ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার জোহরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের অধ্যাপক ড. আ. ক. ম. আবদুল কাদের জানাজা নামাজের ইমামতি করেন। ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ’ (চাকসু)-এর ব্যানারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।
চাকসুর জিএস সাঈদ বিন হাবিবের সঞ্চালনায় গায়েবানা জানাজায় উপস্থিত ছিলেন দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোজাম্মেল হক, চবি শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহাম্মদ আলী, চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি প্রমুখ।
জানাজা নামাজের পূর্বে বক্তৃতায় অধ্যাপক মোজাম্মেল হক বলেন, আমরা ওসমান হাদির মত কোন সন্তানকে হারাতে চাই না। আমরা জীবনের বৃত্ত পূরণ করে ফেলেছি, আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আল্লাহ যেন এ সন্তানগুলো বাঁচিয়ে রাখে। ওসমান হাদি আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গিয়েছে কিভাবে স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ন্যয় নীতির ওপর চলতে হয়, কিভাবে এই দেশের জন্য আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে লড়তে হয়।
চাকসুর ভিপি ইব্রাহিম হোসেন রনি বলেন, আমাদের ভাই ওসমান হাদি মাত্র ৩২ বছর বয়সে বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। এত কমবয়সে এই ইতিহাস কেউ করেনি। ওসমান হাদি যেমন প্রকৃত শত্রু চিনতে পেরেছিল, তেমনি তার শত্রুরা প্রকৃত দেশপ্রেমিক মানুষ চিনতে পেরেছিল। তিনি তার অল্প বয়সে এত প্রভাব বিস্তার করেছিল যে পুরো ভারতীয় আধিপত্যবাদ কেঁপে উঠেছে।
গত ১২ ডিসেম্বর বিজয়নগর এলাকায় নির্বাচনি প্রচারণার সময় মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাথায় গুরুতর আঘাত পাওয়ার পর থেকেই হাদির শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘ লড়াই শেষে গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে হাদি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় তার মরদেহ বাংলাদেশে পৌঁছালে বিমানবন্দরে এক হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সিঙ্গাপুর থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তার কফিন দেশে আনা হয়।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

