন হলে।
কেউ কেউ বলছেন, এবারের চাকসু আমাদের জন্য ঐতিহাসিক হবে কারণ পাহারায় আমরা নিজেরাই আছি।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বর্ষসেরা সাংবাদিক পুরস্কার প্রদান করা হয়। বর্ষসেরা অনুসন্ধানী সাংবাদিকের পুরস্কার পেয়েছেন আমার দেশ প্রতিনিধি নাহিদুল ইসলাম এবং আরটিভি প্রতিনিধি মো. রিয়াদুল ইসলাম। বর্ষসেরা বিশেষ প্রতিবেদন (প্রিন্ট) ক্যাটাগরিতে দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার প্রতিনিধি মোস্তাকিম সাদিক এবং অনলাইন
১০ ঘণ্টা আগে
সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৫০৬ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সময়ের মধ্যে এডিস মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
১৩ ঘণ্টা আগে
ক্যানসারের সাধারণ কিছু লক্ষণ যা নারী-পুরুষ উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়। এর মধ্যে রয়েছে ত্বকের পরিবর্তন। যেমন পিণ্ড বা ফোঁড়া যা সহজে রক্তপাত হয়, ক্ষত যা নিরাময় হয় না এবং তিলের আকার বা রঙে পরিবর্তন। এ ছাড়া অস্বাভাবিক ক্লান্তি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা, ওজন হ্রাস এবং খাবার বা পান চিবাতে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
১৪ ঘণ্টা আগে
কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ বিধিমালায় অনুমোদন দিয়ে স্বাক্ষর করেছেন রাষ্ট্রপতি। অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা–২০২৫ বিশ্লেষণে এ তথ্য জানা গেছে।
১৬ ঘণ্টা আগে